‘বই মানুষের হৃদয়কে সুন্দর করে, জীবনকে সমৃদ্ধ করে’
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রম ২০১৫’র আওতায় পুরস্কার বিতরণী উৎসব শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর রমনার বটমূলে দু’দিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। উৎসবে বক্তারা সবাইকে বই পড়তে অনুপ্রাণিত করে বলেছেন, আজকের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক টুইটার কখনোই বইয়ের জায়গা নিতে পারবে না। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে নানান রঙের বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন।
গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে ঢাকা মহানগরীর বইপড়া কর্মসূচির এই পুরস্কার বিতরণী উৎসবের তিনটি পর্বে ১১৫ টি স্কুলের ছয় হাজার চারশ’ ৭১ জন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। আজ সকালে প্রথম পর্বে ৫১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই হাজার ২০১ জন ছাত্রছাত্রী পুরস্কার নিয়েছেন। দ্বিতীয় পর্বে পুরস্কার গ্রহণ করেছে ৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই হাজার ১৪৯ জন ছাত্রছাত্রী। আগামীকাল শনিবার বিকেলে ৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই হাজার ১২১ জন ছাত্রছাত্রী অতিথিদের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশিদ, কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, রিহ্যাবের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী মো. আব্দুল আউয়াল, প্রথম আলোর উপ-সম্পাদক আনিসুল হক, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও আইএফআইসি ব্যাংকের এমডি শাহ আলম সারোয়ার, গ্রামীণফোনের হেড অব কর্পোরেট রেসপন্সিবিলিটি দেবাশীষ রায় প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শরিফ মো: মাসুদ। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, বই মানুষের হৃদয়কে সুন্দর করে, জীবনকে সমৃদ্ধ করে। আর সমৃদ্ধ হৃদয়ের মানুষেরাই পারে একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠন করতে। ফেসবুক, টুইটার কখনোই বইয়ের স্থান নিতে পারবে না। এগুলো হালকা জিনিস, মানুষ এগুলোর কাছে গেলেও আবার বইয়ের কাছে ফিরে আসবে। অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, বইপড়ার লাভ হচ্ছে এতে জ্ঞানের পরিধি বাড়ে। মনের ভিত্তি শক্ত হয়। এর ফলে যে কোনো সঙ্কট মোকাবেলা সহজ হয়। তাই বইপড়ার কোনো বিকল্প নাই। তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সব ধরনের বইপড়ার পরামর্শ দেন। নজরুল, রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে বিশ্বের বড় বড় লেখক বই পড়ুয়াদের বন্ধু উল্লেখ করে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, তাদের বই পড়ার মাধ্যমে সবার সাথে তাদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সমৃদ্ধ মন গঠনের জন্য বিখ্যাত সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্মের স্বাদ নিতে হবে। ছেলেদেরকে মেয়েদের সাথে তাল মিলিয়ে বই পড়তে হবে। তবেই দেশে সুষম উন্নয়ন হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, বড় লেখকদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন বই। বই পড়ার মাধ্যমেই বিশ্বের বড় বড় লেখকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন
সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার
এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন