মাথায় রাখতে হবে আদর মানে শুধুই আদর। এর মধ্যে যৌনতার কোনও জায়গা নেই। কতক্ষণের জন্য এই আদর নেবেন তার উপর নির্ভর করবে কাঞ্চণমূল্য।

কাছের মানুষটা নেই। কিন্তু, চাইছেন আপনার প্রিয়জনের সঙ্গে শরীর ঘেষাঘেষি করে থাকতে। তার আদর খেতে। কুছ পরোয়া নেই। ফোন তুলুন। বলে দিন আদর খেতে ইচ্ছে করছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ির দরজায় হাজির আদর করার লোক। আপনি যেমন চাইবেন। আপনি মহিলা চাইলে মহিলা পাবেন। পুরুষ চাইলে পুরুষও পাবেন।

তবে, মাথায় রাখতে হবে আদর মানে শুধুই আদর। এর মধ্যে যৌনতার কোনও জায়গা নেই। কতক্ষণের জন্য এই আদর নেবেন তার উপর নির্ভর করবে কাঞ্চণমূল্য। কমপক্ষে দু’ঘণ্টা একজন ‘প্রফেশনাল কাডলার’-এর সঙ্গে আপনাকে কাটাতে হবে। আপনাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকা থেকে আপনাকে ধরে বসে থাকা সবই করবে সে।

বিদেশে খুব জনপ্রিয় হয়েছে এই ‘প্রফেশনাল কাডলিং’। মানসিক অবসাদ কাটাতে ‘কাডলিং’-এর নাকি জবাব নেই। এমন কথা বলছেন খোদ মনোবিদরা।

নিউ ইয়র্কের একটি সংস্থা ইতিমধ্যেই ‘প্রফেশনাল কাডলিং’-এ ভালো নাম করেছে। তবে, ‘আদর’ দেওয়ার এই পেশায় যৌনতার যে ভয় নেই তা অস্বীকার করা যাচ্ছে না। যারা ‘কাডলার’ ভাড়া দিচ্ছেন তাঁদের মতে, ‘যৌন চেতনা’-কো একবার মন থেকে দূরে সরিয়ে ফেললে আর কোনও ভয় নেই।

তবে, সবটা তাঁরা গ্যারান্টি দিতে পারছেন না। তাঁদের একটাই কথা ‘আদর’ খাওয়ানোর এই ব্যবসায় সম্পর্কটা কতদূর গড়াবে তা অনেক সময়ই ক্রেতা এবং কাডলারের আচরণের উপর নির্ভর করছে। এক্ষেত্রে ‘অযাচিত’ কিছু ঘটে গেল তা ব্যতিক্রম বলেই মনে করতে হবে।