মঙ্গলবার, জুন ২৪, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশের মতো দেশ কোথাও দেখেননি আন্না

পোল্যান্ডের নাগরিক দুদেক আন্না। বসবাস বেলজিয়াম। আর বৈবাহিক সূত্রে চেনা-জানা বাংলাদেশ- যা তার চোখে অসাধারণ একটি দেশ।

বাংলাদেশের মানুষের মতো ভালোবাসা, আতিথেয়তা, আন্তরিকতা বিশ্বের অন্য কোনো দেশে পেয়েছেন কিনা? জবাবে বলেন, সত্যিই অসাধারণ। এমন দেশ কোথাও দেখিনি। মানুষগুলোর তো তুলনাই নেই। এতো ভালো! মন চাইলেই ছুটে যাই বাংলাদেশে।

বাংলাদেশের বধূ দুদেক আন্না। পোল্যান্ডের লুবলিনের মেয়ে। আন্নার সঙ্গে কর্মসূত্রে পরিচয় ফেনীর জায়লস্কর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে শহীদুল হক লতিফের। ভাষ্য অন্বেষণে এসেছিলেন ইউরোপের দেশ বেলজিয়ামে। সেখানে কাজের মধ্যেই আন্নাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেন সহকর্মী শহীদুল হক লতিফকে।

পরিশ্রমী,আত্মবিশ্বাসী আর প্রত্যয়ী হিসেবেই পছন্দ করেছিলেন শহীদুলকে। সে দিনের সেই সিদ্ধান্ত এতোটুকুও ভুল ছিলো না- দাম্পত্যজীবনের এতোটা পথ হেঁটে এ উপলব্ধি আন্নার।

১৯৯৩ সালে বিয়েটা সম্পন্ন করে স্বামীর সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন আন্না। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এ দম্পতিকে। একটি রেস্টুরেন্ট থেকে গ্রোসারি শপ। বাড়ি, গাড়ি, সংসার, সন্তান নিয়ে এখন সুখে ভরপুর আন্নার জীবন। বিয়ের পর অবশ্য দুদেক আন্নার নতুন নাম আন্না লতিফ।

এই দম্পত্তির ঘরে রয়েছে সাড়ে সাত বছরের এক রাজকন্যা। নাম আলিয়া লতিফ। পড়ছে ক্লাস ওয়ানে। স্থানীয় বনিফাস স্কুলে। স্বামীর সঙ্গে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছেন আন্না। ঢাকা শহর ছেড়ে ফেনীর গ্রাম ঘুরে অসাধারণ লেগেছে তার।

বাংলা কিছু কিছু বোঝেন। সেগুলো অভিব্যক্তিতে। তাই কথা হলো দোভাষীর সহায়তা নিয়ে।

দুদেক আন্না বলেন, সবচেয়ে মজার স্মৃতি রিকশায় চড়া, পার্কে ঘোরা। সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকতো। আমরাও বেশ উপভোগ করতাম গ্রামীণ মানুষদের সহজ সরল জীবন। মনে পড়ে রিকশায় চড়ে চালককে ১০ ইউরো দিয়েছিলাম। আমাদের খুব ভালোবেসে ফেলেছিলেন। প্রতিদিন সকালে রিকশায় চড়ানোর জন্যে চলে আসতেন। আমার শাশুড়ি থেকে আত্মীয়রা আমাকে খুবই ভালোবাসেন।

বাংলাদেশে রাস্তাঘাটে গাড়ির হর্ন শুনে কান ঝালাপালার পরিবর্তে মজাই লেগেছে তার। এতো হর্ন! এতো শব্দ।

বলেন, আমাদের এখানে কেউ হর্ন বাজালে মনে হয় হয়তো একটু বকে দিলো। খুবই অপমানজনক। ধরেন কেউ ভুল করলো ড্রাইভিং করতে গিয়ে। পাশের গাড়িটি হর্ন দিয়ে ধরিয়ে দেবে তার ভুলগুলো। বেশি শব্দে দেওয়া মানে বকা থেকে তা গালিতে রূপান্তর হওয়া। বাংলাদেশে পা রাখা মাত্রই মনে হলো এখানে মানুষ পরস্পরের সঙ্গে এতো বকাঝকা করে!

আন্না বলেন, পরে যখন শহীদ বুঝিয়ে বললো। তখন থেকেই মজা লাগা শুরু হলো। বাংলাদেশের স‍ালোয়ার কামিজ আমার ভীষণ পছন্দ। ফেরার সময় দেশ থেকে একগাদা কাপড় নিয়ে এসেছি। তবে কষ্ট বলতে মশার উৎপাত! এত্ত মশা বাংলাদেশে! তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের তুলনা বাংলাদেশ।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

গোলাম পরওয়ার: নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে মহাদুর্যোগ নেমে আসবে

অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ না হলে জাতির জন্যবিস্তারিত পড়ুন

আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র

আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকারবিস্তারিত পড়ুন

শুক্রাণু দান করা শতাধিক সন্তানকে সম্পদের সমান ভাগ দেবেন টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠাতা

দান করা শুক্রাণু থেকে যেসব সন্তানের জন্ম হয়েছে সেসব সন্তানকেওবিস্তারিত পড়ুন

  • জুলাইযোদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ, এসআই বরখাস্ত
  • ভুয়া ভিসা নিয়ে যেভাবে ঢাকা থেকে ইমিগ্রেশন পার হলেন একসঙ্গে ৩০ জন
  • একদিনে করোনাভাইরাসে গেল আরও দুজনের প্রাণ
  • বাংলাদেশিসহ সব বিদেশিদের শিক্ষা ভিসা স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র
  • জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে কর্মবিরতি, জুলাইযোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ
  • ফের রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক, জেনে রাখুন করণীয়
  • মিরপুরে দম্পতিকে হত্যা, ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত আটক
  • রংপুর সিটির মেয়র-কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ
  • চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’র হামলা
  • বাংলাদেশে দেখা গেছে জিলহজ মাসের চাঁদ
  • ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে, বললেন তারেক রহমান
  • সীমান্তে উত্তেজনা: বাংলদেশের প্রতিবাদ সত্ত্বেও পুশ-ইন অব্যাহত