ফেসবুক লাইভ পরিণত হলো দারুণ ট্র্যাজেডিতে
দারুণ জনপ্রিয় আর উন্মাদনায় ভরপুর ফেসবুক লাইভ অবশেষে নিদারুণ ট্র্যাজেডিতে পরিণত হলো। ফেসবুক লাইভে ব্রডকাস্টিংয়ের সময় হাজার হাজার মানুষের চোখের সামনে মৃত্যুবরণ করলেন এক মা।
কিন্তু কেউ-ই কিছু করতে পারলেন না।
আরকানসাসের নিজের এক বন্ধুর বাড়ি থেকে ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিং করেন কেইয়ানা হার্নডন। তার এক বছর বয়সী শিশুটিকে কোলে নিয়ে মারা গেলেন মা।
কেএটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই নারী গান গাইতে গাইতে ভিডিওটি চালু করেন। আবারো স্কুলে ফিরে যাওয়ার কথা বলছিলেন তিনি। কিন্তু দর্শকরা খুব দ্রুত তার আচরণ বদলাতে দেখেন। কেউয়ানা খুব দ্রুত মুখ মুছতে থাকেন এবং তার মাথা নাড়াতে থাকেন। স্মার্টফোনটি হাতে নিয়েই ফেসবুক লাইভ করছিলেন তিনি। ২৫ বছর বয়সী ওই মায়ের হাত থেকে মৃত্যুবরণ করার পর স্মার্টফোনটি হাত থেকে পড়ে যায়। তার শিশুটাকেও আর দেখা যায়নি সেখানে।
দুই সন্তানের জননী কেইয়ানার বাবা রিচার্ড হার্নডন বলেন, ফেসবুক লাইভ ভিডিওটি এক-দুই-তিন করে অনেক মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। এটা একটা দারুণ ট্র্যাজিক ফেসবুক লাইভ।
আরেকজন বলেন, একটা মানুষ তার জীবনের শেষ সময়টাতে কিছু বলছেন এবং তা দেখা ও শোনা অদ্ভুত বিষয়। সেই সময় কেউ-ই করতে পারলো না।
কেইয়ানার সৎ বোন কেইশান ব্রাউন বলেন, ফোনটি হাত থেকে পড়ে যায় এবং তা আর হাতে ফিরে আসেনি এবং আমরা কিছুই করতে পারিনি- এ বিষয়টি খুবই অদ্ভুত। তখনই আমাদের কিছু না কিছু করা দরকার ছিল।
ফোনটি হাত থেকে পড়ে যাওয়ার পর তা চালুই ছিল। এর আধা ঘণ্টা পর হার্নডনের এক বন্ধু দ্রুততার সঙ্গে ওই কক্ষে ছুটে আসেন। কেইয়ানাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে তার জীবন চলে গেছে।
এরপর এই ট্র্যাজিক ঘটনার ভিডিওটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। হার্নডনের মা জানান, তার মেয়ে থায়রয়েড সমস্যায় ভুগছিলেন। এর কারণেই মেয়ের জীবনটা চলে গেলো। থায়রয়েডের সমস্যা দারুণ বেড়ে গিয়েছিলে এবং এটা তার হৃদযন্ত্রের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এটা একটা মর্মস্পর্শী ঘটনা। আমার মেয়েকে যদি ফিরে পেতাম, আর কিছুই চাইতাম না।
কেইয়ানার মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানা গেছে। তার দুই শিশু সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য ‘গোফান্ডমি’ পেজের মাধ্যমে অর্থ সহায়তা জোগাড়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে উঠে গেছে ৭ হাজার ডলার। সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন