জামায়াত ইস্যুতে খালেদার সঙ্গে বুদ্ধিজীবীদের দূরত্ব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের পর নেতাকর্মী এবং বিএনপিমনা বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিত আর জামায়াত ইস্যুতে বুদ্ধিজীবীদের অসন্তোষসহ সার্বিক দিক দিয়ে এক প্রকার নাজুক পরিস্থিতে রয়েছেন তিনি। এমনকি দল গঠনে শুরু থেকে এই রাজনৈতিক দলটিতে যারা ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন তাদের অনেকের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার।
জানা গেছে, দলটির অন্যতম পরামর্শক হিসেবে পরিচিত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাড়াও দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার এ দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।
মূলত দলের নতুন কমিটিতে যারা পদবঞ্চিত হয়েছেন বা যাদের দাবি পূরণ হয়নি তারা এখন বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় বা দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়মুখী হচ্ছেন না। চলতি বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলের আগে নিয়মিত দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিলেও এখন তাদের দেখা যাচ্ছে না। নানা অযুহাতে দলীয় কর্মসূচি থেকে তারা দূরত্ব বজায় রাখছেন।
অনেকে মনে করছেন, সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীকে বিএনপি জোটের বাইরে রাখার পরামর্শ দিয়ে দলটির নেত্রীর বিরাগভাজন হয়েছেন অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ। আর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে সম্প্রতি যে খোলা চিঠি লিখেছেন তাতেই স্পষ্ট তার সঙ্গেও কতটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের।
তবে দলটির দায়িত্বশীল নেতারা মনে করছেন, সময়ের ব্যবধানে রাগ-ক্ষোভ কমে গেলে এসব দূরত্ব ঘুচে যাবে। খুব সহজে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দূরত্ব ঘুচবে কিনা জানতে চাইলে অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার বিরোধী দল। এখানে বিশ্বাসের ব্যাপার আছে। আবার অন্যান্য অনেক ব্যাপার আছে। স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীকে মানা সম্ভব নয়।
রাজনীতি বিশ্লেষক মহিউদ্দিন খান মোহন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, পরিস্থিতি উত্তরণে বিএনপি চেয়ারপারসনকেই উদ্যোগ নিতে হবে। খালেদা জিয়া যদি চান যে বিএনপির সঙ্গে বুদ্ধিজীবীরা যুক্ত থাকবেন তাহলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে তাকেই।
পরামর্শকদের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের দূরত্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর বীর উত্তম বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই না জামায়াতে ইসলামী ২০ দলে থাকুক। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।’
বিষয়টিকে স্পর্শকাতর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির অন্যতম শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতিক। তাই এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রবীণ অধ্যাপক ড. নুরুল আমীন বেপারী জাগো নিউজকে বলেন, বিএনপির দুঃসময়ে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা উচিত। সবার সঙ্গে পরামর্শ করে বিএনপিকে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তনবিস্তারিত পড়ুন
দেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারেরবিস্তারিত পড়ুন
আওয়ামী লীগ ভিসানীতির পরোয়া করে না : ওবায়দুল কাদের
মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি আওয়ামী লীগ এগুলো পরোয়া করে না মন্তব্যবিস্তারিত পড়ুন