বাংলাদেশ থেকে চাল আর কলা নেবে মালয়েশিয়া
বাংলাদেশ থেকে চাল আর কলা নেবে মালয়েশিয়া। গতকাল শুক্রবার মালয়েশিয়ার পুত্রাজায়ায় অনুষ্ঠিত এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে বৈঠকে ছিলেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত হাই কমিশনার মোহাম্মাদ শহীদুল ইসলাম। আর মালয়েশিয়ার পক্ষে দেশটির কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্পমন্ত্রী দাতো শেরি আহমাদ শাবেরি বিন চিক অংশ নেন।
এর মাধ্যমে অপ্রচলিত রপ্তানি দ্রব্য কলা থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের নতুন ক্ষেত্র যেমন তৈরি হয়েছে, তেমনি চালের বাজার ছুটবে নতুন ঠিকানায়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধ দেশ মালয়েশিয়া মোটা দাগের চাল আমদানিকারক হওয়ায় বাংলাদেশের বাজার সম্ভাবনা এখানে তুলনামূলক ভালো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একই সঙ্গে অপ্রচলিত রপ্তানি পণ্য হিসেবে বাংলাদেশের উন্নত মানের কলাও উঠে আসবে বিশ্ববাজারে। বছর চারেক আগে পোল্যান্ডে রপ্তানি শুরু হওয়ার পর খেই হারানো বাংলাদেশের কলার বাজারের জন্যও বিষয়টাকে নতুন সম্ভাবনা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
নতুন বাজার হিসেবে মালয়েশিয়া তাই চাল রপ্তানির নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে বাংলাদেশের বাংলাদেশের সামনে। এতে বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষির অবদান যে আরো বাড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
মালয়েশিয়া চাল নিতে শুরু করলে কেনিয়া, উগান্ডা, তানজানিয়া, ফিলিপাইন আর ইন্দোনেশিয়াসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের বাজার ধরাও সহজ হবে বাংলাদেশের পক্ষে। সম্ভব হবে আগেই থেকেই চালের বিশ্ববাজার ধরে রাখা দেশগুলোর সঙ্গে সুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমে সফল হওয়া।
পাশাপাশি ২০১২ সালে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জলপথে ২০ হাজার কেজি সাগরকলা পোল্যান্ডে রপ্তানির মাধ্যমে শুরু হওয়া কলা বাণিজ্যও নতুন ঠিকানা খুঁজে পাবে মালয়েশিয়ার বাজারে। গত চার বছরে বিশ্ববাজারে কলা রপ্তানিতে খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও এবার মালয়েশিয়া নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে বাংলাদেশের সামনে।
কেননা বাংলাদেশের কলার গুণগত মান অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় ভালো বলে এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। খ্যাতি রয়েছে নরসিংদী, ময়মনসিংহ, মুন্সীগঞ্জ, যশোর, বরিশাল, বগুড়া, রংপুর, জয়পুরহাট, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর আর পাবনা অঞ্চলের কলার। মৌসুমি জলবায়ুর দেশ হওয়ায় দেশের উচ্চভূমিতে সারা বছরই কলার চাষ করা সম্ভব বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অপ্রচলিত পণ্যের মধ্যে এরইমধ্যে শাক-সবজি আর ফুল রপ্তানিতে সুনাম কুঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। এবার তার সঙ্গে প্রোটিন, ফাইবার, শর্করা আর ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ কলা রপ্তানি শুরু করে প্রকারান্তরে অপ্রচলিত রপ্তানি পণ্যের বাজারই সুসংহত হবে। বহুল পরিচিত সাগর কলা ছাড়াও অগ্নিস্বর, অমৃতসাগর, দুধসর, চিনিচাম্পা, সবরি ইত্যাদি ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ কলার স্বাদ সহজেই বিশ্ববাজারে কদর বাড়িয়ে দিতে পারে। আর মালয়েশিয়া থেকে শুরু হতে পারে কলা রপ্তানির নতুন পর্ব।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন
সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার
এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন