বিশ্বের প্রথম ভাসমান শহর
সমুদ্র মানেই যতদূর চোখ যায়; ততদূর নীল জল। তবে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় এখন সমুদ্রে শুধু নীল জল দেখা যাবে না; মাঝ সমুদ্রে দেখা যাবে অত্যাধুনিক শহর।
সেই অত্যাধুনিক শহর ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ায়। যেখানে অন্য সব শহরের মত মানুষ বসবাস করবে, থাকবে শহরের নিজস্ব সরকার। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হল- মাঝসমুদ্রের এই শহরটি হবে ভাসমান। আর এটাই হবে বিশ্বের প্রথম ভাসমান শহর।
ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরের একাধিক দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। দেশটির সরকার ও সান ফ্রান্সিসকো’র সিস্টিডিং ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগেই দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের শান্ত নীল জলের মধ্যেই তৈরি হতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম ভাসমান শহর।
শহটির নাম রাখা হয়েছে ‘ফ্লোটিং সিটি’। শহরটি দেখতে হবে অনেকটা তারামাছের মতো। এছাড়া এই শহরের চতুর্ভুজ এবং পঞ্চভুজ বিশিষ্ট একাধিক গঠনও থাকবে। যেগুলো ৫০ মিটার লম্বা এবং ৫০ মিটার উঁচু। সিস্টিডিং ইনস্টিটিউটের প্রযুক্তিবিদ পিটার থেলের নকশায় গড়ে তোলা হচ্ছে এই শহর।
ধারণা করা হচ্ছে, ১৬ কোটি ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলার খরচ হতে পারে এই ভাসমান শহর নির্মাণে। এছাড়া প্রথম দিকে এই শহরে থাকতে পারবেন প্রায় ২৫০-৩০০ জন। পরে বাড়ানো হবে শহরের ধারণ-ক্ষমতা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৬৮ কোটি মানুষ থাকতে পারবেন এই ‘ফ্লোটিং সিটি’তে।
আগামী দু’বছরের মধ্যেই শুরু হবে শহরটির নির্মাণ কাজ। নীল নকশা প্রস্তুত। যা তৈরিতেই সময় লেগেছে পাঁচ বছর। ২০২০ সালের মধ্যেই এই শহরের প্রাথমিক কাজ শেষ হওয়ার কথা।
অন্যদিকে নতুন এই শহর সম্পূর্ণভাবে তৈরি হওয়ার ফ্রেঞ্চ রিপাবলিকের অধীনে থাকবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির সরকার। শহরটির জন্য তৈরি করা হবে নিজস্ব সরকার। ছোট ছোট এলাকার দায়িত্বে থাকবে একাধিক প্রশাসন। শুধু তাই নয়, ইচ্ছা হলে বাসিন্দারা নিজেদের পছন্দমতো সরকারের এলাকাতে গিয়ে বসবাস করতে পারবেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন