প্রস্তুত জল্লাদ যে কোন সময় ফাঁসি কার্যকর
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপনের সঙ্গে আজ তার মা ও বাবাসহ স্বজনরা দেখা করেছেন। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কারাগারে বাবা, মাসহ পরিবারের চার সদস্য তার সঙ্গে দেখা করেন। গতকাল সোমবার রিপনের সঙ্গে তার কয়েকজন নিকটাত্মীয় দেখা করেন। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার ছগির মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে রাষ্ট্রপতি তার প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেন বলে কারাগার সূত্র জানায়। এ প্রাণভিক্ষার নাকচের আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে সিলেট কারাগারে পৌঁছেছে।
নাকচের আবেদন পর কারা কর্তৃপক্ষ রিপনকে তা পড়ে শোনান। এর আগে গত ২২ মার্চ ফাঁসির দন্ডাদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় রিপনকে পড়ে শোনানো হয়। জেল সুপার ছগির মিয়া বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফাঁসি কার্যকরের নির্বাহী আদেশ পাঠালে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে। ফাঁসি কার্যকরের সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে রিপন বর্তমানে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে। ওপর দুই আসামি হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নান ও শরীপ শাহেদুল বিপুল বর্তমানে কাশেমপুর কারাগারে রয়েছে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, রিপনকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। ফাঁসির আদেশ কার্যকর করতে মঞ্চ তৈরি ও কারাগারের ৮ থেকে ১০ জন জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।
২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ মামলার ৫ আসামির মধ্যে ‘মুফতি’ হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদন্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন।
২০০৯ সালে আসামিরা জেল আপিল করেন। বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখে গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন দুই আসামি ‘মুফতি’ হান্নান ও বিপুল। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর আসামিদের আপিল খারিজ করে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। আসামিরা এ রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ আবেদন জানালে গত ১৯ মার্চ তা খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।
রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত ২১ মার্চ প্রকাশিত হয়। পরে তিন জঙ্গির মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর করে কারাগারে পাঠান বিচারিক আদালত। মৃত্যু পরোয়ানা ও চুড়ান্ত রায় প্রকাশের পর গত ২৭ মার্চ পৃথকভাবে ‘মুফতি’ হান্নান, বিপুল ও রিপন স্ব স্ব কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানান।
শনিবার রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেয়ার পর নির্বাহী আদেশ ও জেলকোড অনুসারে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে বলে জানান কারা কর্তৃপক্ষ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আনার হত্যার মাস্টারমাইন্ড শাহীনকে ধরতে ডিবির পরিকল্পনা
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ধারণা, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমবিস্তারিত পড়ুন
তৃতীয়বার আনারকে মনোনয়ন দিয়েছি জনপ্রিয়তা দেখে: কাদের
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম (আনার) স্বর্ণ চোরাচালানকারীবিস্তারিত পড়ুন
মাস্টারমাইন্ড শাহীনের অগাধ রহস্য
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের কলকাতায় হত্যাকাণ্ডেবিস্তারিত পড়ুন