বাবা তোমাকে খুব মিস করছি: আশরাফুল
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান মোহাম্মদ আশরাফুলের বাবা আব্দুল মতিন। সে থেকে পেরিয়ে গেছে প্রায় সাতটি মাস। প্রতিটি দিন প্রতিটি মুহূর্ত বাবার শূণ্যতা বয়ে বেড়ান অ্যাশ। বিশেষ করে পরিবারের সবাই যখন একসঙ্গে খাবার টেবিলে বসেন তখন বাবার চেয়ারটা খালি দেখলে মনটা মোচড় দিয়ে উঠে আশরাফুলের।
বাবাকে ভীষণ মিস করছেন উল্লেখ করে আশরাফুল লিখেছেন, ‘খাবার টেবিলে খেতে বসলে অদ্ভূদ এক শুন্যতা কাজ করে। সারা জীবনের এই বাউন্ডুলে আমি সব সময়েই পরিবার কে কম সময় দিয়েছি। বাবা জীবিত থাকতে কড়া নির্দেশ দিতেন খাবার সময় সবাই একসাথে খাবার টেবিলে বসে খেতে হবে, এতে যৌথ পরিবারের সবার সম্পর্ক ভালো থাকে। বাসার কাজের মানুষ থেকে শুরু করে সবাই তাই এক সাথে খেতে বসতাম।
সবাই খেতে বসে বাবার দিকে তাকালে ওনার চোখে শান্তির একটা ছাপ দেখতাম। খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারনে প্রায়েই সবার সাথে খেতে বসতে পারতাম না, বাইরে খাওয়া লাগত, অনেক সময় দেশের বাইরে থাকলে, গভীর রাতেও বাড়ি ফিরতাম। খাবার নিয়ে আম্মা অপেক্ষা করত গভীর রাত পর্যন্ত। বাউন্ডুলে জীবনকে লাগাম টানার জন্য বিয়ে দেয়া হল। রাতে খাবার নিয়ে এখন অপেক্ষা করে অর্চি।
রাত যত গভীর হোক বাসায় না ফেরা পর্যন্ত সে খায়না। তবে এখন আগের চেয়ে বেশি চেষ্টা করি বাসার সবার সাথে বসে খাবার খাওয়ার জন্য। ঠিক তখনেই কষ্টটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। বাবার খাবার চেয়ারটা এখনো যে খালি থাকে। যে মানুষের নির্দেশে সবাই একসাথে খাবার টেবিলে বসতাম সেই মানুষেই নেই।
আজ এতদিন পর আমার পৃথিবী যেন ভরে উঠেছে। বাবা থাকলে আম্মার রোগ মুক্তিতে খুশি হতেন। বাবা তুমি কি দেখতে পাচ্ছ? তোমার নির্দেশ আমরা অমান্য করিনি।আজ এমন দিনে তোমাকে খুব বেশি মিস করছি বাবা।’
জাতীয় দলে না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গে সুখ-দুঃখগুলো শেয়ার করেন আশরাফুল। মাঝে মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে ফেইসবুকে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে আবারও ফেইসবুকে ফিরেছেন আশরাফুল।
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ২০১৩ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ হন আশরাফুল। ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েও ব্যাট-বলকে বিদায় বলেননি তিনি। ব্যক্তিগতভাবে চালিয়ে গেছেন অনুশীলন। খেলেছেন দেশের বাইরেও। সবশেষ গত বছরের ১৩ আগস্ট নিষেধাজ্ঞার শেকল থেকে মুক্তি পায় আশরাফুল।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয় আশরাফুলের। ৬১ টেস্ট খেলে তাঁর সংগ্রহ ২৭৩৭ রান। এর মধ্যে রয়েছে ছয়টি সেঞ্চুরি ও আটটি হাফ সেঞ্চুরি। আর ১৭৭টি ওয়ানডে ম্যাচে তাঁর রান তিন হাজার ৪৬৮। রয়েছে তিনটি সেঞ্চুরি ও ২০টি হাফ সেঞ্চুরিও।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন