ফাঁসির রায় শোনার পর যা করলো কামরুল
আলোচিত শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় ফাঁসির রায় ঘোষণার পর স্বাভাবিক ছিলেন প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম। তাকে বিচলিত বা তার চেহারায় কোনো ভাবান্তর দেখা যায়নি। আদালত চলা থেকে প্রিজন ভ্যানে ওঠা পর্যন্ত কামরুল ছিলেন স্বাভাবিক।
রবিবার বিচারক রায় পড়ার সময় অন্যান্য আসামির সঙ্গে কাঠগড়ায় ছিলেন কামরুল।
রায় ঘোষণার পরপরই আদালতের বারান্দায় মামলার অন্যতম আসামি মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বাদলের মা তুরুনা বেগম হাউমাউ করে কেঁদে উঠলে জনতার রোষানলে পড়েন তিনি। এ সময় উত্তেজিত জনতা বাদলের মাকে তিরস্কার করেন।
এদিকে, রায়ের পর আসামিদের প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতা ‘ফাঁসি-ফাঁসি’ স্লোগানে আদালত চত্বর প্রকম্পিত করে তোলেন। উপস্থিত জনতা এ সময় প্রিজন ভ্যান লক্ষ্য করে জুতা ছুড়ে মারেন।
মামলার রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাষ্টপক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, “আদালত এত অল্প সময়ে এই রায়ের মাধ্যমে নজির স্থাপন করেছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো।”
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম, এ মামলায় আসামিরা খালাস পাবেন। তবে আমাদের উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমরা ন্যায়বিচারের স্বার্থে উচ্চ আদালতে যাব।”
নিহত রাজনের বাবা শেখ আজিজুল ইসলাম প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আদালতের রায়ে আমি সন্তুষ্ট। আল্লাহ আমাদের প্রতি ন্যায়বিচার করেছেন।”
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন করে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে হত্যা করা হয়। নির্যাতনের সময় ঘাতকরা নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিওচিত্রে ধারণ করে, যা পরে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় একে একে মুহিতের স্ত্রীসহ মোট ১২ জনকে আটক করা হয়, যাদের মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে গত ১৬ আগস্ট ১৩ জনকে আসামি করে এ মামলায় আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার।
আদালত ২৪ আগস্ট চার্জশিট আমলে নেন। পরে ২২ সেপ্টেম্বর ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে রাজন হত্যা মামলায় চার্জ গঠন করেন আদালত।
মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আদালত একসঙ্গে ৯টি সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন। পরবর্তী সময়ে ১৫ সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্য নেয়ার আবেদন করলে আদালত ১১ জনের অনুমতি দেন। টানা ৩ দিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২৭ অক্টোবর আদালত মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
দ্বিতীয় দফার বন্যায় সিলেট অঞ্চলে সাত লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি।বিস্তারিত পড়ুন
সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেঞ্চুগঞ্জে দুটি বগি লাইনচ্যুতবিস্তারিত পড়ুন
সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
গত কয়েকদিনের অবিরত হালকা ও ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি এবং ভারতবিস্তারিত পড়ুন