পড়াশুনা করতে চাওয়ায় স্বামীর অত্যাচারে স্ত্রী হাসপাতালে
বরগুনা প্রতিনিধি: দফায় দফায় নির্যাতন সয়ে স্বামীর পায় হাত ধরেও কোন কিছুতেই মেলেনি শারমিন আকতার নিপার নির্বিঘেœ পথ চলার নিশ্চয়তা। তিনি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের মোঃ আবুল হোসেন হাওলাদারের মেয়ে ও বেতাগী গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজের ভোকেশনাল শাখার ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ভালোবাসার কথা বলে যে যুবক বিয়েতে বাধ্য করে ছিল সেই স্বামীই আজ জীবনের কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
শারমিন আকতার নিপা জানান, সদর ইউনিয়নের ভোলানাথপুর গ্রামের আবদুস সোবাহানের ছেলে মোঃ সানোয়ার হোসেনের (৩৫) সাথে ২০১৬ সালে জানুয়ারী মাসে পরিবারের চাপে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের পিড়িতে বসেন। বিয়ের ১০ দিনের মাথায় স্বামী সানোয়ার হোসেন নগত অর্থ দাবি করে। নিপা তৃতীয় বারে শ্বশুর বাড়ি গেলে টাকা না নিয়ে যাওয়ায় শুরু হয় মারপিট লাথী,ঘুষি। এক পর্যায় গাঢ় ধরে খাট থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এর পরথেকেই স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা নানাভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে। নিপা জানান, একাধিকবার তাকে নির্যাতনের পর বাবার বাড়ি বেশি দুরে না হওয়ায় যেতে চাইলে কাউকে কিছু না বলতে পারি সে জন্য পা গুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এ দিকে স্কুল ছাড়তেও বাধ্য করেন স্বামী। ক্লাশে যেতে বাঁধা দিয়ে ভবিষৎতে নিজের পায়ে যেন না দাড়াঁতে পারে বড় হওয়ার সে স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে। ৮ মাসের বৈাহিক জীবনে মাত্র ২ মাস কেটেছে শ্বশুরবাড়ি। নিপা জানান, এছাড়াও স্বামীর একাধিক প্রেমের ঘটনা ও বিয়ে রয়েছে। অসৎ সঙ্গে মিশে জড়িয়ে পড়ে নেশার জগতে ঢুকেছে যা তার পরিবার আগে জানতেন না। স্বাামীর নির্যাতন এড়াতে মেয়ের লেখাপড়ার ইচ্ছায় গেল ইদুল ফিতরের পর থেকে নিজ বাড়িতে রেখেই নিপাকে লেখাপড়া করাচ্ছিলেন বাবা আবু হাওলাদার। কিন্ত সানোয়ার তাকে নিতে আসলে যেতে রাজি না হয়ে সোমবার (২৯ আগষ্ট) সকাল ৭টার দিকে বাড়ি থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসার পথে বেতাগী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের হিজলতলা এলাকায় পৌঁছলে রাস্তায় পরে থাকা জ্বালানী কাঠ দিয়ে বেধড়ক আঘাত করে সানোয়ার। এতে নিপার মাথা, হাত ও পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ও তার সাথে থাকা একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বান্ধবী রেমিজাও আহত হয়। আহতদের বেতাগী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, নিপার স্বাস্থ্যর অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হলেও মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় এখনো নিবির পর্যবেক্ষনে রয়েছে।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, ৩ জনকে আসামী করে ইতেমধ্যে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আমতলীতে তৃতীয়বার মেয়র হলেন মতিয়ার রহমান
বরগুনার আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগেরবিস্তারিত পড়ুন
বরগুনায় কোটি টাকা মূল্যের তক্ষক উদ্ধার
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ঘুটাবাছা এলাকা থেকে কোটি টাকা মূল্যের ৩টিবিস্তারিত পড়ুন
এক সঙ্গে চার কন্যা প্রসব, মারা গেল তিনজনই
বরগুনার এক গৃহবধূ এক সঙ্গে চারটি কন্যা সন্তান প্রসব করেছেন।বিস্তারিত পড়ুন