ফিক্সিং, নাকি শুধুই প্রতিহিংসা?
চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরুর আগেই রংপুর রাইডার্স ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বিপক্ষে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গড়িমসি করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। তখন দলের শীর্ষ ক্রিকেটাররা দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ অভিভাবক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের সাথে কথা বলে বিষয়টির সুরাহা দাবি করেন।
অনুশীলন বয়কট করেও আবার আশ্বাসের সুবাদে তারা ফিরেছিলেন মাঠে, এমনকি ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেও তারা পারফরম্যান্স ও পয়েন্টের দিক থেকে ওপরের দিকে থাকা দল। সেই রংপুর রাইডার্রে বিপক্ষেই এবার উঠল ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ।
এই অভিযোগের ভিত্তি হল বহিস্কৃত এক ক্রিকেটারের বক্তব্য ও রহস্যময় এক ফোনালাপ। এই অভিযোগ উত্থাপন করেছেন দলটির বহিস্কৃত ক্রিকেটার জুপিটার ঘোষ। যদিও, রংপুরের দাবি দল থেকে বহিস্কৃত হয়ে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এই অভিযোগ করেছেন জুপিটার।
রহস্যময় ওই ফোনালাপে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির এক কর্মকর্তাকে এক ভারতীয় বাজিকরের সাথে কথা বলতে শোনা যায়। যদিও, রংপুর ফ্র্যাঞ্চাইজি এখন অবধি সেই ফোনালাপের কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই দল থেকে গত পাঁচ নভেম্বর বহিস্কৃত হন বলে দাবি করছেন জুপিটার। তিনি বলেন, ‘এক তারিখ যখন টিম হোটেলে উঠি তখন দলের ম্যানেজার আমাকে একটা প্রস্তাব করেছিলেন যে আমি কিছু অনৈতিক কাজ করতে পারবো কি না। সেটাতে আমি রাজি হইনি।’
তার অভিযোগের তীরটা দলের ম্যানেজার ও সাবেক ক্রিকেটার সানোয়ার হোসেনের দিকে। এই সানোয়ারই বিপিএলের দ্বিতীয় সংস্করণে ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়ানো ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসেরও ম্যানেজার ছিলেন। যদিও তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করে জুপিটারের বিরুদ্ধে পাল্টা শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগ করেন।
রংপুর রাইডার্স কর্তৃপক্ষ রীতিমত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জুপিটারের বিরুদ্ধেই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনেছে। তাদের দাবি, ছিটকে গিয়ে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠেছে জুপিটার। আর সে কারণেই ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে দলকে জড়ানোর চেষ্টা করছেন জুপিটার।
বিপিএলের দেখভালের দায়িত্ব যাদের হাতে সেই বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলকে জুপিটারের বহিস্কারাদেশেরে খবর জানিয়ে আগেই চিঠি দিয়েঠে রংপুর। বিসিবির কাছে জুপিটারও আগে ‘নালিশ’ করেছেন। ২৫ শতাংশ টাকা দেওয়ার পর আর টাকা কেন দিচ্ছে না রংপুর? দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে এই প্রশ্নের জবাব চেয়েছেন জুপিটার।
রংপুর তখন জুপিটারের বিরুদ্ধে শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে ব্যাখ্যা দিয়েছিল। বিসিবি তাদের ব্যাখ্যায় মোটামুটি সন্তুষ্টও ছিল। আর তখনই ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বিরুদ্ধ আনলেন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। যদিও তার কাছে কী ধরণের ‘অনৈতিক’ কাজ করার প্রস্তাব এসেছিল সে ব্যাপারে মুখ খুলেনিন জুপিটার।
শুধু, নিজের বিরুদ্ধে শৃংখলাভঙ্গের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন শুধুমাত্র ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার শর্তে তাকে একাদশে রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রীতিমতো দল থেকে বহিস্কারই করা হয়।
তাহলে এই সপ্তাহতিনেক তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন কেন? জুপিটারের দাবি, তিনি তথ্য প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করেছেন তিনি। এবার তিনি বিষয়টা আইসিসির দু্র্নীতি দমন ইউনিটের নজরে আনবেন। এই জল এখন কতদূর গড়ায় এখন সেটাই দেখার বিষয়।
এখানেই শেষ নয়, গত শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্সের দুই ওপেনারের ভূমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। ম্যাচে আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ করেন ২৬ বলে ১৮ রান। আর পাকিস্তানের নাসির জামসেদ করেন ২৮ বলে ২৭ রান। ১৬২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই ওপেনারের এমন ‘হাল ছেড়ে দেওয়া’ ব্যাটিংও চোখে লেগেছে সংশ্লিষ্টদের। ফলে, এই ঘটনাও বিসিবির মাথাব্যাথার কারণ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন