বিমানেই প্রস্তাব, বিমানেই বিয়ে
নাথালি আইকা ভেবেছিলেন, প্রেমিক ইয়ুর্গেন বোনারের সঙ্গে স্রেফ ছুটি কাটাতে যাচ্ছেন গ্রিসে। কিন্তু আকাশপথে ভিয়েনা ও অ্যাথেন্সের মাঝামাঝি কোনো এক জায়গায় এই যুগলকে ঘিরে দাঁড়ালেন বেশ কয়েকজন, সমস্বরে গাইলেন বিবাহসংগীত।
ইয়ুর্গেন আচমকা উঠে দাঁড়ালেন। তারপর নতজানু হয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন নাথালিকে। এতে স্বভাবতই আবেগাপ্লুত হলেন তিনি। কিন্তু ঘটনার তো কেবল শুরু তখন।
একে একে চলে এল বিয়ের পোশাক, এক জোড়া আংটি, একজন পিয়ানোবাদক, বিয়ে পড়ানোর মানুষ ইত্যাদি।
গন্তব্যে পৌঁছাতে তখনো অর্ধেক পথ বাকি। উড়োজাহাজের পেছনের অংশ থেকে সামনে এলেন বেশ কয়েকজন আত্মীয়, নাথালির বাবাও।
তিনি এগিয়ে একগোছা ফুল মেয়ের হাতে তুলে দিয়ে একপাশে দাঁড়ালেন। বিমানবন্দরে আগে এসে চুপি চুপি নাথালির চোখ ফাঁকি দিয়ে উড়োজাহাজে উঠেছিলেন এরা।
অভিনব এই বিয়ে সম্পর্কে নাথালি নিজের ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘প্রত্যেক মেয়েই জীবনের এমন একটা মুহূর্তের অপেক্ষা করে। বিমান-ভ্রমণটা ছিল অবিস্মরণীয়। ভাষায় প্রকাশের উপায় নেই।’
আর ইয়ুর্গেন বললেন, ‘আমি অন্যরকম কিছু করতে চেয়েছিলাম। কারণ, এমন আনন্দের দিন তো জীবনে একবারই আসে, তাই না? আমি মনে করি, এটা জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন।’
ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত একটা ছবিতে দেখা যায়, নাথালি-ইয়ুর্গেন দম্পতি হাতে হাত রেখে বিমানবন্দর পেরিয়ে যাচ্ছেন। সঙ্গে একটা স্যুটকেস, তাতে হৃদয় আকৃতির কাগজে লেখা, ‘সদ্য বিবাহিত’।
নাথালির বয়স ২৮, ইয়ুর্গেনের ৩৬ বছর। তাদের সম্পর্কটা পাঁচ বছরের পুরোনো। অবশেষে নবদম্পতি সুখে-শান্তিতে জীবন কাটাতে থাকবেন—এমনই প্রত্যাশা সবার। -এপি
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন