শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

পোস্টমর্টেম কি? কত ধরনের পোস্টমর্টেম হতে পারে!

পত্রিকায় প্রায় প্রতিদিনই আমরা শুনতে পাই পোস্টমর্টেমের কথা।যে কোন অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারন উদঘাটন করতে দরকার হয় এই পোস্টমর্টেমের। আসুন কিছুটা জানার চেষ্টা করি কি এই পোস্টমর্টেম।

পোস্টমর্টেম কি?

পোস্টমর্টেমর আরেক নাম অটপসি। অটপসি শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ অটপসিয়া থেকে। যার মানে “to see for oneself” ।সাধারনভাবে অটপসি হলো আইনানুগভাবে মৃতদেহ পরীক্ষা করে মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করা।

কবে শুরু হলো?

খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০অব্দে মিশরের অধিবাসীরা মমি তৈরির জন্য মৃতদেহকে ব্যবচ্ছেদ করতো।তবে তারা শুধু ধর্মীয় কারণেই তা করতো। মূলত মৃত্যুর কারন জানার জন্য মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদের কথা জানা যায় খ্রীস্টপূর্ব তিনশ শতকে গ্রীসে। রোমান সম্রাজ্যে এটি চালু হয় খ্রীস্টপূর্ব ১৫০ সালে। ইতিহাস থেকে জানা যায় জুলিয়াস সিজারের মৃত্যুর পর তার অফিসিয়াল পোস্টমর্টেম হয়েছিল খ্রীস্টপূর্ব ৪৪সালে। এছাড়া আরবদের মধ্যে আন নাফিসের কথা উল্লেখযোগ্য। আধুনিক অটপসি চালু করেন Renaissance. Giovanni Morgagni কে বলা হয় “father of anatomical pathology”.

কত ধরনের পোস্টমর্টেম হতে পারে?

অটপসি সাধারনত তিন ধরনের হয়ে থাকে,

১।মেডিকোলিগালঃ অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে করা হয়।

২।ক্লিনিক্যালঃ এটি অসুস্থ্য ব্যক্তির মৃত্যুর ক্ষেত্রে করা হয়।

৩।একাডেমিকঃ এনাটমি পড়ানোর জন্য মেডিকেল কলেজে করা হয়।

কারা পোস্টমর্টেম করেন?

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে-

১।সরকারি মেডিকেল কলেজের প্রফেসর এবং লেকচারার

২।জেলা হাসপাতালের সিভিল সার্জন

৩।সিভিল সার্জনের তত্তাবধায়নে আবাসিক মেডিকেল অফিসার

কি কি লাগে একটি পোস্ট মর্টেমের জন্য?

১।চালান (পুলিশ কর্তৃক)

২।সুরতহাল রিপোর্ট (পুলিশ কর্তৃক)

৩।হাসপাতালে মৃত্যুর ক্ষেত্রে ডেথ সার্টিফিকেট

৪।পুলিশ কর্তৃক লাশ শনাক্তকরন

৫।অবশ্যই দিনের আলো।(ভূতের গল্পে রাতে পোস্টমর্টেমের কথা বলা হলেও তা ভুল।আমাদের দেশে সব পোস্টমর্টেমই দিনে হয়।)

৬।অনুমোদিত মরচুয়ারি

কিভাবে করা হয়?

১।যে ডাক্তার পোস্টমর্টেম করবেন তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষা করেন।

২।সুরতহাল রিপোর্ট পড়েন।

৩।মৃতদেহের বাহ্যিক পরীক্ষা করেন।

৪।মৃতদেহকে ব্যবচ্ছেদ করা হয়(সাধারনত ডোমরা এটি করে থাকে) এবং অভ্যন্তরীন অংগ পরীক্ষা করা হয়।

মস্তিস্ক পরীক্ষার জন্য করোটি খোলা হয়।আর গলা, বুক, পেট পরীক্ষার জন্য তিন ধরনের ইনসিসন দেয়া হয়।‘I’ ’Y’ এবং modified ’Y’।

কি কি ভিসেরা সংরক্ষণ করা হয়?

১।স্টোমাক এবং ইনটেস্টাইন ৪।হার্ট

২।কিডনি ৫।লাংস

৩।লিভার ৬।ব্রেইন ইত্যাদি

সবগুলোই সাধারনত সম্পৃক্ত লবন পানিতে সংরক্ষন করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

তারপর?

পোস্টমর্টেম শেষে ব্যাবচ্ছেদকৃত অংশ সেলাই করে দেয়া হয়।

পোস্টমর্টেমের প্রয়োজনীয়তা কি?

পোস্টমর্টেম বিচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। পোস্টমর্টেমের ভুলের কারনে একজন নিরপরাধ লোকের শাস্তি হয়ে যেতে পারে আবার একজন অপরাধী ছাড়া পেয়ে যেতে পারে। তাই খুব সতর্কতার সাথে এই রিপোর্ট তৈরি এবং আদালতে উপস্থাপন করা হয়। পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট প্রদানকারী ডাক্তারকেও স্বাক্ষ্য দিতে হয়।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন  

চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন

চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস

 শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন

ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন

  • স্বাধীনতার জন্য সিরাজুল আলম খান জীবন যৌবন উৎসর্গ করেছিল
  • ৫৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ১০৬ জনকে সম্মাননা দিল ‘আমরা একাত্তর’
  • হাতিয়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
  • ৫৭ বছর বয়সে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ সদস্য
  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
  • চলে গেলেন হায়দার আকবর খান রনো
  • গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
  • ‘ও আল্লাহ আমার ইকবালরে কই নিয়ে গেলা’
  • ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর
  • কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য
  • কান্না জড়িত কন্ঠে কুড়িগ্রামে পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল
  • অজানা গল্পঃ গহীন অরণ্যে এক সংগ্রামী নারী