প্রেম অতঃপর হিন্দু থেকে মুসলিম, ভিন্ন জাতের ফাঁদে সর্বশান্ত শেফালী
ভিন্ন জাতের প্রেমের জালে ফেসে সর্বশান্ত শেফালী নামের এক গৃহবধু। ৩ মাসের ফুটফুটে কন্যা শিশুকে নিয়ে পথে পথে দিক-বেদিক ঘুরছে বিচারের দাবীতে। নও-মুসলিম স্বামী আজিজুর রহমান রিয়াজ ওরফে ‘রাজিব ব্যানার্জির’ প্রতারণার শিকার হয়েছে সে।
১ বছরের সংসার জীবনে ৩ মাসের কন্যা শিশুকে রেখে হিন্দুসম্প্রদায়ের পিতা-মাতার প্ররোচনায় আজিজুর রহমান রিয়াজ (রাজিব ব্যানার্জি) গত ১ মাস পূর্বে ভারতের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে। এ ঘটনায় স্ত্রী শেফালী সাতক্ষীরার দেবহাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে। ডায়েরী নং ৮৫১, তারিখ ২৫/৫/১৭ইং।
আজিজুর রহমান রিয়াজ অরফে রাজিব ব্যানার্জির পিতা রবিন্দ্রনাথ ব্যানার্জি তালা বি. দে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসাবে সম্প্রতি অবসর নেওয়ায় তার চাকরী জীবনের সমুদয় টাকা ও অবসরের পেনশিয়ানের কয়েক কোটি টাকা রাজিব ব্যনার্জির মাধ্যমে ভারতে পাচার করেছে।
তাদেরই প্ররোচনায় রবিন্দ্রনাথ ব্যানার্জির জামাতা খুলনার চালনা থানার বটবুনিয়া গ্রামের মৃত ওমাপদ চক্রবর্তীর পুত্র দেবাশিষ চক্রবর্তী ও সাতক্ষীরা সদর থানার মাগুরা গ্রামের মৃত দুর্গাপদ ব্যানার্জির পুত্র পবিত্র ব্যানার্জির কুপরিকল্পনায় বর্তমান গা ঢাকা দিয়েছে নও-মুসলিম রিয়াজের মাতা কবিতা ব্যানার্জি।
বর্তমানে জামাতা দেবাশিষ চক্রবর্তী তালা উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের তাদের সমুদয় সম্পত্তি গোপনে বিক্রির পায়তারা করছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনাসহ ঐ পরিবারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে এলাকাবাসী। তাদের দাবী একটি অসহায় মুসলিম মেয়েকে প্রেমের ফাদে ফেলে তাকে সর্বশান্ত করে কেন এখন তারা ভারতে পাড়ি জমাচ্ছে? বাংলাদেশ থেকে অর্জিত কোটি টাকার সম্পদ কিভাবে ভারতে পাচার করছে তা জনমনে প্রশ্ন।
অনুসন্ধানী এ প্রতিবেদনে জানা গেছে, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের রবিন্দ্রনাথ ব্যানার্জির একমাত্র পুত্র রাজিব ব্যানার্জি জেলার দেবহাটা থানার টাউনশ্রীপুর গ্রামের দিনমজুর অসহায় শহিদুল ইসলামের একমাত্র কন্যা শেফালীকে মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাদে ফেলে। পরবর্তীতে প্রেমকে বাস্তবায়ন করতে সুন্দর সুশ্রী শেফালীকে সাতক্ষীরা নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ পূর্বক এফিডেভিটের মাধ্যমে শেফালীকে বিবাহ করে।
বিবাহের পর ধর্ম ত্যাগকারী রাজিব ব্যানার্জি অরফে আজিজুর রহমান রিয়াজ স্ত্রী শেফালীর পিত্রালয়ে সংসার পাতে। প্রেমের পরিনয় সংসার জীবনে তাদের ঘর আলো করে এক ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। যার নাম পিতামাতা সাধ করে রেখেছিলেন নুপুর। নুপুর এখনো কথা বলতে শেখেনি কিন্তু তার কচি মুখে মিষ্টি হাসি সমুজ্জল। সে বুঝতে শেখার আগেই পিতার আদর, স্নেহ, ভালোবাসা ও সম্পদ থেকে চরমভাবে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শেফালী এ প্রতিবেদককে অশ্রুসজল নয়নে বলেন, ‘কি পাপ করেছিলাম আমি? কেনই বা আমার সাথে সংসার পেতে সন্তান জন্ম দিলো? এক বছরের সংসারে আশার আলো দেখিয়ে সে বলেছিল আমার পিতার একমাত্র সন্তান আমি তোমার কোন ভয় নেই। একথার আশ্বাসেই দিনমজুর পিতার কষ্টে অর্জিত কয়েক লক্ষ টাকা হাতে তুলে দিয়েছিলাম।
ব্যবসার নামে আমার গ্রামের বাড়িতে কয়েক লক্ষ টাকার ঋনের ফাদে জড়িয়ে পিতা মাতার কুপ্ররোচনায় ভারতে পাড়ি দিয়ে আমাকে অথৈই সাগরে ভাসিয়ে গেলো। আমি বর্তমানে না পারছি স্বামীর বাড়িতে উঠতে, না পারছি বাবার বাড়িতে উঠতে। ৩ মাসের শিশুকে নিয়ে পথেই রাতদিন কেটে যাচ্ছে অভুক্ত অবস্থায়’। শেফালী করুন আকুতি করে বলে, ‘এদেশে কি কোন আইন, মানবাধিকার সংস্থা কিছুই নেই। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম তাই বলে ছোট্ট শিশুকে রেখে যে পরিবার ভারতে পাড়ি দিতে পারে তাদের কি কোন বিচার হবে না?’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন