রুয়েট ছাত্রলীগ নেতা গুম
বান্ধবী, র্যাব ও ডিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা
রাজশাহীর তেরখাদিয়া এলাকা থেকে র্যাবের পোশাক পরে রুয়েট ছাত্রলীগ নেতা সোহাগকে গুম করার চারদিন পর মামলা হয়েছে। আজ রোববার রাত ৮টার দিকে নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলাটি করেন সোহাগের বাবা আক্কাসউজ্জামান।
মামলায় অজ্ঞাতনামা র্যাব ও ডিবি পুলিশের সদস্য এবং সোহাগের বান্ধবী নাবিলাকে আসামি করা হয়েছে।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান জানান, রুয়েট ছাত্রলীগ নেতা সাইফুজ্জামান সোহাগ গুম হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমানকে। মামলায় গত ৯ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘটে যাওয়া পুরো ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় র্যাবের পাশাপাশি অজ্ঞাত দুজন ডিবি পুলিশের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সোহাগের সহপাঠী জেসমিন তাসনিমা নাবিলাকেও আসামি করা হয়েছে। নাবিলা ঘটনার দিন থেকেই ছুটিতে খুলনার খালিশপুরের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
ওসি বলেন, যেহেতু মামলায় নাবিলার নাম দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সাইফুজ্জামান সোহাগের শ্বশুর রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক শেখ রেজাউর রহমান দুলাল বলেন, যেভাবেই হোক তিনি তাঁর জামাতাকে ফেরত চান। ‘সোহাগ কোনো অপরাধ করে থাকলে তাঁকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। তাই বলে তাঁকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুম করে রাখবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। সে জীবিত না মৃত তা আমরা জানতে চাই’ বলেন শেখ রেজাউর রহমান দুলাল। সোহাগকে ফেরত পেতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন।
সোহাগের বাবা আক্কাসউজ্জামান বলেন, সোহাগের সহপাঠী নাবিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে। সোহাগের সঙ্গে নাবিলার বন্ধুত্ব ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, “র্যাব সদস্যরা তাঁর ঘরে প্রবেশ করেই ল্যাপটপ তল্লাশি করার সময় একটি মেয়ের ছবি দেখে তাঁর পরিচয় জানতে চান। সোহাগ তখন তাঁদের বলেছিলেন নাবিলা। র্যাব ও ডিবির জ্যাকেট পরা সদস্যরা যখন তাঁকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন সোহাগ তাঁকে বলেছিল, ‘বাবা নাবিলা এই কাজ করতে পারে না।’ তাই আমার ধারণা নাবিলাই এই কাজ করিয়ে থাকতে পারে।”
গত ৯ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে র্যাবের পোশাকধারী ছয়-সাতজন রাজশাহীর তেরখাদিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহাগের বাড়িতে যান। তাঁরা সোহাগের কাছ থেকে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনের মেমোরি কার্ডসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে তাঁকে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে চলে যান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
বগুড়ার ৩টি উপজেলায় নির্বাচন; ১৫৭ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
রাত পোহালেই বগুড়ার তিন উপজেলা সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও গাবতলীতে ৬ষ্ঠবিস্তারিত পড়ুন
বিএনপি নেতাকর্মীরা বগুড়ায় আ.লীগ নেতার নির্বাচনী প্রচারণায়
বর্তমানে চলছে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের মত এই উপজেলা বির্নাচনেওবিস্তারিত পড়ুন
পদ্মায় গোসলে নেমে একসঙ্গে নিখোঁজ ৩ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীতে পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করছে ফায়ারবিস্তারিত পড়ুন