বরফের উপর দিয়ে যাওয়া ‘রক্তস্রোত’, কার রক্ত এটা? জানলে চমকে উঠবেন
পৃথিবীকে ঘিরে রয়েছে একাধিক রহস্য৷ যেগুলিকে ঘিরে মানুষের আগ্রহ প্রবল থাকলেও সেই সমস্ত রহস্যের সমাধান সবসময় হয়ে ওঠেনা৷ তবে এবারে প্রকাশ্যে এল কয়েক শতকের পুরোনো আন্টার্টিকার রক্তস্রোতের রহস্যটি৷ যেটি স্থানীয় ভাষায় ‘ব্লাড-ফলস্’ নামেই পরিচিত৷
এই রক্তস্রোতের বিষয়টি নিয়ে প্রথম রহস্যের সমাধান করেন এক অস্ট্রেলিয়ান ভূবিজ্ঞানী৷ তিনি একটি থিওরির মাধ্যমে পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, এই রক্তস্রোতটি মূলত লাল শ্যাওলা থেকেই সৃষ্টি হয়েছে৷
২০০৩সালে এই বিষয়টি নিয়ে প্রথম গবেষনা শুরু হয়৷ এই গবেষনায় উঠে এসেছে এই আন্টার্টিকা হ্রদের জলের রং লাল হওয়ার মূল কারণ এই জলে মিশে রয়েছে অক্সিডাইজড লোহা৷ পাঁচ মিলিয়ন বছর ধরে নোনা জলের হ্রদের সঙ্গে এই অক্সিডাইজড লোহা মিশে গিয়ে এই জলের রং লাল রং ধারণ করেছে৷ আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলরাডো কলেজে এই রক্তস্রোত নিয়ে গবেষণা চলছে৷ এক মিলিয়ন বছর ধরে এই হ্রদ থেকে প্রবাহিত নোনা জল বরফের নীচে অক্সিডাইজড লোহার সঙ্গে মিশে লাল রং ধারণ করেছে৷ ইকোলোকেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা এই জলের উৎস খোঁজার চেষ্টায় রত রয়েছেন৷ ‘গ্রিড লাইক প্যাটার্নস’-এর মাধ্যমে এই নির্দিষ্ট জায়গাটিতে সংকেত প্রেরণ করা হত৷ এই বিষয়টির পিছনে থাকা আসল রহস্যটি বের করার জন্য৷
গবেষকেরা বলেন, এই হিমবাহের নিজস্ব জলের ব্যবস্থা রয়েছে৷ এই হিমবাহের নীচে চাপা পড়ে বরফ, নোনা জল একসঙ্গে মিশে গিয়েই এখানে শ্যাওলার সৃষ্টি হয়েছে৷ আর তার জন্যই এই লেকের জল রক্তের রং ধারণ করেছে৷
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন