প্রেমের জন্য শেষ পর্যন্ত জীবন দিল তানিয়া..!
প্রেমের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে পাঁচ দিন আমরণ অনশন করেছে। প্রেমিকা বাড়িতে অবস্থান করছে এই ঘটনা টের পেয়ে প্রেমিক বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। প্রেমিকের পরিবার বিয়ের দাবি মেনে না নেয়ায় এবং প্রেমের স্বীকৃতি না পেয়ে অবশেষে সোমবার রাতে প্রেমিকের বাড়িতেই বিষপানে আত্মহত্যা করে মেয়েটি।
ঘটনাটি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ৯ নং বহুরিয়া ইউনিয়নের মুন্দিরাপাড়া গ্রামে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, মুন্দিরাপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আবু রায়হান (২২)। সে মির্জাপুর বাজারের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মার্কেটে গার্মেন্টসে কাজ করে। মোবাইলের সূত্র ধরে একই উপজেলার বাঁশতৈল নয়াপাড়া পাঁচগাও গ্রামের কাতার প্রবাসী মো. নজরুল ইসলামের কন্যা বাঁশতৈল নয়াপাড়া হাজী ময়েজ উদ্দন দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী তানিয়া (১৪) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
দীর্ঘ দিন ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে রায়হান তানিয়াকে বিয়ে করবে এই আশ্বাসে তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হয় বলে জানা যায়। এভাবে দীর্ঘ দিন চলার পর রায়হানকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে নানা ভাবে টালবাহানা শুরু করে বলে তানিয়া অভিযোগ করে।
গত শুক্রবার মোবাইলে রায়হানের সঙ্গে যোগাযোগ করে তানিয়া নিজ বাড়িতে বাবা-মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে রায়হানদের বাড়িতে উঠে বসে। তানিয়া বাড়িতে অবস্থান করছে এই ঘটনা টের পেয়ে প্রেমিক রায়হান বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
মৃত্যুর আগে তানিয়া সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমার সব শেষ হয়েছে শুধু রায়হানের কারণে। এখন সে আমাকে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করবো। শেষ পর্যন্ত নিজের জীবন দিয়ে সে প্রমাণ করেছে, রায়হানের কারণেই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হয়েছে তাকে।
এ ব্যাপারে রায়হানের পিতা আব্দুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। ছেলে পলাতক রয়েছে। সোমবার রাতে তানিয়া বিষপান করলে স্থানীয় লোকজন গুরুতর অবস্থায় তাকে কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে আসে, সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকেই রায়হান ও তার পরিবার পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে গুরুতর অবস্থায় আহত তানিয়াকে কুমুদিনী হাসপাতালে দেখার জন্য উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো. হাবিবুর রহমান খান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আহসান হাসিব খান, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম ও কৃষি অফিসার মুহাম্মদ আরিফুর রহমান দেখতে যান। তারা তানিয়াকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
মির্জাপুর থানা পুলিশ সূত্র জানায়,খবর পেয়ে লাশ থানায় আনা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন