প্রসব করাতে গিয়ে সদ্যজাতের মাথা ছিঁড়ল ডাক্তার
বাচ্চার প্রসব করাতে গিয়ে সদ্যজাতের মাথাই ছিঁড়ে ফেলার ফেলার অভিযোগ উঠল ডাক্তারের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ থানার অনুপ নগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ঘটনায় প্রসূতির পরিবার চিকিৎসকদের দিকে অভিযোগআঙুল তুলেছে। তবে চিকিৎসকদের দাবি শিশুটি আগেই মারা গিয়েছিল।
শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে অনুপ নগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হয় সুতির বাহাগল পুরের বাসিন্দা আলতি বিবি। রাতে প্রসব করানোর জন্য তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ সেই সময়েই কর্তব্যরত ডাক্তার অভিজিৎ দাসগুপ্ত প্রসব করাতে গিয়ে সদ্যজাতের মাথা ছিঁড়ে ফেলে। এরপর প্রসূতিকে আলতি বিবিকে রেফার করে দেওয়া হয় জঙ্গীপুর মহাকুমা হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে পাঠানো হয়। সামসেরগঞ্জ থানায় ডাক্তারের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আলতি বিবির পরিবার। পুলিশ ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে।
আলতি বিবির শাশুড়ির অভিযোগ বাচ্চা খালাস করতে গিয়ে মাথা ছিঁড়ে দিয়েছে ডাক্তার। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে নিয়ে এসে তার পর বাচ্চা বাকি অংশ বার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বামী জাহাঙ্গীর শেখের অভিযোগ, “আমি রিপোর্ট আনতে গিয়েছিলাম। তখনি ডাক্তার বাচ্চা খালাস করতে যায়। যখন আসি তখন একটা ব্যাগ হাতে দিয়ে গাড়িতে রুগি তুলতে দেখি। পড়ে ওই ব্যাগের মধ্যেই বাচ্চার মাথা দেখেছি।”
তবে ঘটনা সম্পর্কে চিফ মেডিক্যাল অফিসার নিরুপম বিশ্বাস জানিয়েছেন গর্ভাবস্থা সময়ে চিকিৎসক এর পরামর্শ না নেওয়ার কারনে এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, “ওই প্রসূতি ঝাড়খন্ডের। প্রসবের আগে কোন রকম টিটেনাশের ইনজেকশন নেয়নি। কোনরকম চিকিৎসাও করানো হয়নি।” তার অভিযোগ শিশুটি তিন থেকে চার দিন আগেই পেটের ভিতরে মারা গিয়েছিল। তিনি আরও বলেন, “এই অবস্থায় ডাক্তার বাবুদের কর্তব্য মৃত শিশুটিকে পেট ত্থেকে বের করে আনা। পেট থেকে মৃত শিশু বার করতে পারলে মা মারা যেত। কর্তব্যরত ডাক্তার বাবু সেই কাজটাই করেছেন।”
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন