বিএনপির কাউন্সিল: ভেন্যু ঠিক না হলেও প্রস্তুতি চলছে!
: সময় আছে আর মাত্র তিন সপ্তাহ। এখনো চূড়ান্ত হয়নি বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলের স্থান (ভেন্যু)। তবে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৯ মার্চ দলের ষষ্ঠ কাউন্সিল অনুষ্ঠান সামনে রেখে প্রস্তুতি চলছে দলে।
যদিও বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, কাউন্সিল ব্যাহত করতে সরকার জায়গা বরাদ্দ নিয়ে টালবাহানা করছে; কিন্তু সরকারি দল বলছে, বিএনপির কাউন্সিল করার ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি নেই তাদের।
সরকারি দলের এই বক্তব্যের বিষয়ে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “সরকার বলছে কাউন্সিলে বাধা দেবে না। এখন তো দেখছি বাধাও দেবে না, জায়গাও দেবে না। তাহলে কোথায় কাউন্সিল করব- আমার বাসায় করব, না অফিসে করব?”
বিএনপির মতো দেশের একটি বৃহৎ দলের কাউন্সিল আয়োজন কোনো ছোট ব্যাপার নয়। কিন্ত হাতে মাত্র তিন সপ্তাহ, এই সময়েও কাউন্সিলের স্থান চূড়ান্ত না হওয়া দলের জন্য অস্বস্তির ব্যাপার হওয়াই স্বাভাবিক। এমন অবস্থায় কাউন্সিলের তারিখ পেছাতে পারে বলে নেতাকর্মীদের মধ্যে একধরনের ধারণা তৈরি হয়েছে।
তবে কাউন্সিল অনুষ্ঠান নিয়ে কোনো সংশয় নেই বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, “প্রয়োজনে বটতলায় আয়োজিত হবে। তবু সময়মতো হবে কাউন্সিল।”
কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, কাউন্সিলের প্রস্তুতি কমিটিগুলো ইতিমধ্যে তাদের কাজ শুরু করেছে। কয়েকটি কমিটির কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। তবে এখনো জায়গা চূড়ান্ত না হওয়ায় কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “কাউন্সিলরদের তালিকার শতকরা ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। শোক প্রস্তাবের জন্য দলের যেসব নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, প্রাণ হারিয়েছেন, মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের তালিকার কাজও ৬০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আন্তর্জাতিক উপকমিটি কোন কোন দেশে আমন্ত্রণ পাঠাবে, তার তালিকাও চূড়ান্ত হয়েছে।”
দলের জাতীয় কাউন্সিল করার জন্য গত জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে বিএনপি।
ইতিমধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তর পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারে তাদের উপত্তি নেই বলে জানিয়েছে। তবে বিএনপির প্রথম পছন্দ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের অনুমতি না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানা গেছে।
এখন পর্যন্ত অনুমতির বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো জবাব পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে রিজভী
বলেন, “গৃহায়ণ ও গণপূর্ত বিভাগের অনাপত্তির কথা জানিয়ে পুলিশকে চিঠি দেয়া হয়েছে, এখনো কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।”
এই তিনটি স্থানের বাইরে বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে কাউন্সিল করার কথা বিএনপির নেতারা চিন্তা করলেও সেটি কোনো রাজনৈতিক দলকে ভাড়া না দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ ।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিল উপলক্ষে গঠন করা ১১টি উপকমিটি নিয়ে সম্প্রতি মূল প্রস্তুতি কমিটির প্রধান বেগম খালেদা জিয়া বৈঠক করেছেন। চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রস্তুতিও চলছে। গঠনতন্ত্র সংশোধনে কাউন্সিলরদের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। কাউন্সিলররা তাদের মতামত কেন্দ্রে পাঠাচ্ছেন।
শুক্রবার দুপুরে বিএনপির কাউন্সিলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিক শফিক রেহমান
বলেন, “মিত্রদেশ, মিত্র রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য কাজ চলছে। আশা করি নির্ধারিত দিনে বিএনপি কাউন্সিল করতে পারবে। তবে স্থান চূড়ান্ত না হওয়ায় একটু সমস্যা তো হচ্ছেই।”
স্থানের কথা উল্লেখ না করেই আমন্ত্রণপত্র তৈরি হচ্ছে কি না-এমন প্রশ্নে সম্প্রতি নিজের যুক্তরাষ্ট্রের একটি কনফারেন্সে যোগ দেয়ার উদাহরণ টেনে শফিক রেহমান বলেন, “সেখানে কিন্তু আমন্ত্রণপত্রে লেখা ছিল না কোন হোটেলে কনফারেন্স হবে।”
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন