রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

বিশ্ববিখ্যাত গ্রিক বিজ্ঞানী ও দার্শনিক যিনি

( একজন সত্যিকারের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বিজ্ঞানী বিশ্বাস করে যেকোন কিছু হয় বস্তু অথবা শক্তি দ্বারা তৈরী । এটা ঠিক যে, বস্তু এবং শক্তি একই মুদ্রার দুই পিঠ মাত্র । তো, বস্তু আর শক্তির দুনিয়া যিনি দেখেন, সেই বিজ্ঞানী যখন প্লেটোর দর্শন পড়েন তার কাছে খুবই মজার ঠেকে । বিশেষ করে সক্রেটিসীয় ঐতিহ্যে ধরে প্লেটোর সংলাপ নির্ভর লেখা । প্লেটো নিজের তরফে কিছু বলতেন না, সব কিছুর বরাত ছিলেন গুরু সক্রেটিস । সক্রেটিসের হেয়াঁলিপূর্ণ কথা-বার্তা তার কালের লোকজনকে মুগ্ধ করত, নিঃসন্দেহে এইকালের বিজ্ঞানীদেরও করে । তারা যখন প্লেটোর দি রিপাবলিক বইটি পড়েন, সক্রেটিসের মুখে বয়ানকৃত গুহার রূপক পড়ে চমৎকৃত হন বলে জানা যায় ।)

তিনজন মনীষী গ্রিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সঐ্যতাকে সবচেয়ে প্রভাবিত করেছিলেন । তারা হলেন- সক্রেটিস, প্লেটো এবং এরিস্টটল । সক্রেটিসের সবচেয়ে প্রিয় ও বিখ্যাত শিষ্য ছিলেন প্লেটো । সক্রেটিস নিজে কিছু লেখেন নি। সক্রেটিসের কথা ও চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে আমরা জানতে পারি প্লেটোর লেখা থেকে। আর এরিস্টটল ছিলেন প্লেটোর শিষ্য । প্রায় ৪২ বছর বয়সে খ্রিষ্টপূর্ব ৩৪২ সালে মেসিডোনিয়ার রাজা দ্বিতীয় ফিলিপ তাঁর ১৩ বছরের ছেলে আলেক্সান্ডার- এর গৃহশিক্ষক হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান । এরিস্টটল এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন । এরিস্টটল তাঁর ছাত্র আলেক্সান্ডারকে সামরিক বিদ্যাসহ একজন ভাবী রাজার উপযোগী অন্যান্য বিদ্যায় পারদর্শী করে তোলেন । এরিস্টটলের পদার্থবিদ্যা প্রাচীনকালের বিষয় আর আধুনিক ভৌত বিজ্ঞানসমূহ আধুনিক যুগের বিষয়- এই পার্থক্যের চেয়েও বড় পার্থক্য হচ্ছে এরিস্টটলের পদার্থবিদ্যা ছিল দর্শন, যেখানে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান একটি ইতিবাচক বিজ্ঞান যা একটি দর্শনকে প্রথমেই সত্য বলে ধরে নেয়… এরিস্টটলের পদার্থবিদ্যা না থাকলে গালিলেওর জন্ম হতো না ।

এরিস্টটল, বিশ্ববিখ্যাত গ্রিক বিজ্ঞানী ও দার্শনিক । তাকে প্রাণীবিজ্ঞানের জনক বলা হয় । শৈশবে তাঁর বাবা মারা যান, এবং ১৭ বছর বয়সে তার অভিভাবক প্রোক্সেনাস তাকে এথেন্সে জ্ঞানার্জনে পাঠিয়ে দেন । এথেন্স তখন বিশ্বে জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র হিসেবে গণ্য হত । সেখানে তিনি প্লেটোর একাডেমিতে সরাসরি প্লেটোর অধীনে প্রায় বিশ বছর শিক্ষা গ্রহণ করেন । একসময় প্লেটো ও তার একাডেমিতে থাকাকালেই তিনি নিজেই ভাষাত্বত্ত নিয়ে লেকচার দিতে শুরু করেন । খ্রিষ্টপূর্ব ৩৪৭ সালে প্লেটোর মৃত্যুর পর অ্যারিস্টটলই একাডেমির প্রধান হবার যোগ্য ছিলেন । কিন্তু প্লেটোর দর্শণের সাথে অ্যারিস্টটলের নিজের দর্শণের দূরত্বের দরুণ প্লেটোর আত্মীয় Speusippus কেই একাডেমির প্রধান হিসেবে বেছে নেয়া হয় । “এরিস্টটলের ফুজিকোস আক্রোয়াসেওস (ইংরেজিতে যে বইটি Physics নামে পরিচিত, আক্ষরিক অনুবাদ “প্রকৃতি বিষয়ক বক্তৃতামালা”) গ্রন্থটি মূলত একটি বক্তৃতা যাতে তিনি এমন সব বস্তু নির্ণয়ের চেষ্টা করেছেন যারা নিজে থেকেই উদ্ভূত হয় ।

এরিস্টটলের রচনাবলী শুধুমাত্র তার সময়েই প্রভাব বিস্তারকারী ছিলনা, বরং নিউটনের আগ পর্যন্ত, পরবর্তী দুই হাজার বছর ধরে সমস্ত বিজ্ঞানের ভিত্তিমূল হিসাবে স্বীকৃত ছিল । দর্শন, যুক্তি, জোতির্বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞানসহ অসংখ্য বিষয়ে লিখে গেছেন তিনি । যুক্তিবাদী হিসেবে তিনি ছিলেন সবচেয়ে শক্তিশালী । অন্যদিকে তার সবচেয়ে দুর্বল দিক ছিল প্রাকৃতিক দার্শনিক (বা বিজ্ঞানী) হিসাবে । গ্রীকদের চিন্তাভাবনার বেশীরভাগই সংরক্ষিত ছিল আলেকজান্দ্রিয়া শহরের লাইব্রেরীতে । এরিস্টটলের মৃত্যুর সময়কালীন সময়ে আলেকজান্দ্রিয়া পরিনত হয় সারাবিশ্বের জ্ঞানের তীর্থভূমিতে । আলেকজান্দ্রিয়ার এই লাইব্রেরী দুই দুই বার ধ্বংস করে দেয়া হয় । প্রথমবার করেছিল ক্রিশ্চান বিশপ থিওফিলাস ৩৯০ সালের দিকে । সপ্তদশ শতাব্দীতে একে দ্বিতীয়বারের মত ধ্বংস করে দেয় মুসলমানেরা । রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর পরই প্লেটোর ধারণাসমূহ জনপ্রিয় হয়ে উঠে । ধর্মনিরপেক্ষ চিন্তা-চেতনা বড় ধরনের দুঃসময়ে পতিত হয় । প্লেটোর দর্শনের কারণে এরিস্টটলের অনেক ধারণাও মার খেয়ে যায় সেই সময় । প্লেটো ছিলেন মানবকেন্দ্রিক (Anthropocentric) ধারণার অনুসারী । তিনি বিশ্বাস করতেন যে বিশ্ব চরাচর পরম কোন সত্ত্বা সৃষ্টি করেছেন এবং তা তিনি নিয়ন্ত্রণ করে চলেছেন । এই বিশ্ব ব্রক্ষ্মান্ডে মানুষের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে বলে তিনি মনে করতেন ।

এরিস্টটলের স্ত্রীর নাম ছিল পাইথিয়াস। তাঁদের এক কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে । পাইথিয়াস দীর্ঘদিন বাঁচেন নি । খ্রিষ্টপূর্ব ৩২৩ সালে মহাবীর আলেক্সান্ডারের মৃত্যুর পর এরিস্টটল এথেন্স থেকে চলে যেতে বাধ্য হন এবং ইউবা দ্বীপের ক্যালসিস নামক স্থানে তার মায়ের জমিদারিতে অবস্থান নেন । সেখানেই তিনি পরের বছর পেটের পীড়ায় ৬৩ বছর বয়সে দেহত্যাগ করেন । প্লেটো এরিস্টটলের রাষ্ট্র ভাবনায় রয়েছে দুটি শ্রেণীর উপস্থিতি । এক, অভিজাত, দুই দাস । যাদের অস্তিত্ব হলো অভিজাতদের আরাম আয়েশের ব্যবস্থা করার জন্যে । এই দর্শনকে এখনো পড়ানো হয় এবং দর্শনের ভিত্তি বলা হয় । তাদের এই দর্শনকে বোঝাবার জন্যে কার্টুন ইলাস্ট্রেশন-এ দেখানো হয়েছিলো একটি পাহাড়, যার চূড়োটা সমতল । সেখানে বসে আছে আট দশজন অভিজাত শ্রেণীর মানুষ । আর পাহাড়ের নিচে আছে লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ যারা কোনোরকমে কুঁজো হয়ে পাহাড়ের বোঝাটাকে বহন করে চলেছে । এটাকে অবিদ্যা ছাড়া আর কী বলা যায় । গ্রিক সভ্যতায় যে গণতন্ত্রের কথা বলা হয়, সে গণতন্ত্র হচ্ছে অভিজাত কিছু মানুষের গণতন্ত্র । সাধারণ মানুষের নয় ।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন

রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩

রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন

জাহাঙ্গীরনগর রণক্ষেত্র, অর্ধশতাধিক আহত 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রধান ফটকে ‘ছাত্রলীগ প্রবেশ নিষেধ’ লেখা কোটাবিস্তারিত পড়ুন

  • বৃহস্পতিবার সারাদেশে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা কোটা আন্দোলনকারীদের
  • নবীন এক্সপোর্টারদের নিয়ে এক্সপোর্ট সেবার বিজনেস মিটআপ
  • কান্না জড়িত কন্ঠে কুড়িগ্রামে পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল
  • তিশা থেকে জয়া আহসান, কপালে বাঁকা টিপের সেলফির রহস্য কী?
  • মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার ফাইনালে বাংলাদেশের নীলা
  • বাঁশির সুরে চলে অন্ধ সুভাষের সংসার
  • কিশোর বয়সে কেন ধুমপানে আসক্ত হচ্ছে ?
  • রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করলেন নূর উদ্দিন শামীম
  • সবচেয়ে কম বয়সী বিলিয়নিয়ার তরুণী
  • ব্যতিক্রমী শিল্প গড়ে বাংলাদেশি তরুণের চমক! তাও বালু দিয়ে !
  • আমাদের অহংকার বাংলাদেশের নারীঃ যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি প্রকৌশলে বাংলাদেশি নারী
  • মেহেদী রাঙা হাতে ঢাবি ছাত্রীরা