শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বাবাকে আটক করতে ১১ মাসের শিশু হাজতে!

বাবাকে আটক করতে না পেরে মায়ের সঙ্গে থানায় আনা হয় শিশু রয়েলকে। ২০ ঘণ্টা হাজতে থাকতে হয়েছে তাকেও। শুধু তাই নয়, পুলিশকেও দিতে হয়েছে ৪২ হাজার টাকা, এমন অভিযোগ পরিবারের। ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা যায়, মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের আজব আলীর ছেলে রাজু আহম্মদের নামে একটি মামলা আছে। কিছুদিন পূর্বে আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়িতে আসেন। বুধবার রাতে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে একই উপজেলার নাটিমা গ্রামে আব্দুল আজিজের বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। রাত ৮টার দিকে ওই বাড়িতে পুলিশ এলে পালিয়ে যায় রাজু আহম্মদ। মহেশপুর থানার টিএসআই আমির হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে তাড়া করে আটক করতে না পেরে তার স্ত্রী আর ১১ মাসের শিশুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটকের সময় টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলে তার স্ত্রীকে মারধরও করা হয়।

বুধবার সারারাত ওই শিশুটিকে মায়ের সঙ্গে থানাহাজতে আটকে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় টাকার দাবি। পুলিশের ওই কর্মকর্তা মা-ছেলেকে ছাড়তে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এই টাকা না দিতে পারায় দুপুর পর্যন্ত তাদের আটকে রাখেন। এক পর্যায়ে ৪২ হাজার টাকা দিয়ে বেলা ৩টার দিকে তাদের মুক্ত করা হয়। এ ব্যাপারে আব্দুল আজিজ জানান, তিনি বৌমাকে ছাড়াতে থানায় গেলে পুলিশ টাকার প্রস্তাব দেয়। রাজু মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে টাকার চুক্তি করেন। পরে টাকার জোগাড় করে তার হাতে দিলে তিনি রাতে আটক করতে যাওয়া ওই কর্মকর্তার হাতে তুলে দেন।

এ ব্যাপারে টিএসআই আমির হোসেন বলেন, রাজু আহম্মদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। যে কারণে তাকে আটক করতে যান। পুলিশ দেখে রাজু পালিয়ে যায়। এরপর তার স্ত্রীকে একা অন্যের বাড়িতে রেখে আসলে কেমন হয় তাই নিরাপত্তার জন্য থানায় নিয়ে আসেন। হাজতে রাখার বিষয়ে বলেন, নিরাপত্তার জন্যই রাখা হয়েছে। আর ৪২ হাজার টাকা দিয়ে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিদুল ইসলাম শাহিন জানান, স্বামী-স্ত্রী ওই বাড়িতে অবস্থানকালে এলাকার লোকজন খারাপ ধারণা করে আটক করেন। তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সেখানে গিয়ে দেখেন স্বামী পালিয়ে গেছে। পরে মেয়েটিকে থানায় আনা হয়। এখানে টাকা-পয়সার কোনো লেনদেন নেই। এ ঘটনায় শুক্রবার ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আনার হত্যার মাস্টারমাইন্ড শাহীনকে ধরতে ডিবির পরিকল্পনা

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ধারণা, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমবিস্তারিত পড়ুন

তৃতীয়বার আনারকে মনোনয়ন দিয়েছি জনপ্রিয়তা দেখে: কাদের

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম (আনার) স্বর্ণ চোরাচালানকারীবিস্তারিত পড়ুন

মাস্টারমাইন্ড শাহীনের অগাধ রহস্য

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের কলকাতায় হত্যাকাণ্ডেবিস্তারিত পড়ুন

  • ঝিনাইদহে সেনা সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
  • ঝিনাইদহে শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা, বাবা গ্রেফতার
  • ঝিনাইদহে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৩২, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
  • ঝিনাইদহে নিখোঁজের ৩ দিন পর নারীর লাশ উদ্ধার
  • সকাল থেকে ফের অভিযান
  • ঝিনাইদহে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ২ বাড়িতে অভিযান শুরু
  • দুই বাড়িতে বিস্ফোরক পুঁতে রাখা রয়েছে : র‍্যাব
  • ঝিনাইদহে একটি কলা গাছে ৬৫টি মোছা
  • ঝিনাইদহ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশি পাখি
  • অপারেশন ‘সাটল স্প্লিট’ শেষ
  • ঝিনাইদহের লেবুতলার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শুরু
  • ঝিনাইদহে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ, বতর্মানে এক মাসের অন্তঃসত্তা, বিচার চেয়ে আদালতের শরণাপন্ন