বাঙালির ফুলশয্যা ও এভারেস্ট জয়
বাঙালির কাছে এভারেস্ট জয় এখন আর তেমন নতুন কিছু নয়। ছেলেরা তো বটেই মেয়েরাও সেই কৃতিত্ব দেখিয়ে ফেলেছে। তবু ফুলশয্যা নামক এভারেস্ট নিয়ে ভয় কাটেনি।
কে প্রথম কাছে এসেছে… কে প্রথম ভালবেসেছে…। গড়গড় করে বা গুনগুন করে গেয়ে ফেলা যায় কিন্তু, কাছে আসার ‘সহজ’ কাজটা অতটা সহজ নয়।
এ তো আর এলাম, দেখলাম, জয় করলাম নয়। এভারেস্ট জয় এখন নাকি অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। পথ তৈরিই থাকে। তবু সবাই তো আর পারে না। কেউ কেউ পারে। কেউ কেউ চড়ে। ফুলশয্যার পথটাও ঠিক সেই রকম। অনেকেই বলেন, প্রথম রাতে ‘বিড়াল মারা’টা নাকি খুব খুব দরকারি। কিন্তু প্রথম রাতেই ‘কেল্লাফতে’ করতে ধক লাগে। রাত আর রাত থাকে না। ভোর হয়ে যায়। মন্থর আলাপ-পর্ব যখন ঝালায় পৌঁছয় ততক্ষণে কাকের ডাকে চাপা পড়ে যায় ভালবাসার শিহরণ ধ্বনি।
হয়তো অনেকদিনের আলাপ, হয়তো খানিকটা পরিচিত কিংবা একেবারেই অপরিচিত দুই শরীর। একটা বিছানা। মাঝে কোনও দেওয়াল নেই। এ যে একেবারে নিজের। এই উত্তেজনাটা কি কম নাকি! টেনশনের বাবা।
জানলার পাশ থেকে আসা ‘দেওর-বৌদি-ননদ’-দের আড়ি পাতার ফিসফাস, খসখসে নতুন বিছানার চাদর, ফুল ছেড়া পাপড়ির অস্বস্তি, সঙ্গে অন্যরকম গন্ধ। সবই যেন এভারেস্ট চড়ার বন্ধুর পথ। বেস ক্যাম্পে পৌঁছনোর আগেই তো ঘেমে-নেয়ে একশা অবস্থা। কেমন হবে শুরুটা? ধ্রুপদী আলাপ নাকি, র্যাপ!
গাড়ি কোন গিয়ারে ফেলতে হবে সেটা তো আর আগে ট্রেনিং নেওয়া যায় না। প্রথম রাত যে প্রথম রাতই। আগের অভিজ্ঞতা তো ‘অন্য’রকম। এ তো আর লুকিয়ে-চুরিয়ে ইন্টুমিন্টু নয়। এ একেবারে বাড়ির সবার সামনে দু’জনে একলা হওয়ার ‘প্রথম’ অভিজ্ঞতা। এক নিভৃত ঘরে দু’জনে এক বিছানায় রাত্রি কাটানোর ছাড়পত্র মিলেছে। সার্টিফিকেট প্রাপ্ত। এরই নাম ফুলশয্যা।
অনেক পরামর্শ শোনা আছে। প্রশ্নও কমন। কিন্তু পরীক্ষার হলে পড়া ভুলে যাওয়ার মতো অবস্থা। কে আগে কথা বলবে… কে আগে কাছে আসবে…
—এ মেয়ে কি কোমল স্পর্শ পছন্দ করে! হাতটা ধরলে ছিটকে নেবে না তো! পিচ্ছিল পাহাড়ি পথে পিছলে যাবে না তো ‘প্রথম উত্তেজনা’!
—পুরুষ সিংহ শুনেছি। এও কি তেমন! ও কি এগিয়ে আসবে? নাকি আমিই এগিয়ে যাব। রাত যে কাবার হতে যায়! হ্যাংলা ভাববে না তো!
পাশাপাশি দু’টো শরীর, পাশাপাশি দু’টো ভাবনা। দেওয়াল ঘড়িটা টিক-টিক করে যায়। দু’টি মানুষের নিঃশ্বাসের শব্দে চাপা পড়ে ঘড়ির টিক-টিক-টিক-টিক।
সকাল দেখে, কখন যেন দূরত্ব ঘুচে গিয়েছে। এক মানুষের হাতের বন্ধনে আটক আর এক মানুষ। সাদা পাঞ্জাবির বুকে সিঁদুরের ছোপ।
ধুস্। এক চান্সে এভারেস্ট বিজয় অত সহজ নাকি!
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন