প্রেতাত্মা নয়, মেয়েটির শিক্ষকই তার সন্তানের পিতা
ভারতের মধ্যপ্রদেশের সতনা জেলার বাসিন্দা দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী দেবেন্দ্রনগর এলাকার কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। ঘটনাটি ঘটে গত ৩১ জানুয়ারি।
তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, তার সন্তানের পিতা কে, সে জানায়, এক প্রেতাত্মার ধর্ষণের ফলে সে গর্ভবতী হয়েছে। এক প্রেতাত্মা নাকি প্রতি রাত্রে জোর করে তার সঙ্গে সঙ্গম করে যেত। এবং তার ফলেই সে গর্ভবতী হয়।
বলাই বাহুল্য, কিশোরীর এই জবানবন্দিতে বিশ্বাসযোগ্যতা ছিল না। পুলিশ তাই সত্যোদ্ঘাটনের জন্য কিশোরীর কাউন্সেলিং করা শুরু করে। সতনার মহিলা থানার কর্মচারী রিনা সিংহ সদ্য মা হওয়া কিশোরীকে টানা জেরা এবং কাউন্সেলিং করে চলেন। তার পরেই সামনে আসে প্রকৃত ঘটনা। জানা যায়, মেয়েটির শিক্ষকই তার সন্তানের পিতা।
পুলিশের কাছে মেয়েটি জানিয়েছে, ভাগীরথ আহিরবার (৩৬) বিগত ১৬ সাল ধরে সতনারই একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। বছর কয়েক হলো, তিনি সিনিয়র শিক্ষক পদে উন্নীত হয়েছেন। ছাত্রীর বাড়ির কাছেই একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ওই শিক্ষক। একে প্রতিবেশী, উপরন্তু ওই শিক্ষক যে স্কুলে পড়ান, সেই স্কুলেরই ছাত্রী ওই কিশোরী। সেই সূত্রে উভয়ের সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। তারই পরিণতি মেয়েটির গর্ভবতী হয়ে পড়া।
জানা গেছে, ওই শিক্ষক বিবাহবিচ্ছিন্ন। বিগত কয়েক বছর ধরে মেয়েটির সঙ্গে তার ভালোবাসার সম্পর্ক রয়েছে। পুলিশকে মেয়েটি জানিয়েছে, ভাগীরথ তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাকে বাঁচানোর জন্যেই সে প্রেতাত্মার হাতে ধর্ষিত হওয়ার গল্প ফেঁদে বসে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকার সঙ্গে সহবাসের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষকতে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন