বাংলা বললে বহিষ্কার!
গুলশানের বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটোরিয়াল স্কুলে বাংলা বলা মানা। কেবল ক্লাসে নয়, ক্যাম্পাসে কেউ মাতৃভাষায় কথা বললেই স্কুল থেকে বের করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে একটি নোটিশও টানানো হয়েছে স্কুলে।
রাজধানীর অন্যান্য ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে বাংলা একেবারে নিষিদ্ধ-এমন নয়। বরং মাতৃভাষা যেন শিক্ষার্থীরা পড়তে ও বুঝতে পারে, সে জন্য প্রতিটি ক্লাসেই বাংলা কোর্স চালু আছে। সেখানে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটোরিয়ালে কেন এই উল্টো যাত্রা-সে প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায়নি কর্তৃপক্ষের কাছে। স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ লুবনা চৌধুরীর সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
‘বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটোরিয়ালের যাত্রা শুরু ১৯৮৩ সালে। স্কুলের একাধিক সাবেক শিক্ষার্থী ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন, তারা যখন সেখানে পড়েছেন, তখন এমন কোনও নির্দেশ তাদেরকে দেয়া হয়নি।
সম্প্রতি ইরফান শেখ নামে একজন স্কুলটির অধ্যক্ষের স্বাক্ষর সম্বলিত নোটিশটি তার ফেসবুক পেজে শেয়ার করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপরই ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
ইরফান লিখেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অবিলম্বে এই স্কুলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনুচিত। এটি অসাংবিধানিকও বটে। এই দেশের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা। এই ভাষার জন্য অনেকেই জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। অথচ এটি বলা নিষিদ্ধ হবে, এটা মানা যায় না’।
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব বেগম রুহী রহমান ইংরেজি মাধ্যম স্কুলটির এমন সিদ্ধান্তের সাফাই গেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় ইংরেজি বলা বাধ্যবাধকতা না করলে শিক্ষার্থীরা ইংরেজি বলে না। ফলে নিয়ম করলে তারা বাধ্য হয়। এটি দোষের কিছু নয়। কারণ আমাদেরকে বৈশ্বিক পরিসরে দেখতে হবে। অনেক শিক্ষার্থীরা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ে কিন্তু ভাল ইংরেজি বলতে পারে না। একারণেই হয়তো স্কুল কর্তৃপক্ষ এমন নিয়ম করেছে’।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন
সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার
এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন