‘প্রেমিক আর আমি একসঙ্গে থাকি, বিয়ে করিনি…
সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ক্যারোলিন হ্যাক্স। তার কাছে চিঠি লিখে নিজের সমস্যার কথা জানান অনেকে।
বিভিন্ন পরামর্শ দেন তিনি। এখানে এমনই একজনের সমস্যা ও তার সমাধানে ক্যারোলিন কি বলছেন তা জেনে নিন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী লিখেছেন, মাস দুয়েক আগে প্রেমিক আমার অ্যাপার্টমেন্টে এসে ওঠে। আমরা একসঙ্গে থাকতে শুরু করি। এতে অনেক উপকার হয় দুজনেরই। বিশেষ করে দুজনের অর্থ একযোগ করে আমরা সুন্দরমতো চলতে পারছিলাম। এর আগে আমরা তিন বছর ডেটিং করেছি।
আমার বাবা-মা রক্ষণশীল খ্রিষ্টান। তারা বিষয়টি জেনে ফেলেন এবং পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। তারা আমার বিষয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। তাদের কাছে এটা পাপের কাজ। আমাকে বলে দিয়েছেন যে, আমার এখন তিনটি পথ খোরা রয়েছে। আমি তার (প্রেমিক) সঙ্গে থাকতে চাইলে একেবারে তাদের ছেড়ে চলে আসতে হবে। এই পাপাচার করে চার্চের অধীনে চলে যেতে হবে। কিংবা তার সঙ্গে থাকতে পারি যদি চার্চে না যাই।
এখন আমি বড় হয়েছি। আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতিতে এভাবে অনেকেই থাকেন। কিন্তু প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে চাইলে বাবা-মা আঘাত পাবেন। আমি চাই না প্রেমিক সম্পর্কে তাদের মনে নেতিবাচক চিন্তা আসুক। আমরা এখন বিয়ে করে ফেলার পরিকল্পনা করেছি এবং চাই প্রেমিককে বাবা-মা পছন্দ করুক।
প্রেমিক বনাম বাবা-মা: ক্যারোলিন বলছেন, আসলে এ অবস্থা থেকে আপনাকে বেরিয়ে আসতে হবে। এটা মূল লক্ষ্য। তার আগে ভেবে দেখুন আপনি কি চান? আপনি হয়তো কোনো দিকই ছাড়তে চাইছেন না। যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে প্রেমিকের সঙ্গে থাকা বা তাকে বিয়ে করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে চান, তো পরিস্থিতিও মেনে নিতে হবে। বিয়ের বাধ্যবাধকতার বাইরে থেকে যদি প্রেমিকের সঙ্গে বাস করতে চান, সে ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার বিষয়টি মাথায় রাখবেন। যদি তাদের খুশি রাখতে চান তো প্রেমিকের সঙ্গে কিছুটা ব্যবধান রাখতে হবে। যদি মনে করেন, অর্থনৈতিক বিষয়ে সুবিধার জন্য দুজন একসঙ্গে থাকতে চান, তবে বাবা-মায়ের নৈতিক চিন্তার ক্ষেত্রটি মেনে নিতে হবে।
আপনার চিঠিটা এমন যে, আপনি হয়তো এখন পর্যন্ত নিজে কি চান তার সম্পর্কে সচেতন নন। আপনি আসলে কয়েকটি পরিস্থিতির কথা জানান দিয়েছেন। কাজেই এই পরিস্থিতিতে কি করতে হবে তার পথ তৈরি করতে নীতিগত সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এ অবস্থাকে অনেকটা ‘প্রেমিক বনাম বাবা-মা’ হিসাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি।
ঠিক করে নিন, আসলে আপনি কে? আপনি কেমন থাকতে চান? কোনটা আপনার জন্য বেশি জরুরি? আপনা চাওয়া-পাওয়া ঠিক করলে নিজেই বুঝতে পারবেন কি করতে হবে।
আসলে সবাই আপনাকে পছন্দ করবে এমন কাজ কখনো করতে পারবেন না। আপনি কেবল চিন্তাশীল কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। নিজের চিন্তাধারার সঙ্গে বাস করতে পারেন। আপনিই জানেন এটা ঠিক কি বেঠিক। মনে এটা ধরে রেখেই এগিয়ে যান।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন