প্রেমিক কিনে দিয়েছিল শিশুকন্যা! এখন কাঁদছেন মা
তিনতলা বাড়ির ছাদে সাত ফুট বাই ১০ ফুটের ঘর জুড়ে শুধুই এক কন্যাশিশুর ছবি। গত ছয় মাস ধরে তার ফ্রেমবাঁধানো কার্যকলাপ।
সোমবার দুপুরে একটি ছবি দেখিয়ে এক যৌনকর্মী বললেন, দুদিন কিছুই খায়নি ও। কোনও কথা শুনছে না। বাবুরাও এসে ফিরে যাচ্ছেন। আর ও কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, আমরা ছয় বোন এখানে কাজ করি। বছরখানেক আগে আমার বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়।
এরপর মেয়েটা আমাদের ঘর আলো করে এসেছিল। বুঝিনি এভাবে ওকে ফিরিয়ে দিতে হবে। দুর্গাচরণ মিত্র স্ট্রিটের ওই বাড়ি থেকে গত শুক্রবার আড়াই বছরের কন্যাশিশুটিকে উদ্ধার করে হোমে দিয়েছে মানিকতলা এবং বড়তলা থানার পুলিশ।
কারণ, কন্যাটি মানিকতলা-কাণ্ডে বিক্রি হওয়া তিন শিশুর একটি। গর্ভপাতের অবসাদ কাটাতে ওই যৌনকর্মীকে শিশুকন্যাটি ‘উপহার’ দিয়েছিল তাঁর প্রেমিক দেবজিৎ শেঠ।
প্রসঙ্গত, নিজের তিন সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে গত ২ জুন গ্রেফতার করা হয় মানিকতলা রোডের বাসিন্দা সঞ্জীব এবং তার স্ত্রী ঝরনা দাসকে। গ্রেফতার হয় পেশায় আয়া ডলি শেঠ এবং তার পুত্র দেবজিৎ। দেবজিতের সূত্র ধরেই সোনাগাছিতে শিশুটির খোঁজ পায় পুলিশ।
শিশুটিকে উদ্ধারের পাশাপাশি আটক করা হয় ছ’জন যৌনকর্মীকেও। জিজ্ঞাসাবাদের পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। জেরায় পুলিশ জানতে পারে, ওই ছয় যৌনকর্মীর একজনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল দেবজিতের। সে-ই ওই যৌনকর্মীকে শিশুটি দিয়েছিল।
মানিকতলা থানার এক অফিসার জানান, বছর পাঁচেক ধরে সোনাগাছিতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল দেবজিতের। এরমধ্যেই ওই যৌনকর্মী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তবে তাঁর গর্ভপাত হয়। সেই অবসাদ কাটাতেই দেবজিতের ওই সিদ্ধান্ত।
পুলিশের অনুমান, ২৫ হাজার টাকায় দাস দম্পতির থেকে শিশুকন্যাটিকে কিনেছিল দেবজিৎ নিজেই। যদিও এক যৌনকর্মীর দাবি, ও যে এভাবে বাচ্চাটাকে এনেছিল, আমরা কেউ তা জানতাম না। তাঁর কথা থামিয়ে দিয়ে কেঁদে ওঠেন শিশুটির ছয় মাসের মা! বলেন, ও কি এখানে খারাপ ছিল? হোমে গিয়ে কি এখানকার থেকে ভাল থাকবে মেয়েটা?
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন