শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বিয়ের আগের রাতে আত্মহত্যা ! রিমার লিখে যাওয়া শেষ চিঠির কথাগুলো …জানুন

প্রিয় মুসলেম…তারিখটা আমার ঠিক মনে পড়ছেনা। সম্ভবত গত জুলাই ২০১৫ এর মাঝামাঝিতে হবে। তুমি আমায় আগেরদিন ঠিক ৩টায় ফোন করে বলেছিলে। খুব সকালে উঠতে হবে কাল। আমাকে নিয়ে দূরে কোথাও বেড়াতে যাবে। আমি আনন্দে আত্মহারা এক অচিন পাখির মতো উড়ে বেড়িয়েছি সারাটি দিন এখানে সেখানে। কেউই বুঝতে পারেনি আমার মনের সুপ্ত হাসিগুলো। কেবল তোমার জন্যই রেখে দিয়েছিলাম….দেখা হলে প্রকাশ করব বলে। তবে মা খানিকটা টের পেয়েছিল। সেদিন অবশ্য বাবা ছিলা না। যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে নিষেধ ছিল তোমার সাথে সম্পর্কের বিষয়ে। সে যাই হোক, গত রোজার ঈদে বানানো নতুন জামাটি আমি রেখে দিয়েছিলাম যত্ন করে। তোমার সাথে সবসময় স্কুল ড্রেসেই দেখা হয়। সেদিন ঈদের জামাটি পরব বলে। বেগের ভিতর রাতেই ঢুকিয়ে রাখলাম জামাটি।

সকাল তখন ১০টা বাজে, তখনও তুমি ফোন ধরছিলেনা। আমি স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে মিজান কাকার বাড়ীর সামনের বট গাছটির নীছে বসেছিলাম অধীর অপেক্ষায়। ঐ এলাকাটি অনেক নির্জন, আমি ভয় পেয়েছিলাম। অবশেষে তোমার ফোন। আমি আনন্দে চিৎকার করে বলেছিলাম “তুমি কোথায়?” “এত দেরী হচ্ছে কেন?” “আমি আর দাড়াতে পারবনা।” “নিয়ে যাও এসে।” “আমি হারাতে চাই তোমার সাথে”। হঠাৎ ফোনটি কেটে যায়। তারপর আবার তোমার কল..! তুমি বললে………“আজ দেখা হবেনা”। আমি কিচ্ছু বলিনি। কিছ্ছু না। কেবল তোমার পথপানে চেয়ে চেয়ে ফিরে আসি। সেদিন আমি ফিরে এসেছিলাম। আজ আর হয়তো ফিরে আসা হবে না আমার।

আজ তিন মাস হলো তুমি চলে গেলে। সৌদি আরব গিয়ে তুমি অনেকখানী বদলে গিয়েছ, তা বলে মনের কাছে হেরে যেতে চাইনা আমি। গত জুলাই মাসের একটি ঘটনাই নয়, দু’টি বছরের স্মৃতিগুলো আমাকে কুড়িয়ে কুড়িয়ে মারছে। আমি আর সহ্য করতে পারছিনা। পাশের বাড়ীতে বিয়ে উপলক্ষে তুমি বরের পক্ষে এসেছিলে। আমার সাথে পরিচয় করে সেদিন তুমি কতনা সুন্দর করে কথা বলেছিলে। আমি তোমাকে বিশ্বাস করে মন দিয়েছি। পথ চলেছি সময়ের পর সময়। কথা বলেছি কত রাত অবদি। তোমার ফ্রেন্ড রসুল আমিনের বাড়ীতে নিয়ে গিয়েছিলে। তাদের একা বাড়ীতে কেউ ছিলনা। তুমি আর আমি ছাড়া। আমি আমার সবটুকু সমভ্রম তোমাকে উজাড় করে দিয়েছিলাম। সেটুকু না হয় ক্ষমা চেয়ে নেব বিধাতার কাছে।
আজ আমি সকাল বেলায় রসুল আমিনকে কল দিয়ে জানলাম…..যাবার এক সপ্তাহ আগে রাত ১২টায় তুমি বিয়ে করেছিলে। বাসর করেছিলে। তোমার বিয়ের ছবি রসুল আমাকে দেখাবে বলেছে। কি নিদারুন বিষয় বলতে পারো তুমি? আমি রসুল এর ফোনে একটুও কাঁদিনি, বিশ্বাস করো! হ্যাঁ…আমি যে কেঁদেছিলাম…. তা কেউউ বুঝতে পারেনি। কেউ না! কেউ না!
কাল আমার বিয়ে। সবাই ব্যস্ত। আমার প্রিয় ছোট ভাইটিও। যে আমাকে অনেক সঙ্গ দিয়েছে তোমার বিষয়ে। আজ আমি চলে যাব এটা কেউ জানেনা। জানার দরকার ও নেই। কেবল তুমি জানবে বলে এই চিঠিটি লিখে রেখে গেলাম। আমি যেখানে যাচ্ছি সেখান থেকে কেউ কোন দিন ফিরে আসে না। তা আমি জানি, কিন্তু কি করব বল? আমি আমার মনের কাছে হেরে যেতে চাইনা। ভালো থাকিও।

rima5

লক্ষীপুর জেলার রিমা নামের এই মেয়েটি ক’দিন আগে আত্মহত্যা করে মারা যায়। আত্মহত্যার কারন কেউ জানতে পারেনি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনেক তদন্ত হয়েছে। স্থানীয় মিডিয়াতে অনেক লিখালিখি হয়েছে। অবশেষে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সূদীর্ঘ্য একমাস পর। রিমার লেখা চিঠিখানা তাদের ঘরে রিমার পয়সা সংরক্ষনের একটি মাটির ব্যাংকের ভিতর পাওয়া যায়। রিমার চিটির লেখাটির কোন পরিবর্তন করা হয়নি। কেবল দু’ একটি শব্দের বানান ভূল ছিল, তা পাঠকের বুঝার সুবিধার্থে সংশোধন করা হয়েছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন  

চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন

চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস

 শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন

ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন

  • স্বাধীনতার জন্য সিরাজুল আলম খান জীবন যৌবন উৎসর্গ করেছিল
  • ৫৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ১০৬ জনকে সম্মাননা দিল ‘আমরা একাত্তর’
  • হাতিয়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
  • ৫৭ বছর বয়সে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ সদস্য
  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
  • চলে গেলেন হায়দার আকবর খান রনো
  • গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
  • ‘ও আল্লাহ আমার ইকবালরে কই নিয়ে গেলা’
  • ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর
  • কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য
  • কান্না জড়িত কন্ঠে কুড়িগ্রামে পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল
  • অজানা গল্পঃ গহীন অরণ্যে এক সংগ্রামী নারী