প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় দীপন হত্যাকান্ড: চশমাটা নিচে পড়ে ছিল
তার চশমাটা চেয়ারের নিচে পড়ে ছিল, আর তার ঘাড়ের উপর বড় আকারের দায়ের কোপ ছিল, পুরো রুমটি ছোপ ছোপ রক্তে একাকার হয়েছিল। আর তার নিথর দেহটি চেয়ারের উপরই ছিল। এরপর আমরা সন্ধ্যা ৬টার দিকে ডুপ্লিকেট একটি চাবি দিয়ে প্রকাশনীর কার্যালয়ে প্রবেশ দরজাটি খুলি এবং লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেই।
এমন ভাবেই ব্যবসায়ী ও প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যাকান্ডের পর ঘটনার বর্ণনা দিলেন রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটের সমিতি ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন জনি।
আনোয়ার হোসেন জানান, হত্যাকান্ডটি আমাদের মনে হয়েছে অনেক আগেই ঘটেছে, কারণ আমরা যে রক্তের দাগ দেখতে পেয়েছি সেটা সন্ধ্যা ৬টার অনেক আগেই খুন হওয়ার মত মনে হয়েছে। রক্ত তাজা মনে হয়নি, রক্তের অবস্থা দেখে অনেক আগেই এ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে আমাদের মনে হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, ফয়সাল সাহেবের দোকানের এক কর্মচারি আমাদের মার্কেটের সমিতির সভাপতিকে গিয়ে বলেন- স্যারকে (দীপন) তিন তলার দোকানে কে বা কারা আটকে রেখেছে, আমাদের কোনো ডাকে সাড়া দিচ্ছে না। এরপর আমরা সেখানে গিয়ে দরজাটি ডুপ্লিকেট একটি চাবি দিয়ে খুলে দীপন সাহেবের লাশ দেখতে পাই এবং পুলিশকে খবর দেই।
উল্লেখ্য- রাজধানী ঢাকার শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ফয়সাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ফয়সাল নিহত লেখক- ব্লগার অভিজিতের বইয়ের প্রকাশক ছিলেন।
দুর্বৃত্তরা দীপনের গলা ও মাথায় চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা প্রথমে স্কয়ার হাসপাতাল ও পরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দীপন ব্লগে নিয়মিত লেখালেখি করতেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধানমন্ডি ৩২-এ প্রদীপ প্রজ্বলন, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীর ওপর হামলা
আমাদের কন্ঠস্বর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সব ধরনের হত্যারবিস্তারিত পড়ুন

ঢাকায় এক দিনে ৪ জনকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানী ঢাকায় এক দিনে চারজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিস্তারিত পড়ুন

রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন