প্রেমিকা নয়, ভাইয়ের জন্য কান কেটেছিলেন ভ্যান গগ
ঠিক কী কারণে বিখ্যাত চিত্রশিল্পী ভ্যান গগ তার কান কেটেছিলেন- ভালোবাসা? ক্রোধ ? নাকি ঈর্ষা? এক শতাব্দিরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এর সঠিক উত্তর মেলেনি। তবে মার্টিন বেইলে নামে এক গবেষক তার নতুন বই স্টুডিও অব দ্য সাউথে দাবি করেছেন, আদরের ভাই থিও’র বিয়ের খবর শুনেই কান কেটেছিলেন হতাশ ভ্যান গগ।
মার্টিন বেইল দাবি করেছেন, ১৮৮৮ সালের ২৩ অক্টোবর গগ তার আদরের ছোট ভাই থিও’র কাছ থেকে তার বিয়ের চিঠি পান। থিও ছিলো গগের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু ও অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদানকারী। ভাইয়ের এ খবরে হতাশায় মুষড়ে পড়েছিলেন গগ। কারণ তখন পর্যন্ত তার একটি ছবিও বিক্রি হয়নি। গগের আশঙ্কা ছিল, বিয়ের কারণে থিও পারিবারিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়বে এবং তাকে কোনো অর্থনৈতিক সহযোগিতা করতে পারবে না।
যে দিন ভ্যান গগের হাতে থিও’র চিঠিটি এসেছিল তার আগে আরেক বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পল গ্যঁগার সঙ্গে মন কষাকষি হয়ে গেছে গগের। সারা দিন দুজন একসঙ্গে ছবি আঁকার পর গ্যঁগা হুমকি দিয়েছিলেন তিনি আর্লেস ছেড়ে প্যারিসে চলে যাবেন। এতে আরো হতাশায় ভুগতে শুরু করেন গগ। তীব্র হতাশায় গগ ওই রাতে তার কেনে কেটে ফেলেন এবং কাটা অংশটি তিনি তার প্রিয় বেশ্যালয়ের এক দেহ ব্যবসায়ীর কাছে দিয়ে আসেন। ওই নারীর কাছে নিয়মিত যাতায়াত করতেন গগ।
তবে বেইলের এ দাবির আগে গগের কান কাটার বিষয়ে যে গল্পটি প্রচলিত রয়েছে সেটি হচ্ছে, ভ্যান গগের আমন্ত্রণে আর্লেসে আসার পর গ্যঁগা বেশ বিরক্ত হয়েছিলেন শহর দেখে। এছাড়া গগের সেই বিখ্যাত হলুদ বাড়িটিও তার পছন্দ হয়নি। এক পর্যায়ে দুই শিল্পির মধ্যকার সম্পর্ক তিক্ততার পর্যায়ে চলে যায়।
১৮৮৮ সালের ক্রিসমাসের দিন ভ্যান গগ মদের গ্লাস ছুঁড়ে মারেন পল গগ্যাঁর দিকে। গ্লাস লক্ষ্যচ্যুত হলে গগ ক্ষুর নিয়ে আক্রমণ করে বসেন গগ্যাঁকে। গগ্যাঁ পালিয়ে গিয়ে বাঁচলেও গগ সেই রাগ ঝাড়লেন নিজের উপর। ক্ষুর দিয়ে কেটে ফেললেন নিজের ডান কানের লতি। সেই কাটা কান তিনি উপহার হিসেবে পাঠালেন পরিচিত এক দেহ ব্যবসায়ীর কাছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন