স্ত্রীর ঘরে গোপন ক্যামেরা লাগানোর অভিযোগে রাকেশ নামের এক উকিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভারতের আগ্রার এতমাদৌল্লা থানা এলাকায় এমন চাঞ্চল্য ঘটনা ঘটেছে। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবেলার।

তবে রাকেশের দাবি, তার স্ত্রী রেখা দেবী অন্য পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত। তার সেই সমস্ত অবৈধ কার্যকলাপের প্রমাণ সংগ্রহ করতেই তার ঘরে ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন।

পুলিশের কাছে রেখার করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালে রেখা ও রাকেশের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে রেখার ওপর অত্যাচার করতে থাকেন রাকেশ।

অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বছর খানেক আগে বাপের বাড়ি চলে যান রেখা। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রাকেশের বিরুদ্ধে। পরে রেখাকে তার শ্বশুরবাড়িতে একটি ঘর এবং নিয়মিত মাসোহারা দেয়ার নির্দেশ দেন কোর্ট।

গত ৫ ডিসেম্বর রেখা নিজের শ্বশুরবাড়িতে তার জন্য নির্দিষ্ট ঘরটিতে বসবাস শুরু করেন। রাতে কাপড় পাল্টাতে গিয়ে দেয়ালে গোপন ক্যামেরা চোখে পড়ে।

পরে ১৪ ডিসেম্বর বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করেন রেখা দেবী। তিনি বলেন, শ্বশুরবাড়িতে আমার ঘরে গোপন ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন আমার স্বামী। এই নিয়ে যখন আমি স্বামীকে প্রশ্ন করি, তখন তিনি আমার সঙ্গে ঝগড়া শুরু করেন। আমাকে হুমকি দেন, এই নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমার অশ্লীল ভিডিও তিনি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবেন।

রেখার অভিযোগের ভিত্তিতে রাকেশের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তল্লাশী চালিয়ে রেখার শোওয়ার ঘর, বাড়ির উঠোন আর রান্নাঘর থেকেও গোপন ক্যামেরা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। একইসঙ্গে রাকেশকে গ্রেফতার করে।

পুলিশের জেরায় রাকেশ জানিয়েছেন, তিনি জানেন, কোনো নারীর ঘরে এভাবে গোপন ক্যামেরা লাগানো অন্যায়। কিন্তু রেখা অন্য পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত। তার সেই সমস্ত অবৈধ ক্রিয়াকলাপের প্রমাণ সংগ্রহ করতেই তার ঘরে ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন বলে দাবি রাকেশের।

রাকেশ আরও বলেছেন যে, তিনি নয়, বরং রেখাই নিত্য অশান্তি করতেন। রোজ ঝগড়া করতেন রাকেশের সঙ্গে। এবং কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টাও নাকি করেছিলেন।