বলিউড তারকারা কে কোন নেশায় বিভোর?
মানুষের মাঝে চেহারায় যেমন মিল নাই, তেমনি আচার-আচরণে কোনো মিল পাওয়া যায় না। একেকজনের চাওয়া-পাওয়া একেক রকম হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বলিউডের হিরোদেরও নানা রকম ‘নেশা’ রয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি এসব নেশা তারকাদের ভিন্ন পরিচয় তুলে ধরে। শুধু অবসর বিনোদন নয়, রীতিমতো আসক্তি দেখা যায় একেক জনের একেকটি বিষয়ে।
শাহরুখ খান :
শাহরুখ খান আইপিএল ক্রিকেট দলের মালিক। কিন্তু তার প্রিয় খেলা ফুটবল। এটা রীতিমতো নেশা। সুযোগ পেলেই বল নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন। মুম্বাইতে ‘আমেরিকান স্কুল অফ বম্বে’-র মাঠে দুই ছেলেকে নিয়ে ফুটবল খেলতে যান নিয়মিত। শুটিং-এর জন্য মুম্বাইয়ের বাইরে গেলে সঙ্গে ফুটবল নিয়ে যান কিং খান।
সালমান খান :
ছোট থেকেই ছবি আঁকতে ভালবাসেন এ তারকা। এখন এত ব্যস্ততার মাঝেও ঠিক রং-তুলির জন্য সময় বের করে নেন। ক্যানভাসে ফুটে ওঠে তার শিল্প। ইতিমধ্যেই তার বেশ কিছু ছবি নিয়ে প্রদর্শনী হয়ে গেছে। হাজার চাপের মধ্যে তাকে মানসিক শান্তি দেয় ছবি আঁকা।
হৃতিক রোশন :
হৃতিক রোশন অভিনেতা হলেও লক্ষ্য ছিল গায়ক হওয়া। তাইতো অভিনেতা হিসেবে সাফল্যের শীর্ষে উঠলেও গান গাওয়ার নেশা যানি। সুযোগ পেলেই ডুবে থাকেন সঙ্গীতচর্চায়। অবসর সময়ে এবং শুটিং-এর ফাঁকে সুযোগ পেলেই গানের লড়াইয়ে মেতে ওঠেন গায়ক হৃতিক।
অক্ষয়কুমার :
জিমন্যাস্টিক্স এবং কিক বক্সিং-এ আসক্তি। শুধু সিনেমার পর্দায় নয়, বাস্তবেও ফিট থাকতেই পছন্দ করেন অক্ষয়। আর সেই ফিট থাকাটা রীতিমতো তার। ভার্সোভাতে তার ফ্ল্যাট দেখলে মনে হবে ব্যায়ামগার। অবসর পেলেই ছেলে আরভকে সঙ্গে নিয়ে লেগে পড়েন ফিট থাকার সাধনায়।
রণবীর কাপুর :
বাবা ঋষি কপূর একটা অ্যানালগ ক্যামেরা কিনে দিয়েছিলেন। সেটা নিয়েই হাতেখড়ি। আর কবে যেন ছবি তোলাটা নেশা হয়ে যায়। এখন নিজে দামি ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনেছেন। সুযোগ পেলেই হলো, ক্যামেরা হাতে বেরিয়ে পড়েন। অভিনয়ের পাশাপাশি ক্যামেরা নিয়ে দেশ-বিদেশের ছবি তোলা তার নেশা।
সাইফ আলি খান :
কমিক্স বই পড়তে খুবই ভালবাসেন। শুটিংয়ের ফাঁকে সুযোগ পেলেই বই নিয়ে বসে পড়েন। বই পড়া যে তার নেশা তা বলিউডের সবাই জানে। বাড়িতেও কাজ নেই মানে বইয়ে মুখ গুঁজে বসে পড়েন। আর যত কাজই থাকুক দিনের একটা সময় বইয়ের জন্য নির্দিষ্ট থাকে।
রণবীর সিং :
লং ড্রাইভে যাওয়াটা নেশা রণবীর সিংহের। কাজের চাপ থেকে নিজেকে রিফ্রেশ করতে গাড়ি নিয়ে অজানা দূর পথে বেরিয়ে পড়েন রণবীর। শোনা যায় রণবীর বেশ পেটুকও। তাই লং ড্রাইভ মানেই কোনো ধাবায় গিয়ে খাওয়াটা আসক্তির মতো রণবীরের নিকট।
জন আব্রাহাম :
কলেজ জীবন থেকেই বাইকের প্রতি তার আসক্তি। আর এই আসক্তি এতোটাই প্রবল যে একটা সময় নাকি বাইকে চেপেই খাওয়া-দাওয়া করতেন। সময় পেলেই বাইক নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন। এখন অতটা না সম্ভব হলেও বাইক-প্রীতি একটুও কমেনি। বাইক নিয়ে স্টান্ট করাও তার নেশা। শুধু তাই নয় বিভিন্ন বাইকারস ক্লাবের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন এই বলিউড সুপারস্টার।
শাহিদ কাপুর :
ইচ্ছা ছিল ডিজে হবেন কিন্তু খ্যাতি পেয়ে গিয়েছেন অভিনেতা হিসাবে। কিন্তু নেশা ছেড়ে দেয়া কি অতই সহজ! একটা সময়ে এক বন্ধুর নাইটক্লাবে নাকি নিয়মিত ডিজে হিসেবে পারফর্ম করতেন। কিন্তু এখন আর সেটা হয় না, কিন্তু বাড়িতেই ডিজে কনসোল কিনে নিয়েছেন। সেখানে চর্চা চলে। তার পাশাপাশি কোনো পার্টিতে গেলেই একবারে কনসোলের পিছনে দেখা যায় তাকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন