বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ উড়োজাহাজ

বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ উড়োজাহাজ ‘এয়ারল্যান্ডার-১০’ ৯২ মিটার লম্বা। এ উড়োজাহাজ একাধারে বিমান, এয়ারশিপ ও হেলিকপ্টারের কাজ করবে। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ যাত্রীবাহী বিমানের তুলনায় এয়ারল্যান্ডার ১৫ মিটার বেশি লম্বা। অবাক করার বিষয় হলো এয়ারল্যান্ডার ১০ বরফ ও পানিতেও অবতরণ করতে পারবে। এতে ৫০ টন মালামাল বহন করা যাবে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে উড়োজাহাজটি পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে। বিস্তারিত নিয়ে লিখেছেন নাজমুল হোসেন

বিশালাকৃতির এয়ারক্রাফট ‘এয়ারল্যান্ডার ১০’ আকাশে উড়তে পারে ঘণ্টায় ১০০ মাইল বেগে। এটি একটি বোয়িং-৭৪৭ বিমানের চেয়েও বড়। এয়ারল্যান্ডার ১০-এর পরবর্তী প্রজন্ম নাকি একটি ফুটবল মাঠের চেয়েও বড় আকৃতির হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এয়ারল্যান্ডার ১০ বহন করতে পারে ১০ টন ওজনের জিনিসপত্র। এটি গোটা পৃথিবী দুইবার ঘুরে আসতে পারবে কোনো প্রকার অবতরণ ছাড়াই।

নির্মাতা
ব্রিটিশ কোম্পানি হাইব্রিড এয়ার ভেহিকেলস (এইচএভি) এ উড়োজাহাজটির নকশা করেছে। এটা একাধারে বিমান, হেলিকপ্টার, হোভারক্রাফট এবং এয়ারশিপের হাইব্রিড। শুধু তাই নয়, এটাই বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় এয়ারক্রাফট বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বেশি ওজনের জিনিসপত্র বহনের সমাধান খুঁজছিল সেনাবাহিনী। তারই ফলে এয়ারল্যান্ডারের জন্ম। এটি একটি স্থানে স্থির হয়েও ভাসতে পারবে। ২০১৩ সালে বাজেটসংক্রান্ত সমস্যার কারণে এয়ারল্যান্ডার পরীক্ষামূলক উড্ডয়নে ছিল। পরে হাইব্রিড এয়ার ভেহিকেল প্রজেক্টটি কিনে নেয় এবং একে মানুষের কাজে ব্যবহারের

চিন্তাভাবনা শুরু করে।

২০১০ সাল থেকে ‘হাইব্রিড এয়ার ভেহিকেল’ এ ধরনের যান বানানোর কাজ শুরু করে। এয়ারল্যান্ডার ১০ মূলত ‘লং এন্ডুরেন্স মাল্টি-ইন্টেলিজেন্স ভেহিকেল’ প্রজেক্টের একটি অংশ। একটি মিশন নিয়ে দিনের পর দিন আকাশে উড়তে সক্ষম এয়ারক্রাফট বানানোর পরিকল্পনা থেকেই এর জন্ম। কার্গো ট্রান্সপোর্ট, পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি কাজে একে ব্যবহার করা হবে।

এটি টানা তিন সপ্তাহ আকাশে থাকতে পারবে। জ্বালানি হিসেবে এতে ব্যবহার করা হয়েছে হিলিয়াম। ঘণ্টায় ৯২ মাইল গতিবেগে এয়ারল্যান্ডার-১০ আকাশে উড়তে পারবে। এ উড়োজাহাজটি বাতাসের চেয়ে সামান্য ভারী হওয়ায় পানি ও বরফসহ যেকোনো স্থানে অবতরণ করতে পারবে।

২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জন্য সার্ভেইল্যান্স এয়ারক্রাফট হিসেবে প্রথম এর কাজ শুরু হয়। পরে এর উৎপাদনকারীরা এর প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা বাদ দিয়ে দেন। যদিও এরপরও নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের দাবি, উড়োজাহাজটি সার্ভেইল্যান্স, যোগাযোগ, ত্রাণ ও যাত্রী বহনের কাজে ব্যবহার করা যাবে। এয়ারল্যান্ডার ৫০ টন ওজনের মালামাল বহন করতে পারবে। একসাথে ৪৮ জন যাত্রীও বহন করা যাবে। এ ছাড়া বিমানটি কোনো শব্দ করে না ও বায়ুদূষণ করবে না। আকাশপথে যাতায়াতে যা নতুন যুগের শুরু করবে।

মিলিটারিদের জন্য বানানো হয়েছে এটি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এটি দিব্যি চলতে পারে। এটি মাটিতে নামতে কোনো ল্যান্ডিং জোনের প্রয়োজন নেই। পানি, বালি এবং বরফের ওপর নিমেষে নামতে পারবে এয়ারক্রাফটটি। বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এয়ারক্রাফটকে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে পণ্য আনা-নেয়ার কাজে ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এমনকি পর্যটন খাতেও একে ব্যবহারের ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের। ইতোমধ্যে ব্রিটিশ সরকার এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন অনুমোদনের কাজ সম্পন্ন হয়ে এসেছে।

এত বড় এয়ারক্রাফটি বাতাসে ভাসাতে ‘লাইটার দ্যান এয়ার টেকনোলজি’ ব্যবহার করেছে। হিলিয়াম গ্যাসের মাধ্যমে একে মাটি থেকে আকাশে উড়ানো হয়। এতে ১.৩৪ মিলিয়ন কিউবিক ফুট হিলিয়াম গ্যাস ধরে। চারটি প্রপেলারকে ঘোরাবে ভি৮ টার্বোচার্জড ইঞ্জিন। এটি ডিজেলে চলে। দুটো প্রপেলার পেছনে এবং বাকি দুটো সামনের দিকে।

আকাশে ‘এয়ারল্যান্ডার-১০’
গত বুধবার আকাশে প্রথমবার ডানা মেলল ব্রিটেনে তৈরি ‘এয়ারল্যান্ডার-১০’। সন্ধ্যার আলোয় তার সাক্ষী থাকলেন অসংখ্য মানুষ। যার বিশাল গোলগাল চেহারা দেখে ভক্তরা নাম রেখেছেন ‘দ্য ফ্লাইং বাম’। কিছুটা বিমান, খানিক হেলিকপ্টার আবার সাবেক জেপেলিনের সাথেও মিল রয়েছে এই বিমানের। এয়ারল্যান্ডার ১০ মূলত অর্ধেকটা বিমান এবং অর্ধেকটা এয়ারশিপের মতো দেখতে। এটি তৈরি করতে প্রায় নয় বছর সময় লেগেছে। বুধবার সারা দুপুর বেডফোর্ডশায়ারের কার্ডিংটন এয়ারফিল্ড লোকে লোকারণ্য ছিল। রোদে পুড়ে অধীর আগ্রহে বিশ্বের বিশালতম বিমান ওড়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনেছেন সাধারণ মানুষ। সূর্য অস্তাচলের পথে যাত্রা শুরু করতেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কার হ্যাঙ্গার ছেড়ে আকাশে উড়ল এয়ারল্যান্ডার। হাততালিতে ফেটে পড়লেন দর্শকেরা।

বিপাকে ‘এয়ারল্যান্ডার ১০’
গত ২৪ আগস্ট তিন শ’ ফুট দীর্ঘ ‘এয়ারল্যান্ডার ১০’ আকাশযান ক্র্যাশ করেছে। দ্বিতীয়বার টেস্ট ফ্লাইটেই এমন ক্ষতির সম্মুখীন হয় এয়ারক্রাফটটি। এটি ছিল প্রোটোটাইপ এয়ারল্যান্ডার ১০-এর দ্বিতীয় পরীক্ষামূলক ফ্লাইট। প্রায় শত মিনিটের মতো উড়েছিল। কার্ডিংটনে অবতরণের আগে কিছু নিয়মিত কাজ সম্পন্ন করে। তবে এয়ারল্যান্ডারটি অবশেষে আছড়ে পড়ে আর এর ফলে সামনের দিকের ফ্লাইট ডেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যুক্তরাজ্যের বেডফোর্ডশায়ারে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে দুর্ঘটনায় পাইলট আর এয়ারক্রাফটে থাকা অন্য কর্মকর্তারা ‘নিরাপদ এবং ভালো’ আছেন। এয়ারক্রাফটটি তার নিজের জায়গায় নিরাপদ এবং স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।

সম্ভাবনা
ইতিমধ্যে এয়ারল্যান্ডার ১০ এর পরবর্তী প্রজন্ম এয়ারল্যান্ডার ৫০ নিয়ে কাজ চলছে। এর একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করা হয়েছে। এটি ৩৯০ ফুট দীর্ঘ, ১৯৬ ফুট চওড়া এবং ১১৫ ফুট উঁচু হবে। প্রায় ৫০ জন প্যাসেঞ্জারসহ বিপুল পরিমাণ পণ্য বহন করতে পারবে এটি। এয়ারক্রাফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে, এয়ারক্রাফট শিল্পে ‘এয়ারল্যান্ডার ১০’ শক্তিশালী প্রতিযোগী হতে যাচ্ছে, পরবর্তী ২০ বছরে যার মূল্য প্রায় পাঁচ হাজার কোটি মার্কিন ডলার হতে পারে। হাইব্রিড এয়ার ভেহিকলস-এর নির্মিত এই আকাশযানের দাম ধরা হয়েছে প্রায় চার কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৮ সালের মধ্যে আরো ১২টি এয়ারল্যান্ডার তৈরির পরিকল্পনা চলছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ