বিদ্রোহের আগে খালেদাকে ৪৫ বার ফোন করে তারেক
বিডিআর বিদ্রোহের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে তার ছেলে তারেক রহমান লন্ডন থেকে ৪৫ বার ফোন করেছিলেন বলে দাবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এমনকি এই বিদ্রোহের সঙ্গে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের যোগসূত্র রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোমবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
‘বিএনপি নেত্রী প্রায়ই বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন’ একথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী সমাবেশে বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠন করলাম। দুই মাসের মধ্যে শুধু পিলখানায় নয়, সমগ্র বাংলাদেশে সেই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। আমরা মাত্র দুইদিনে কন্ট্রোল করি।’
‘নতুন সেই সরকার কেন একটা বাহিনীতে বিদ্রোহ ঘটাবে’- এমন প্রশ্ন রেখে খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি তখন ক্যান্টনমেন্টের বাসায় থাকতেন। বিডিআর বিদ্রোহ ৯টার দিকে শুরু হয়। আর সকাল সাড়ে ৭-৮টার মধ্যে কেন বাসা থেকে বের হয়ে উনি আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গেলেন? এর জবাব জনগণকে দিতে হবে। আসলে এতে তার যোগসূত্র ছিল।’
‘বিদ্রোহের আগের রাতে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান লন্ডন থেকে ফোন করেন’ দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার পুত্র লন্ডন সময় রাত ১টা-২টার মধ্যে ৪৫ বার ফোন করে তার মাকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলে। কেন তার মাকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলেছে? তারও সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।’
‘বিদ্রোহে নিহত ৫৭ জন সেনা অফিসারের মধ্যে ৩৩ জনই আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান’ একথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদেরকে কেন সেখানে পোস্টিং দেয়া হয়েছিল- সেটাও একটা প্রশ্ন। আমরা তখন মাত্র দুই মাস ক্ষমতায়। এই ষড়যন্ত্রের মূলোৎপাটন একদিন করবো। এখন হাইকোর্টে এই হত্যামামলার বিচার চলছে।’
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তৎকালীন বিডিআরের সদর দপ্তর পিলখানায় সৈন্যরা বিভিন্ন দাবিতে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। এতে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। এছাড়া আরও ১৭ জন এ ঘটনায় প্রাণ হারান।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বিদ্রোহীরা তাদের অস্ত্র জমা দেন। এরপর পিলখানা নিয়ন্ত্রণে আসে। রক্তাক্ত ওই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুনর্গঠন করা হয়। নাম বদলের পর এ বাহিনী এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হিসেবে পরিচিত।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তান প্রেমের কারণে খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন। উনার দিল মে হ্যায় পেয়ারে পাকিস্তান, উনি তা ভুলতে পারেন না। পাকিস্তান যেই সুরে কথা বলে তিনিও সেই সুরে কথা বলেন।’ একাত্তরে পাকিস্তানের দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করার জন্য জিয়াউর রহমানকেই দায়ী করেন তিনি।
বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা কথা দিয়েছিলাম নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করবো। আমরা সেই কাজ শুরু করেছি।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন