বিশ্ববিখ্যাত ভূতুড়ে হোটেলের রহস্যময় সত্য কাহিনী
প্রায় সময়েই কোথাও বেড়াতে গিয়ে হোটেলে উঠতে হয় আমাদেরকে। অল্প সময় আরামে আর নিশ্চিন্তে সময় কাটানোর জন্যে হোটেল জিনিসটার জুড়ি যে নেই সেটা এক কথায় অনস্বীকার্য! ঘোরাফেরা করতে গিয়ে নিশ্চয় আরো অনেকের মতন আপনিও জেনে ফেলেছেন এর ভেতরে অনেক অনেক হোটেল সম্পর্কে? কিন্তু এবার আর সাধারন নয়, কিছু রহস্যময় হোটেলের গল্প শোনাব আপনাকে। দেখুন না চোখ বুলিয়ে। কে জানে, এর কোন একটাতে হয়তো আপনিও সময় কাটিয়েছেন জীবনে!
কারোস্টা প্রিজন হোটেল
বিশ্বযুদ্ধের সময়কার কথা। কারোস্টা জেলখানাটি তখন তৈরি করা হয়েছিল নাজি ও রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর অত্যাচারের স্থান হিসেবে। মানুষকে ধরে নিয়ে ওখানে অত্যাচার করতো সেনারা। ফলে অনেক মানুষের চিত্কার আর মৃত্যুর সময়ের শেষ দীর্ঘশ্বাস এখনো মিশে রয়েছে জেলের প্রতিটি দেয়ালে। হয়তো এখন সেটাকে হোটেল বানানো হয়েছে। কিন্তু তা হলে কি হবে? মৃত মানুষদের আত্মা এখনো বন্দী হয়েই রয়েছে জেলের মতন দেখতে এই হোটেলটিতে।
হোটেল বার্চেন্টি
ইটালির এই হোটেলে একবার মুসোলিনি ছিলেন। তার সেই থাকার ঘরটিতে গেলে এখনো মানুষ অন্য কারো উপস্থিতি পায়। যায় নিজের মুখের ওপর কারো শীতল নিঃশ্বাস! তে কেবল ওটুকুই নয়। এই পুরো হোটেল জুড়েই রয়েছে নানারকমের ভূত। আছে বাচ্চা ভূত, যে কিনা সারাদিন দৌড়াদৌড়ি করে আর হাসে। আছে মহিলা ভূত, যে চেয়ারের ওপর বসে কাপড় বোনে। আছে কাজের ভূতও, যে সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠেই লেগে পড়ে জানলা-দরজা মুছতে।
রাসেল হোটেল
অষ্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অবস্থিত এই হোটেলটিতে এক নাবিক ভূত রয়েছে বেশ কয়দিন ধরে। যে প্রায়ই নিজের পায়ের ছাপ রেখে সবার সামনে দিয়েই হেঁটে চলে যায়। আর লুকোছাপা না করে সেটাকে সবার সামনেই বলেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। সবাইকে নিমন্ত্রণ জানান হোটেলের ভূত আর ভূতের অভিজ্ঞতাকে সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্যে।
বোরবোন অরলিন্স
আমেরিকার এই হোটেলটি একসময় এতিমখানা ছিল। আর সেটাকে তুলে দিয়েই তৈরি করা হয় এই বোরবোন হোটেল। আর এমন ব্যাপারগুলোতে যা হয় ঠিক তাই এখানেও হয়েছে। প্রায় একটা ছোট্ট মেয়েকে ছয় তলার সিঁড়িতে উলের বল নিয়ে খেলতে দেখা যায় হোটেলটিতে। কেবল তাই নয়, এক মহিলাকে বলড্যান্স করতে এবং এক সৈনিককে তিনতলা থেকে ছয়তলার মাঝে হাঁটাহাঁটি করতেও দেখেছেন এখানকার মানুষেরা।
ড্রাগশ্লম স্লট
ডেনমার্কে অবস্থিত এই প্রাসাদ থেকে নির্মিত হোটেলটিতে মোট তিনটি ভূতের দেখা পাওয়া গিয়েছে। দুজন মহিলা ও একজন পুরুষ। যাদের তিনজনই আলাদা আলাদাভাবে মারা গিয়েছেন এখানে। একজন কাজ করতেন এখানে। সেসময় কাজ করতে গিয়েই মারা পড়েন তিনি। আরেক মহিলা অবশ্য এই দূর্গের এক মালিকের মেয়ে। আর পুরুষটি হচ্ছে বোথওয়েলের আর্ল, যিনি কিনা ১৫৭৮ সালে মারা গিয়েছিলেন প্রাসাদের জেলেই।
অ্যানকোরেজ হোটেল
এই হোটেলটি প্রথম থেকেই ভূতুড়ে ছিলনা। সেবার হঠাৎ একদিন এক পুলিশ জন জে. কে মরে পড়ে তাকতে দেখা যায় হোটেলের সামনে। নিজের পিস্তল থেকেই গুলি লেগে মারা পড়েছিলেন তিনি। কেন, কি করে কিছুই তদন্দ করে পাওয়া না যাওয়ায় এই মৃত্যু রহস্য রহস্যই থাকে। আর ন্যায় বিচারের জন্যে প্রতিবছর নিজের মৃত্যুদিনে হোটেলে ঢুঁ মারে জন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন