শনিবার সকালে গ্রামেরই এক লিচু বাগানের ভিতর গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়েটির দেহ দেখতে পান এলাকাবাসী। ধুবুলিয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে।

বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠলো তারই এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার ধুবুলিয়া থানার বেলপুকুর রাজাপুর গ্রামে। মৃত ওই ছাত্রী বেলপুকুর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রী।

সূত্রের খবর, রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরীর বাবা পেশায় মুদি ব্যবসায়ী। গত শুক্রবার তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বর্ধমানে এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে যান। বাড়িতে তাঁর ছেলে, মেয়ে ও মা ছিলেন। অভিযোগ, শুক্রবার আনুমানিক দেড়টা নাগাদ কিশোরীর ঠাকুমা বাথরুমে যাবার জন্য ঘুম থেকে উঠলে দেখেন, তাঁর নাতনির ঘরের দরজা খোলা এবং ঘরে সে নেই। এর পরই মেয়েটির দাদাকে সঙ্গে নিয়ে তার খোঁজ শুরু করেন ঠাকুমা। সাহায্য নেওয়া হয় গ্রামবাসীদেরও।

কিন্তু কোথাও কিশোরীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ভোর রাতের দিকে ওই এলাকারই বাসিন্দা বেলপুকুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র, মেয়েটির সহপাঠী রাজারাম রায়কে সন্দেহজনকভাবে তার বাড়িতে ঢুকতে দেখলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন গ্রামবাসীরা।

প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে রাজারাম। কিন্তু তার পরও মেয়েটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে গ্রামেরই এক লিচু বাগানের ভিতর গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়েটির দেহ দেখতে পান এলাকাবাসী। ধুবুলিয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে।

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করেছে রাজারাম রায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, রাজারামের সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক ছিল কিশোরীর। তাই মাঝরাতে ডাকলেও বিশ্বাস করে সে অভিযুক্তের সঙ্গে গিয়েছিল। পুলিশ অভিযুক্ত রাজারামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধুবুলিয়া থানার পুলিশ।