বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১০
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা সবাই কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবং বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন অনুসারী।
এর মধ্যে একজনের শরীরে কিছু অংশ গরম পানিতে ঝলসে দেয়া হয়েছে। এছাড়া লাঞ্ছিত করা হয়েছে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনকে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ অনুসারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ ক্যাম্পাসে একটি র্যালি করার জন্য প্রস্তুতি নেয়।
ঠিক সেই মুহূর্তে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন তার অনুসারী নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে তার অনুসারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা স্লোগান দেয়।
তখন সাদিক আব্দুল্লাহ অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা তাদের বাধা দিলে দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায় তাদের মাঝে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এসময় ক্যাম্পাসের সামনে থাকা বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের পাশে দোকান পার্ট ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের মালিকরা।
এদিকে খবর পেয়ে মেট্রোপলিটন বন্দর (সাহেবের হাট) থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিষদের নেতা মো. কাইয়ুম উদ্দিন বলেন, বহিরাগত কিছু লোকজন এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালে দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ হয়।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ১০ জন ছাত্র আহত হলে তাদের মধ্যে থেকে ৭ জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন- রিফাত, ইশিক, রোজবেল, রাশেদ, সোহাগ, জিসান ও সাইফুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের একাংশের নেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা রোজবেল জানান, তারা একটি র্যালির আয়োজন করেন। সবাই র্যালির উদ্দেশ্যে জড় হলে মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিন বহিরাগত নিয়ে মোটর সাইকেল শোডাউন দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে।
তখন তারা মোটর সাইকেল উঠিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের গায়ে। এতে বাধা দিতে গেলে জসিম উদ্দিন সমর্থকরা তাদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, এমপি শওকত হোসেন হিরনের নামে একটি হলের নাম করণ করার বিষয়ে প্রস্তাব নিয়ে ক্যাম্পাসে ভিসি স্যারের নিকট যান।
কিন্তু তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা মাত্রই সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ অনুসারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রোজবেল-শাওন এবং সামিট গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনার সঙ্গে তার কোনো হাত নেই বলে দাবি করেন। তাছাড়া তাকে ধাওয়া কিংবা লাঞ্ছিত করার তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি তার।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া ক্যাম্পাসে এক প্লাটুন নারী ও পুরুষ পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারাই ঘরোয়া ভাবে বিষয়টি সমাধান করবেন বলে পুলিশকে আশ্বস্ত করেছেন বলে ওসি জানিয়েছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
এইচএসসির ফল প্রকাশ মঙ্গলবার, জানা যাবে যেভাবে
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করাবিস্তারিত পড়ুন
বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন