বন্ধ্যাত্বকরণের ৮ বছর পরে আবার মা হলেন মহিলা। খোঁজ নিতেই প্রকাশ মারাত্মক তথ্য..

দাসপুর থানার কলোড়া গ্রামের বাসিন্দা মায়া গুছাইতের দুটি ছেলে রয়েছে ৷ বড়টি দশ বছরের, আর ছোটটির বয়স আট৷ আট বছর আগে দ্বিতীয় সন্তানটি হওয়ার পরে দাসপুরের সুলতাননগর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশন করিয়ে নিয়েছিলেন তিনি৷
দুই ছেলের মা হওয়ার পরে আর সন্তান চাননি মায়া গুছাইত। তাই বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশন করিয়ে নিয়েছিলেন তিনি৷ যে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে অপারেশন করিয়েছিলেন, আট বছর পরে দেখা গেল, সেই কেন্দ্রেই আবার এক সদ্যোজাতকে নিয়ে তিনি হাজির হয়েছেন টীকা দেওয়ানোর জন্য৷ কিন্তু বাধ সাধলেন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা। যাঁরা মায়ার অপারেশন করিয়েছিলেন, তাঁরা ওই মহিলাকে দেখে চিনতে পারেন। বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশনের পরে কোনওভাবেই সন্তানধারণ সম্ভব নয়। ফলে স্বাস্থ্যকর্মীরা চেপে ধরেন ওই মহিলাকে। জেরাতে মহিলা স্বীকার করে নেন যে, কোলের শিশুটিকে তিনি পয়সা দিয়ে কিনেছেন৷ সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় পুলিশে। পুলিশ তদন্তে নেমে গ্রেফতার করে ওই মহিলাকে। সিল করে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট একটি নার্সিংহোমকেও। উদ্ধার করা হয়েছে শিশুটিকে ৷
ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এলাকা৷ ঘাটাল থেকে দাসপুরে রাস্তার দু’পাশে বিগত কয়েক বছরে ছত্রাকের মতো গজিয়ে উঠেছে অজস্র নার্সিংহোম। অধিকাংশ নার্সিংহোমেই হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে চলছে চিকিৎসা৷ স্বাস্থ্য দফতর সব জানলেও খুব একটা সক্রিয় পদক্ষেপ নেয়নি নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সময়ে এই সমস্ত নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে উঠেছে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ। এবার অভিযোগের তালিকাতে যুক্ত হল শিশু বিক্রি৷
জানা গিয়েছে, দাসপুর থানার কলোড়া গ্রামের বাসিন্দা মায়া গুছাইতের দুটি ছেলে রয়েছে ৷ বড়টি দশ বছরের, আর ছোটটির বয়স আট৷ আট বছর আগে দ্বিতীয় সন্তানটি হওয়ার পরে দাসপুরের সুলতাননগর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশন করিয়ে নিয়েছিলেন তিনি৷ গত বুধবার ফের এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই একটি সদ্যোজাত কন্যা সন্তানকে নিয়ে তিনি হাজির হন টীকা দেওয়ার জন্য৷ স্বাস্থ্যকর্মীদের জেরার মুখে প্রকাশ পায় আসল ঘটনা। এরপরই বিষয়টি স্থানীয় বিএমওএইচ মারফত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে পৌঁছয়৷ তিনি বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যদফতরের আধিকারিকদের পুলিশ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন৷ পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, মায়াদেবী স্থানীয় দাসপুরের সঞ্জীবন নার্সিংহোম থেকে চল্লিশ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে কিনেছেন গত ১৩ নভেম্বর৷ পুলিশ ওই রাতেই স্বাস্থ্যদফতরের কর্মীদের নিয়ে নার্সিং হোমে অভিযান চালায়৷ সমস্ত কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করে সিল করে দেওয়া হয় নার্সিংহোমটিকে৷ অন্যদিকে মায়াকে আটক করে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে৷ শিশুটিকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দিয়ে পুরো চক্রটির সন্ধানে নামে পুলিশ৷ তবে নার্সিংহোমের কাউকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, “আমরা ওই নার্সিংহোমের কাগজ পত্র বাজেয়াপ্ত করেছি৷ পুরো বিষয়টির তদন্ত চলছে৷ এই ব্যাপারে যা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার, নেওয়া হচ্ছে৷”
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন