ফেল করে আত্মহত্যা করা সেই হৃদয় পাস করেছে
বরিশালের উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসির পরীক্ষা দিয়েছিলো সর্বজিৎ ঘোষ। গত বুধবার ফলাফর ঘোষনার পর দেখা গেলো ১০ বিষয়ের মধ্যে চারটিতেই এ প্লাস। কিন্তু দুঃখের বিষয় ফেল করলো অপেক্ষাকৃত সহজ বিষয় হিন্দু ধর্ম শিক্ষায়। কঠিন কোন বিষয়ে ফেল নয় ফেল করেছে হিন্দু ধর্মে। আর এই খবর পেয়ে চার তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
পরে এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে ফেল করা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে দ্রুত আবেদন গ্রহণ করে ফল পুনঃনিরিক্ষণ করা হয়। আর সেই পুনঃনিরিক্ষণেই দেখা যায়, সর্বজিত ঘোষ হৃদয় হিন্দু ধর্মে ফেল নয়, তিনি পাশ করেছে। শনিবার ফলাফল পুনঃনিরিক্ষণের পর জানা গেছে সে হিন্দু ধর্মে জিপিএ ৪.৬৭ পেয়ে পাস করেছে। এদিকে সন্ধ্যায় হৃদয়ের পাস করার খবর তার বাড়িতে পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্বজনরা।
এ ঘটনায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক জানান, দুইজন প্রধান পরীক্ষকের অদক্ষতার কারণে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তৈরি হয়েছিল, পরীক্ষার্থীদের উদ্বেগ, অভিভাবকদের উৎকণ্ঠা এবং আমাদের বিপর্যয় সব কিছুর জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। অভিযুক্তদের বিধি মোতাবেক শাস্তি প্রদান করা হবে।
আত্মহত্যা করা মেধাবী শিক্ষার্থী সর্বজিত ঘোষ হৃদয় সংশোধিত ফলাফলে পাশ করেছে কিনা জানতে চাইলে বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, হৃদয়ের আত্মহত্যা দুঃখজনক বিষয়। এজন্য আমরাও শোকাহত। তবে হৃদয়ের রোল নম্বর জানা না থাকায় তার ফলাফল বলা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান বোর্ড চেয়ারম্যান।
তিনি আরো জানান, আমরা ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে নতুন পরীক্ষক নিয়োগ দিয়ে নতুন উত্তরমালা তৈরি করে সকল পরীক্ষার্থী (১০৪৯২) জনের এমসিকিউ (সকল সেট) পুনরায় পরীক্ষা করেছি। এতে এক হাজার ১৪১ জন ফেল থেকে পাশ করেছে।
জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৯ জন। এ পুনঃপরীক্ষণে ৫ হাজার ৮০৯ জনের ফলাফল উন্নীত হয়েছে। সেখান থেকেও নতুন ১৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ফলাফলের শতকরা হারেরও পরিবর্তন হবে।
এর আগে ওই ছাত্রের হিন্দু ধর্মে ফেল ও আত্মহত্যা নিয়ে জেলা প্রশাসনের ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দেওয়ার পরে জেলা প্রশাসক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাথে কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান ফেসবুক গ্রুপ বরিশালের সমস্যা ও সম্ভাবনায় লিখছেন “বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা সূত্রে অবহিত করা যাচ্ছে যে, এসএসসি পরীক্ষা (২০১৬8217) ফলাফল বিশ্লেষনে একটি বিষয়ের নম্বরে অবজেক্টিভ অংশে অস্বাভাবিক কম নম্বর আসাতে ফলাফলে অস্বাভাবিক প্রভাব পড়েছে। বিষয়টি দ্রুত নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সকলের সহনশীলতা ও ধৈর্য কাম্য। পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও সংশিষ্ট সকলের সচেতনতা কাম্য।
রাতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুহম্মিদ শাহ আলমঙ্গীর ফেসবুকে লিখছেন, প্রত্যাশিত ফলাফল না পেলে অথবা ফলাফলে কোনো ভুল দেখা গেলে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করার সুযোগ রয়েছে ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন