দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ
ফিরছেন নূর হোসেন, প্রস্তুত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সিলেটের রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে সৌদি আরব থেকে ফেরত আনার একদিন পরেই ভারতের আদালত নূর হোসেনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর ফলে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে দেশে ফেরত আনতে আইনি আর কোনো বাধা থাকল না।
আজ শুক্রবার ভারতের আদালতের এমন নির্দেশে নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ সরকারের নীতি-নির্ধারণী মহল। আদালতের রায় শোনার পরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নূর হোসেনকে আনার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
জানতে চাইলে শুক্রবার বিকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মুঠোফোনে বলেন, নূর হোসেনকে ফেরত আনতে আমরা প্রস্তুত হয়ে আছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যখনই আমাদের জানাবে তখনই তাকে আনতে চলে যাবে আমার টিম।
তিনি বলেন, প্রথমে টেলিভিশন চ্যানেলের মাধ্যমে খবরটি জেনেছি। জানার পরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি প্রস্তুত হওয়ার জন্য। আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া আছে। এখন নির্দেশনা পেলেই নূর হোসেনকে ফেরত আনার কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাউকে পাওয়া যায়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে একাধিকবার ফোন করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রশাসনের সূত্রগুলো বলছে, খুব দ্রুততার সাথেই আদালতের আদেশ কার্যকরা করা হতে পারে। নূর হোসেনকে পুলিশ পেট্রাপোল সীমান্তে নিয়ে গিয়ে প্রথমে বিএসএফের হাতে তুলে দেবে, তারপরে তারা তাকে বিজিবি’র হাতে তুলে দেবে। দুই দেশের মধ্যে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরে এই প্রথম কোনো বিচারাধীন বাংলাদেশি নাগরিককে ভারত থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
নূর হোসেন ও তার দুই সঙ্গীকে গত বছর ১৪ জুন কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে কৈখালি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর তিনি দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারেই বন্দী ছিলেন। তবে তার এক সঙ্গী, খান সুমন, জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরে পালিয়ে যান এবং তার নামে পরোয়ানা জারি হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল অপহরণ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা দুটি মামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর নূর হোসেন ঘটনার পরপরই ভারতে পালিয়ে যান। এরপর কলকাতা শহরের অদূরে বাগুইহাটি নামের একটি আবাসনে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। অবৈধভাবে ভারতে অবস্থানের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়।
বারাসাত পুলিশ জানায়, গত ১৮ আগস্ট এ মামলায় নূর হোসেনসহ তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া আরও দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে। এরপর বাংলাদেশ সরকার নূর হোসেনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে অনুরোধ করে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে নূর হোসেনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে নূর হোসেনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আইন মোতাবেক ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও নূর হোসেনকে অবিলম্বে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এসব নির্দেশ আসার পর বারাসাতের সরকারি কৌঁসুলি এই মামলা থেকে নূর হোসেনকে অব্যাহতি দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য আদালতে আবেদন জানান। এরপরই আদালত আজ এ নির্দেশনা দেয়।
আরো পড়ুনঃ
নূর হোসেনকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের
জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন

নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় দুই শিশু নিহত, আহত ১৭
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে একটি ক্যাথলিক স্কুলে জানালা দিয়েবিস্তারিত পড়ুন