প্রাথমিক তদন্তে প্রকাশ, উভয়েরই বাড়ির কেউ তাঁদের প্রেমকে মেনে নিতে রাজি হননি। প্রেমিকার অন্যত্র বিয়েও ঠিক ঠিক করেছিলেন তাঁর বাবা পরেশ রায়।

প্রেমে বাড়ির সায় না মেলায় আত্মহত্যার হত্যার পথই বেছে নিলেন প্রেমিক যুগল। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে একসাথে বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দু’জনে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে প্রেমিকার ঘরের মধ্যেই গলায় ফাঁস দিয়ে যুগলে আত্মহত্যার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

মৃত দু’জনের নাম বুদ্ধি সরকার ও তনু রায়। দু’জনেই কলেজের তৃতীয় ও প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কুমারগঞ্জের আজাদপুরে বাড়ি বুদ্ধি সরকার ও দুই কিলোমিটার দূরে কুলহরী গ্রামের তনু রায় পরস্পরকে বছর দুইয়েক ধরে ভালোবাসতেন।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, উভয়েরই বাড়ির কেউ তাঁদের প্রেমকে মেনে নিতে রাজি হননি। প্রেমিকা তনুর অন্যত্র বিয়েও ঠিক ঠিক করেছিলেন তাঁর বাবা পরেশ রায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁরা দুজনে একসঙ্গে বারুণী মেলাতেও গিয়েছিলেন।

বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তনুর সঙ্গে বুদ্ধি রাতে তাঁদের বাড়িতে যান। রাতভর কীর্তন শুনে তনুর বাবা পরেশ রায় শুক্রবার বাড়ি ফিরে দেখেন, ঘরের মধ্যে দুজনের মৃতদেহ ঝুলছে। খবর পেয়ে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ দুইটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দেয়।

বিয়ে দিতে বাড়ির লোকেরা সম্মতি না দেওয়ায় তাঁরা দু’জনে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলেই প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।