‘প্রস্তাবিত বাজেটে মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতার সঙ্গে দুটি উৎসব ভাতা যুক্ত করা হচ্ছে’
প্রস্তাবিত বাজেটে মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতার সঙ্গে দুটি উৎসব ভাতা যুক্ত করা হচ্ছে। ফলে এবারই প্রথম দুই ঈদে উৎসব ভাতা পেতে যাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসব ভাতা ছাড়াও সামাজিক সুরক্ষার পরিধি ও অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সরকার, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সরকার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্য ও স্মৃতি সংরক্ষণ, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেয়া এবং মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও পরবর্তী প্রজন্মের কল্যাণে আমাদের চলমান কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে গণহত্যা-নির্যাতন, বধ্যভূমি, গণকবর চিহ্নিতকরণ, এ সংক্রান্ত তথ্যভান্ডার তৈরি, প্রদর্শনী এবং প্রকাশনার লক্ষ্যে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগও আমরা গ্রহণ করবো।
উৎসব ভাতা প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, এবারই প্রথম এই উৎসব ভাতা যোগ হচ্ছে। দুই লাখেরও বেশি মুক্তিযোদ্ধা এখন থেকে দুই ঈদে ১০ হাজার টাকা করে উৎসব ভাতা পাবেন। তবে এবার তাঁদের এই দুটি উৎসব ভাতার সঙ্গে গত বছরের দুই ঈদের উৎসব ভাতা যোগ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যেন পরিবার নিয়ে ঈদ করতে পারেন, সে জন্যই এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সারাদেশে ১০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনার কথা বাজেট অধিবেশনে জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
এছাড়াও প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে বরাদ্দও।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা সাড়ে ৩১ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ লাখ করা হয়েছে। বিধবা ও স্বামীর দ্বারা নিগ্রহের শিকার নারীদের ভাতা প্রাপ্তির পরিধিও ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এ সংখ্যা বাড়িয়ে ১২ লাখ ৬৫ হাজার করা হয়েছে। অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের ভাতা দেওয়ার হার বাড়ানোরও প্রস্তাব করা হয়েছে। এ খাতে ভাতা ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে। উপকারভোগীর সংখ্যা ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রতি পর্যায়ে পাঁচ হাজার করে বাড়িয়ে মোট ১০ হাজার করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তৃতীয় লিঙ্গের জন্য বিশেষ বরাদ্দ গত বারের চেয়ে ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বাড়িয়ে ১১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
ক্যানসার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে পক্ষাঘাতগ্রস্ত এবং জন্মগতভাবে হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীদের সহায়তায় বরাদ্দ ২০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।
দুগ্ধদানকারী কর্মজীবী মায়েদের ভাতাপ্রাপ্ত উপকারভোগীর সংখ্যা আগের চেয়ে ২০ হাজার টাকা বাড়িয়ে দুই লাখ করার প্রস্তাব করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন
সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার
এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন