প্রথম দেখাতেই নারীরা একজন পুরুষের যা দেখেন!
অনেক নারীই প্রথম দেখার কয়েক মিনিটেই একজন পুরুষকে মেপে ফেলার চেষ্টা করেন। তাই একজন পুরুষ যদি জানেন যে, নারীরা পুরুষের ঠিক কোন বিষয়গুলো প্রথম দর্শনেই লক্ষ করেন, তা হলে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে পারেন তিনি।
দর্শনদারির ভিত্তিতেই এই মাপামাপি। উচ্চতা, ওজন এবং সামগ্রিক শারীরিক আকর্ষণীয়তার পাশাপাশি পুরুষের হাসি, রসবোধ ও আত্মবিশ্বাস লক্ষ করেন নারী। পুরুষের মনোদৈহিক যে ছয়টি বিষয় নারীরা প্রথম দেখাতেই লক্ষ করেন, সেগুলো হল-
শারীরিক আকৃতি: নারী প্রথমেই যা কিছু খেয়াল করেন সে তালিকার প্রথমদিকেই আছে উচ্চতা এবং ওজন। কোনো পুরুষ খুব বেশি লম্বা, মোটা বা খাটো হলে তাঁর এই শারীরিক গঠনের কারণে শুরুতেই তাঁর বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে চলে আসতে পারেন কোনো কোনো নারী। ফলে তাঁর অন্য মানবিক গুণাবলি লক্ষ করার বিষয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন একজন নারী। অবশ্য নারী তাঁর নিজের উচ্চতা এবং ওজনের নিরিখেই পুরুষের এই শারীরিক বৈশিষ্ট্যের গ্রহণযোগ্যতা বিচার করেন।
আকর্ষণী ক্ষমতা: চেহারার সৌন্দর্য হচ্ছে সেই গুণের নাম যা জন্মসূত্রে পাওয়া। কিন্তু কেবল সুন্দর হলেই তো হবে না। একজন পুরুষ নিজের কতটা যত্নআত্তি করেন, সেটা খেয়াল করেন নারী। চুল, নখ থেকে শুরু করে কাপড়চোপড় এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় রাখেন নারীরা। একজন পুরুষ যদি নিজের এইটুকু দেখভাল করতে না পারেন, তা হলে তাঁর অন্য গুণাবলি খুঁজে দেখার জন্য খুব একটা কষ্ট করতে রাজি হবেন না নারী। নিজেকে উপস্থাপনের শিল্পেই আকর্ষণী ক্ষমতা দেখানোর সুযোগ পেতে পারেন একজন পুরুষ।
মুখের হাসি: একনজরে দেখে নিয়ে মেপে ফেলার পর পুরুষের মুখের হাসি দেখার অপেক্ষায় থাকেন নারী। হাসবার ক্ষমতা, বিশেষত দেখা হওয়ার প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুরুষের হাসি নারীর কাছে একটা স্বাগত বার্তার মতো। অবশ্য হাসবার আগে মাথায় রাখতে হবে নিজের দাঁতের কথাও। অপরিচ্ছন্ন দাঁত নিয়ে কোনো নারীর সামনে হাসলে লাভের চেয়ে লোকসানই বেশি হবে। আর দাঁতের অন্য কোনো সমস্যা থাকলেও সেটা সারাতে দন্ত্য চিকিত্সকের কাছে ঘুরে আসাই ভালো।
রসবোধ: পুরুষের রসবোধ নারীর আরাধ্য। কাউকে হাসিমুখে থাকতে দেখলে অন্যের ভালো লাগবে, এটাই স্বাভাবিক। আর যদি মানুষটি অন্যকে হাসাবার ক্ষমতা রাখেন, তা হলে তো কথাই নেই। সঙ্গীর সঙ্গে মৃদু কৌতুক করা বা কোনোভাবে তাঁকে মজা দেওয়াকে অবশ্যই পুরুষের মধ্যে একটি আরাধ্য বিষয় হিসেবে ভাবেন নারীরা। আর যে পুরুষ হাসিমুখেই একটা খারাপ পরিস্থিতিতেও খাপ খাইয়ে নিতে পারেন বা দুর্দশা নিয়েও কৌতুক করতে পারেন, তাঁর জন্য তো মুক্তোর মালা নিয়ে বসে থাকবেন নারী।
আত্মবিশ্বাস: আত্মবিশ্বাসী পুরুষের প্রতিই প্রবল আকর্ষণ অনুভব করেন নারী। দেখার প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যেই একজন পুরুষের আত্মবিশ্বাসের স্তর বোঝার চেষ্টা করেন নারী। পাশাপাশি ওই পুরুষটি তাঁর চারপাশের পরিবেশ পরিস্থিতিতে কতটা প্রভাব ফেলছেন বা কেমনভাবে তা মোকাবিলা করছেন, সেটা বোঝার চেষ্টা করেন নারীরা। তবে পুরুষকে বুঝতে হবে দাপট দেখানো আর আত্মবিশ্বাস এক কথা নয়। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো একজন পুরুষ কতটা স্পষ্ট এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম, তা বিবেচনা করেন নারীরা।
আলাপচারিতা: পুরুষেরা সাফল্যের সঙ্গে সমাজে এমন ধারণা প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন যে তাঁরাই শক্তিশালী এবং তাঁরা কম কথা বলেন। তাই অনেক নারীই হয়তো আশা করেন না যে একজন পুরুষ সারাক্ষণ কথা বলতে থাকবেন। তবে, যেটা লক্ষ রাখা দরকার তা হলো, সঙ্গী পুরুষটি নারীটির মনোযোগ ধরে রাখতে পারছেন কি না। একজন পুরুষ অনেকটা সময় ধরে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে তাঁর প্রতি শারীরিকভাবে আকর্ষণ অনুভব করতে পারেন নারী। তাই কথা বলুন প্রাণ খুলে, নিজেকে নিজের মতো করেই উপস্থাপন করুন আলাপচারিতায়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন