শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বিশ্বের সবচেয়ে উত্তপ্ত স্থান

পৃথিবীতে যেমন সবচেয়ে শীতল জায়গা আছে তেমনি সবচেয়ে উত্তপ্ত জায়গায়ও আছে। যেখানে সূর্য এতটাই প্রখর হয়ে তাপ বিকিরিত করে যে দোদুল্যমান মরিচীকা সবসময় চোখে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। পৃথিবী নামক গ্রহে ইথিওপিয়া ডানাকিল ডিপ্রেশন এমনি একটি উত্তপ্ত এবং শুষ্কতম জায়গা যা পৃথিবীর আর কোথাও নেই বললেই চলে। ইথিওপিয়ার আর একটি অঞ্চল যার নাম আফার। এটি উত্তরপূর্ব ইথিওপিয়ার ইরিত্রিয়া সীমানার কাছে অবস্থিত। এখানকার জলবায়ুর বৈরিভাবের কথা বর্ণনার বাইরে। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য যেখানে সূর্যের দাপটে একবিন্দু টিকে থাকা সম্ভব না সেখানে বাস করে কিছু অদ্ভুত মানুষ। স্থানীয়দের কাছে যারা আফার জাতিগোষ্ঠি নামে পরিচিত।

আফাররা এটাই তাদের আবাসস্থল বলে মনে করেন। আফার পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তপ্ত স্থান। এখানকার তাপমাত্রা সবসময় ৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার চেয়ে বেশি। বৃষ্টির দেখা পাওয়া খুবই দূরহ ব্যাপার। এখানে বছরে একবার বৃষ্টি হয়। যার মাত্রা সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়। এটা পৃথিবীর সবচেয়ে নিম্নতম স্থান হিসেবেও বলা হয়ে থাকে যা প্রায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪১০ ফুট নীচে অবস্থিত। সবকিছু মিলিয়ে এখানকার পরিবেশ মানুষ বসবাসের অনুপযোগী বলে বিবেচনা করা হয়।

ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, বহুবছর আগেও এখানকার জলবায়ু মানুষ বসবাসের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ভৌগোলিক ও জলবায়ুর তারতম্যের কারণে অনেকের কাছে এই স্থানটি অ্যালিয়ান ল্যান্ড নামে পরিচিত ছিল। কারণ এত উত্তাপের মাঝে এখানে মানুষ বসবাস মোটেও সম্ভব ছিল না। এই স্থানটির চারপাশে ঘুরে বেড়ালে মনে হবে এটা যেন পৃথিবী নয় বরং অন্য কোন গ্রহ। এখানে যে লাভা লেকগুলো আছে তা সবসময় ফুটন্ত অবস্থায় থাকে এবং বিভিন্ন রঙ্গের বিকিরণ সৃষ্টি করে।

আফার ট্রাইঅ্যাঙ্গেলের উত্তরাংশই হচ্ছে ডানাকিল ডিপ্রেশন। ভৌগোলিক দিক থেকে দেখলে দেখা যাবে এখানে একটি ত্রিপল জাংশন আছে যা তিনটি টেকটনিক প্লেটস নামে পরিচিত। ডিপ্রেশন সীমানা অতিক্রম করলেই ইরিত্রিয়া, দিবোউতি এবং সবশেষে ইথিওপিয়ার আফার এলাকা। আর এটা বৃহত্তর পশ্চিম আফ্রিকার রিফ্ট (ফাঁটল) উপত্যকারই একটি অংশ। রিফ্ট উপত্যকা এই টেটোনিক প্লেটসকে দূরে সরিয়ে সেখানে নতুন ভূত্বক তৈরি করেছে। আর এই কারণেই এখানে প্রতিবছর এক থেকে দুই সেন্টিমিটার গভীরতার তিনটি ফাটল দেখা দেয়।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, লক্ষ্যবছর পরে এই প্লেটসগুলো দূরে সরে যাবে এবং লবণাক্ত পানির সষ্টি হবে যা লোহিত সাগরে ছড়িয়ে পরবে। এই স্থানে একটি নতুন মহাসাগরের দৃশ্যপট হবে যা আগে কেউ কখনো দেখেনি। ডানাকিল ডিপ্রেশনই হবে ওই নতুন মহাসাগরের জন্মস্থান। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় যে, ১৯৭৪ সালে ডোনাল্ড জনসন এবং তার সহকর্মীরা এই স্থানটি খুঁজে পায়। ধারণা করা হয় এই স্থানটিতেই প্রথম প্রাণের জীবাশ্ম পাওয়া যায় সেই সঙ্গে এই স্থানটিকেই মানবতার শৈশবস্থানও বলা হয়ে থাকে।

এত বর্ণনার শোনার পর আপনি ভাবতেই পারেন এই জায়গা কোনভাবেই মানুষ বা কোন প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য অসম্ভব। কিন্তু অসম্ভব হলেও সত্য আফার জাতি এখানে দিনের পর দিন বসবাস করে আসছে। যখন সূর্যের প্রখন তাপে বাইরে থেকে যাওয়া কারও প্রাণ ওষ্ঠাগত এমনকি পানির জন্য ছটফট করতে থাকে এমন পরিস্থিতিতে আফারদের দেখায় একদম শীতল ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। আর এটার একমাত্র কারণ তারা বহুদিন ধরে এখানে বসবাস করে আসছে। তাদের দেহ এমন বৈরি পরিবশে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছে। তাই প্রখর গরম হোক আর যাই হোক তারা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে এখানে থাকতে পারে।

আফার জনগোষ্ঠির প্রধান জীবিকা নির্ভর করে লবণের উপর। তাদের কাছে লবণ হলো টাকার মতো। তারা বিভিন্ন স্থান থেকে লবণ সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে। আর এসব লবণ পরিবহনের জন্য তারা উট ও গাধা ব্যবহার করে। লবণ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করার জন্য তারা একসঙ্গে উটের পাল নিয়ে লবণ সংগ্রহ করতে রওয়ানা হয়। আর সঙ্গে নিয়ে নেয় এক সপ্তাহের জন্য রুটি ও পানি। অবশেষে এই বলা যায় আফার জাতি এখানে খুব মৌলিকভাবে জীবনযাপন করে। মূলত তারা এই স্থানের যাযাবর গোষ্ঠি। একজায়গা থেকে অন্য জায়গা জীবিকার সন্ধানে তারা ঘুরে বেড়ায়। সঙ্গে নেয়ার জন্য উট, গাধা, ছাগল ছাড়া আর কোন সম্বলই তাদের নেই বললেই চলে।

এই এলাকায় একটি মাত্র নদী আছে যার নাম আওয়াশ। যার পানি খেয়েই তারা বেঁচে থাকে। আওয়াশ হলো পৃথিবীর সব নদীগুলোর মধ্যে অন্যতম। অন্যতম হওয়ার কারণ হলো এই নদীর পানি কখনোই সমুদ্রে যেয়ে মিলিত হয় না। এটি শুধুমাত্র ইথিওপিয়ার উচ্চভূমিতে প্রবাহিত হয়ে ডানাকিল ডিপ্রেশনের লেকে যেয়ে শেষ হয়। যদিও ডিপ্রেশন একটি শুষ্ক ও অনুর্বর স্থান কিন্তু এই নদীটির জন্যই মূলত এখানে মানুষের বসবাস। দিনের বেলা যত প্রখরই থাকুক না কেন রাতের বেলা নদীর পারের চাঁদের আলো যেন সরাদিনের ক্লান্তি জুরিয়ে দেয়।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ