বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকাবে তালগাছ: প্রধানমন্ত্রী

বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকানোর একটি উপায় বাতলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর মতে খোলা জায়গায় এই গাছ থাকলে বজ্রপাত গিয়ে তার ওপরে পড়বে। কারণ বজ্রপাত সব সময় এলাকার সবচেয়ে উঁচু স্থানে আঘাত হানে। যেহেতু তালগাছ সবার উঁচুতে থাকে, তাই খোলা জায়গায় এই গাছ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে মানুষের ওপরে তা পড়বে না।
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এই উপায়ের কথা বললেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে যত মানুষ মারা যাচ্ছে তাদের একটি বড় অংশই শিকার হচ্ছে বজ্রপাতের। বিশেষ করে বর্ষার আগে এবং পরে চলতি বছর বিপুল পরিমাণ প্রাণহানি হয়েছে এই দুর্যোগে। বাড়ির বাইরে খোলা মাঠেই হয়েছে বেশিরভাগ মৃত্যু। তবে বাড়ির মধ্যেও সংখ্যাটি নেহায়েত কম না।
বাংলাদেশে প্রতিবছর বর্ষার আগে মার্চ থেকে মে মাসে কালবৈশাখীর সঙ্গে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। আর বজ্রপাতের কারণে মারা যায় বহু মানুষ। কিন্তু চলতি বছর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসেও বিপুল পরিমাণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাতে। বছরের এই সময়ে এত মানুষের মৃত্যু কখনও দেখেনি দেশবাসী।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০১৫ সালে দেশে পাঁচ হাজার ৭৭২টি বজ্রপাত হয়। আর সাত বছরে মারা গেছে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ।
চলতি বছর কত মানুষ মারা গেছে, সে পরিসংখ্যান এখনও তৈরি হয়নি। তবে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন অনুযায়ী এই সংখ্যা ছাড়িয়েছে কয়েকশ। সাম্প্রতিক সময়ে বজ্রপাতে এক দিনে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় গত ১২ মে। সেদিন ৩৫ জনের মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ হয়েছিল। গত ২০ সেপ্টেম্বর ১৫ জনের মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ হয়েছে গণমাধ্যমে।
হঠাৎ বজ্রপাতের সংখ্যা এবং মৃত্যু বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ছড়াচ্ছে, এই মৃত্যু কীভাবে ঠেকানো সম্ভব সে নিয়েও জানা-বোঝার চেষ্টা করছে মানুষ। এরই মধ্যে সরকার বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং নিহত ও আহত পরিবারকে সহায়তা দেয়াও শুরু হয়েছে।
গত ছয় বছরে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বেশির ভাগ মৃত্যুই হয়েছে উন্মুক্ত জায়গায়। গবেষকরা বলছেন, নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ নিলে বা সচেতন হলে বজ্রপাতে মৃত্যু কমানো যায়। যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের উদ্যোগ কার্যকর হয়েছে এবং এই ধরনের মৃত্যু কমে এসেছে বহুলাংশে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতে, তালগাছ রোপন হতে পারে বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকানোর একটি হাতিয়ার। তিনি বলেন, ‘ইদানীং বজ্রপাত বেশি হচ্ছে। আগে সব জায়গায় তালগাছ ছিল। এখন কেউ এই গাছ লাগায় না। তালগাছের একটা গুণ আছে। যেহেতু এটা উঁচুতে থাকে, তাই বজ্রপাত হলে সবার আগে তালগাছে পড়ে। আমার মনে হয় আমাদের তাল গাছ লাগানো আবার শুরু করা উচিত।’
তালগাছ লাগানোর পাশাপাশি সব ভবনে আর্থইনের ব্যবস্থা করার পরামর্শও দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘তাহলে বজ্রপাত হলে তা টেনে নিয়ে মাটির নিচে ঠেলে দেওয়া যাবে।’
এধানমন্ত্রী বলেন, ‘শহরে বড় বড় ভবনে এই ব্যবস্থা থাকলেও অনেক সময় মনোযোগ দিয়ে করা হয় না। এখন থেকে যেখানেই বিল্ডিং হবে, সেখানেই এটা গুরুত্ব দিয়ে করতে হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন