বছর খানেক আগে জানতে পারি আমার স্বামীর সঙ্গে তার মামাতো বোনের
আপু অনেক দিন ধরে লিখতে চেয়েও লিখিনি। কিন্তু অনেক কষ্ট নিয়ে চিঠিটা লিখছি। খুব উপকৃত হব উওর পেলে। আমার স্বামী আমার চেয়ে বয়সে ১১ বছরের বড়। আমাদের ৪ বছরের একটি সন্তানও আছে। কিন্ত বছর খানেক আগে জানতে পারি আমার স্বামীর সঙ্গে তার মামাত বোনের সাথে সম্পর্ক ছিল। আমার স্বামী আমাকে অনেক ভালবাসেন। তাই কখনো সন্দেহ হয়নি।
পরিবারের অমতের কারণে তাদের বিয়ে হয়নি। সেই মেয়েরও বিয়ে হয়ে গেছে। কিন্ত সে এখনো বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাসায় আসে। আমার তার সাথে দেখা হয়। তার বিভিন্ন আচার আচরণে আমি বুঝে ফেলি যে আমার স্বামীর সাথে তার কিছু ছিল। যেমন আমার বাচ্চাকে বেশি কেয়ার করা। পরে স্বামীকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে যে হ্যাঁ, বিয়ের আগে তাদের সম্পর্ক ছিল। আমি পুরো ভেঙে পড়ি। যদিও জানি ওটা অতীত এবং স্বামী কখনোই সন্দেহ জনক কোনও কাজ করনি। তবুও সারাটা জীবন এই মেয়ের আসে পাশে থাকতে হবে ভেবে মানতে পারছি না।
আমার স্বামী লন্ডনে থাকেন। ৬ মাস পর পর আসেন। আমার স্বামী এ-ও বলে যে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়েছিল এক দু বার। আমাদের অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। এসব জানার আগে কোন উপায় ছিল না। ভিতরে ভিতরে পুড়ে মরছি। কাউকে কিছু বলতে পারছি না। ওর সাথে জীবন এখন বিভীষিকা লাগে। বাচ্চাটা না থাকলে ছেড়ে দিতাম। কিন্ত থাকতেও পারছিনা ওর সাথে। কারণ ওই মেয়ে এখনো তো আছে আমাদের মধ্যেই। কী করব বুঝতে পারছিনা। যদিও স্বামী আশ্বস্ত করে যে এমন কিছু করবে না তবুও কি বিশ্বাস। এক সময় ওই মেয়ের জন্যই সে পাগল ছিল। কী করব কোন উপদেশ দিন প্লিজ।
সাজেশনঃ
আপু, আপনাকে অনুরোধ করছি, প্লিজ নিজের জীবনে নিজের হাতে আগুন জ্বালবেন না। প্লিজ। যদি এভাবেই চলতে থাকে, একদিন এটার জন্য অনেক বেশি আফসোস করতে হবে আপনাকে। অনেক বেশি। প্লিজ আপু, আপনার ভুল ধারণা গুলো ঝেরে ফেলুন।
প্রথমেই বলছি, আপনার স্বামীর কোন দোষ নেই। একেবারেই না। আপনি আবেগের বশে ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাঁকে সইতে পারছেন না। একটি বার এটা ভাবছেন না যে মানুষটির ওপরে কী কী গিয়েছে। পিতা মাতা জোর করে আপনার সাথে বিয়ে দিয়েছেন, সে করেছে। অন্য ছেলেদের মত আপনার অমর্যাদা করেনি, আপনাকে কষ্ট দেয়নি, উলটো অনেক ভালবেসেছে। শুধু তাই নয়, আপনাকে সব সত্যি কথাও অকপটে বলে দিয়েছে। আর সেই মানুষটাকে কী করছেন আপনি? ভালোবাসা দিয়ে তাঁর জীবন ভরিয়ে দেয়ার বদলে তাঁকে কষ্ট দিচ্ছেন। এতটা স্বার্থপর হলে কি চলে আপু?
অতীত কার থাকে না, সবার থাকে। আপনারও আছে। আপনার স্বামী বা মামাতো বোন, কেউই তো আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে না বা আপনার সাথে প্রতারনা করছে না। কেন আপনি অযথা ভুল বুঝে সন্দেহ করছেন আর অশান্তি ডেকে আনছেন নিজের জীবনে? মেয়েটি আপনার সন্তানকে আদর করে, এটা কি খারাপ কিছু? মোটেও না। আপনাদের সন্তান হওয়ায় মেয়েটি খুশি হয়েছে, তাই আদর করে। আর সম্পর্কে তো সে বাচ্চার ফুপি, আদর করবে না? মেয়েটির মনে যদি ঈর্ষা থাকতো, সে কখনোই আপনার বাচ্চাকে আদর করতে পারতো না আপু।
অকারণে নিজের সংসার ধংস করবেন না। স্বামীকে ভালবাসুন, এত বেশি ভালবাসুন যে অতীতের কষ্ট যেন তিনি ভুলে যান। নতুবা একদিন আপনার স্বামীকে ছাড়তে হবে না, স্বামীই আপনাকে ছেড়ে দেবেন। অশান্তি তৈরি করে আপনি অকারণেই কেবল স্বামীকে পরকীয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। আর সম্ভব হলে সেই মামাতো বোনের সাথে সম্পর্ক সুন্দর করুন। এটাই বড় মনের পরিচায়ক।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন