বন্যার্তদের জন্য বিশ্বব্যাংকের ২ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব
দেশব্যাপী বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুই হাজার কোটি টাকার সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সম্প্রতি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কাছে এ প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। ইআরডিতে এ প্রস্তাব নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবনা অনুযায়ী বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডা) মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২৫ কোটি ডলার অথবা বাংলাদেশের জিডিপির আকারের শূন্য দশমিক ৫ ভাগের সমান অর্থ নেয়া যাবে। বাংলাদেশে প্রতি বছর আইডার মাধ্যমে যে ধারাবাহিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে তার বাইরে নতুনভাবে এই ঋণ দিতে আগ্রহী সংস্থাটি।
ইআরডির এক কর্মকর্তা জানান, দেশে হঠাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে এ ধরনের চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। চুক্তির আওতায় বিভিন্ন দুর্যোগে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় প্রকল্পের মাধ্যমে এ ধরনের ঋণ পাওয়া যাবে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, চুক্তির পরবর্তী তিন বছরের যেকোনো সময়ে এ অর্থ বাংলাদেশ গ্রহণ করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, চুক্তি নবায়ন করার মাধ্যমে পরবর্তী তিন বছরেও এ অর্থ সংগ্রহ করা যাবে। এজন্য কোনো কমিটমেন্ট ফি ধার্য হবে না। প্রস্তাবনার ওপর অর্থ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মতামত চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংক তিন বছরের জন্য ঋণ কর্মসূচি ঘোষণা করে। আইডা-১৭ কর্মসূচির আওতায় গত তিন অর্থবছর (২০১৫-১৭) ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। চলতি অর্থবছর থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য আইডা-১৮ এর বাইরে এ ধরনের ঋণ প্রস্তাব করল বিশ্বব্যাংক।
এ ধরনের ঋণের গুরুত্ব উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ৩২০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমিক ২ ভাগের সমান।
এক পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার আর্থিক মূল্য ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। কিন্তু এ সময়ে দুর্যোগকবলিত মানুষদের ত্রাণ, পুনর্বাসন এবং যে পরিমাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে তার পরিমাণ মাত্র ২ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যানুযায়ী আইডা থেকে সহজ শর্তে ঋণ গ্রহণকারী হিসেবে বাংলাদেশ অন্যতম। এর সুদ মাত্র শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ (০.৭০)। আইডা তহবিল হতে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছে ২০১৫ সালে ১৯৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। সে সময় অর্থ ছাড়ের পরিমাণ ১শ’ কোটি ডলার ছাড়িয়েছিল।
অন্যদিকে ২০১৬ সালে প্রতিশ্রুতি এসেছে ১৫৬ কোটি ডলার এবং চলতি বছর (২০১৭ সাল) এখন পর্যন্ত ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের সহায়তা প্রতিশ্রুতি এসেছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন
সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার
এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন