বিদেশিরাই ডুবিয়েছে, ক্ষোভ শেবাগের
বাঁচা-মরার ম্যাচে জেগে উঠবে কি, উল্টো খোলসের মধ্যে ঢুকে গেল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। কাল রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে মাত্র ৭৩ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। ম্যাচের অর্ধেক পথেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আইপিএল থেকে বিদায়। ম্যাচ শেষে ক্রিকেট অপারেশনস পরিচালক বীরেন্দর শেবাগ রীতিমতো ক্ষোভ ঝাড়লেন। তাঁর মতে, আইপিএলে পাঞ্জাবকে ডুবিয়েছে বিদেশি ক্রিকেটাররাই।
বিদেশি ক্রিকেটারদের কেউই দায়িত্ব নিয়ে খেলেনি বলেই মনে করেন শেবাগ, ‘আমি খুব হতাশ। বলা যায়, কোনো বিদেশি ক্রিকেটারই দায়িত্ব নিয়ে কমপক্ষে ১২-১৫ ওভার পর্যন্ত খেলে আসেনি। বিদেশিদের মধ্যে কমপক্ষে একজনের উচিত ছিল ১২ থেকে ১৫ ওভার পর্যন্ত উইকেটে থাকা। কিন্তু কেউই দায়িত্ব নিয়ে খেলেনি।’
শেবাগের লক্ষ্যবস্তু মূলত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পাঞ্জাবের অধিনায়ক গতকাল যেভাবে আউট হয়েছেন, সেটা একেবারেই ভালো লাগেনি শেবাগের। ম্যাক্সওয়েলের পাশাপাশি মার্টিন গাপটিল ও এউইন মরগানের ওপরও রাগ তাঁর। বেশ বিরক্তি নিয়েই তিনি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের দলে নেওয়াই হয় তারা যেন যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেয়। আমাদের ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা উইকেট নিয়ে অভিযোগ করতে পারে। বলতে পারে, উইকেট ধীরগতির ছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এত দিন কাটিয়ে দেওয়ার পর এই খেলোয়াড়দের উচিত কঠিন কিংবা সহজ যেমন উইকেটই হোক মানিয়ে নেওয়া। ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো উইকেট পাওয়াটা কিন্তু বিরল ব্যাপার। কিন্তু যে উইকেটেই খেলা হোক যেকোনো খেলোয়াড়েরই উচিত দলের জন্য কমপক্ষে ২০ ওভার ব্যাট করা। কিন্তু ম্যাক্সওয়েল, গাপটিল ও মরগানরা এটা করতে ব্যর্থ।’
অধিনায়ক বলেই ম্যাক্সওয়েলকে নিয়েই তাঁর ক্ষোভটা সবচেয়ে বেশি, ‘এটা সবাই জানে ম্যাক্সওয়েল একবার ভালো খেলা শুরু করলে ওকে আটকানো বেশ মুশকিল। কিন্তু আইপিএলে তার কাছ থেকে খুব ভালো পারফরম্যান্স তো আমরা পাইনি।’
আইপিএলের এবারের মৌসুমে পাঞ্জাবের বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিল দুর্দান্ত সব নামই। ম্যাক্সওয়েল, গাপটিল ও মরগানদের বাইরে পাঞ্জাবে খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা ও ডেভিড মিলার। খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার শন মার্শও। এই বিদেশিদের মধ্যে আমলার পারফরম্যান্সই সবচেয়ে উজ্জ্বল ১০ ম্যাচে ৪২০ রান তাঁর। ম্যাক্সওয়েল ১৪ ম্যাচে করেছেন ৩১০। এ ছাড়া গাপটিল ৭ ম্যাচে ১৩২ আর মরগানের ৪ ম্যাচে সংগ্রহ ৬৫। ‘কিলার’ হিসেবে পরিচিত ডেভিড মিলার ৫টি ম্যাচ খেল ৮৩ রানের বেশি করতে পারেননি। ৯ ম্যাচে মার্শের ২৬৪। সূত্র: এনডিটিভি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন