বুলেটে মাতৃগর্ভে গুরুতর আহত নবজাতকের দেহে
মাগুরায় যুবলীগের বুলেটে মাতৃগর্ভে গুরুতর আহত নবজাতকের দেহে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) সাত দিনের শিশুর তুলতুল দেহের ৪টি ক্ষতস্থানে মোট ২১টি সেলাই করা হয়েছে। শিশুটি শনিবার থেকে হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের জেনারেল ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। পাশাপাশি একই বুলেটে গুরুতর আহত শিশুটির মা নাজমা বেগমের দেহ থেকেও সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গুলি বের করা হয়েছে। সন্তানকে দেখার জন্য বারবার চিৎকার করছেন তিনি। তবে মা-শিশুর দেহে সফল অস্ত্রোপচার হলেও তারা এখনও পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
গুলিটি শিশুটির শরীর ভেদ করায় সেটি আর মায়ের খাদ্যনালি ও নাড়িভুঁড়ির বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারেনি বলে জানান চিকিৎসকরা। অন্যথায় মায়ের মারা যাওয়ার শঙ্কা থাকত। আর এমন বিরল ঘটনায় ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই শিশুটি মায়ের প্রাণ বাঁচাল বলেও মন্তব্য তাদের। বৃহস্পতিবার মাগুরা শহরের দোয়াপাড়ায় দলীয় আধিপত্য নিয়ে স্থানীয় যুবলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত স্থানীয় যুবলীগ নেতা আলী হোসেনের গ্র“প দরিদ্র বাচ্চু ভূঁইয়ার বাড়িতে ত্রাস সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। ওই সময় বাচ্চু ভূঁইয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নাজমা আক্তারের পেটে গুলিবিদ্ধ হয়।
গুলিবিদ্ধ হয় আবদুল মোমিন ও মিরাজ হোসেন নামক আরও দু’জন। ওইদিন রাতে মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুল মোমিন। শনিবার রাতে মাগুরা সদর হাসপাতালে জরুরি অস্ত্রোপচারে কন্যাসন্তান জন্ম দেন গুলিবিদ্ধ নাজমা বেগম। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর দেখা যায় নবজাতকও মায়ের গর্ভে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পরে ভোররাতের দিকে গুলিবিদ্ধ শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। নাজমা বেগম মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাতরাচ্ছেন। এ ঘটনায় গুলিতে নিহত হন নাজমার চাচাশ্বশুর মমিন ভূঁইয়া। গুরুতর আহত হন আরও দু’জন।
এদিকে ওই ঘটনার মূল আসামি এখনও ধরা পড়েনি। স্থানীয় যুবলীগের দু’গ্রুপের এই সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আসামিরা সবাই চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী। এ পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের পুলিশ গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের।
নাজমা বেগমের অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক শফিউর রহমান বুধবার বলেন, অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে দেখেছেন, গর্ভে থাকা শিশুটির শরীরে গুলিবিদ্ধ না হলে, তার মায়ের মৃত্যু হতো পারত। শিশুটি মায়ের জন্য আশীর্বাদ, কল্যাণের। বিষাক্ত গুলি তাকে ভেদ করে মায়ের প্রাণ কেড়ে নিতে পারেনি। গুলিটি শিশুর শরীরে ভেদ করায় গতি কমে যায়, নতুবা সেই বুলেটটি মায়ের খাদ্যনালি ও নাড়িভুঁড়ির বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারত। মৃত্যু হওয়ারও সম্ভাবনা থাকত। বর্তমানে মা নাজমা বেগমের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে বলেও তিনি জানান।
ড. শফিউর রহমান আরও বলেন, শিশুটির পিঠের ডান পাশ দিয়ে গুলিটি ঢুকে বুক, হাত, গলা ও চোখ ভেদ করে বের হয়েছে। এত ধকলের পরও শিশুটি বেঁচে আছে। এটা সত্যিই ‘মিরাকল’। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এমন ঘটনা বিরল। বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি ইউনিটে অপারেশন থিয়েটারে ছোট্ট এ শিশুটির অপারেশন হয়। শিশুটির উন্নত চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ হাসিনা শিউলীর নেতৃত্বে ৯ জনের একটি চিকিৎসক দল শিশুটির অস্ত্রোপচার করেন। বুকের ডান পাশে, পেছনে, হাত ও গলায় ২১টি সেলাই দেয়া হয়।
এদিকে শিশুটির মা নাজমা বেগম মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাতরাচ্ছেন। একদিকে শিশুকে দেখতে না পাওয়া, অপরদিকে শরীরে বিদ্ধ বুলেটের যন্ত্রণায় হা-হুতাশ করছেন নাজমা বেগম। কাঁদতে কাঁদতে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন হতভাগ্য এ মা। ব্যাকুল হয়ে আছেন কখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে পৌঁছে প্রাণের শিশুকে কোলে নেবেন। নাজমার চিকিৎসক বলছেন, নাজমা কিছুটা সুস্থ হলেও বিপদ কাটেনি। আরও বেশ কয়েকদিন হাসপাতালেই থাকতে হবে তাকে। অন্যদিকে শিশুটির চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটিকে বুকের দুধ খাওয়ানো জরুরি, নিরুপায় হয়ে কৌটার গুঁড়োদুধ খাওয়ানো হচ্ছে।
অধ্যাপক ডা. কানিজ হাসিনা শিউলীর তত্ত্বাবধানে শিশুটির চিকিৎসা চলছে। বুধবার সকালে শিশুটির অস্ত্রোপচার শেষে ডা. কানিজ হাসিনা শিউলী বলেন, সতর্কতার সঙ্গে শিশুটির অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ছোট্ট একটা শিশু, তুলতুলে দেহে বুলেটের যন্ত্রণা। বুলেটের আঘাতে পিঠ হয়ে বুক ভেদ করেছে। একই সঙ্গে গলা ও চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছে। ৪টি স্থানে ২১টি সেলাই করা হয়েছে।’ এসব কথা বলতে গিয়ে তিনি কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে আরও বললেন, মাতৃগর্ভে থাকা কোনো শিশুর শরীরে বুলেটের আঘাত, তাও আবার চারটি স্থানে। এমন শিশুর অপারেশন এই প্রথম তারা করলেন। এক সপ্তাহের এ শিশুটির ওজন ২ কেজির চেয়েও কম। শিশুটি পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নয় জানিয়ে তিনি বলেন, অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে, এখন ভয় রয়েছে ইনফেকশনের। ক্ষতস্থানে ইনফেকশন না হলে শিশুটি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবে। তবে এ মুহূর্তে শিশুটিকে বুকের দুধ খাওয়ানো জরুরি।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্য শিশু সার্জারি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. আবদুল হানিফ টাবলু জানান, অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। এমন অবস্থায় শিশুটিকে ২০৫ নম্বর শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে অন্যসব রোগীর সঙ্গেই রাখা হচ্ছে। শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে কোনো আইসিইউ কিংবা আলাদা রুম না থাকায় শিশুকে বাধ্য হয়েই ওয়ার্ডে রাখতে হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শিশুটির সার্বক্ষণিক মনিটর করছেন। তিনি বলেন, তাকে বুধের দুধ খাওয়া জরুরি, মা পাশে না থাকায় বুকের দুধ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে পাশের বেডের এক নারী তার বুকের দুধ শিশুটিকে খাওয়ানোর জন্য রাজি হলেও পরে পরিবারের বাধা থাকায় শিশুটিকে বুকের দুধ খাওয়ানো সম্ভব হয়নি। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এমন একটি শিশুর জন্য বুকের দুধ অভাব হওয়ার কথা নয়। ওয়ার্ডে অনেক মাই রয়েছেন যারা শিশুটিকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন।
শিশুটির ফুফু শিখা বলেন, ‘যখন আমাদের মানিক ধনকে (শিশু) অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন বুক থড়পড় করছিল। কিছুক্ষণ আগে তার অসুস্থ মা নাজমা বেগম তাকে মোবাইল করে জানিয়েছেন, তার বাচ্চার যেন কিছু না হয়, যে করেই হোক বাচ্চাকে যেন সুস্থ করে তোলা হয়। হাসপাতালের তিনতলায় অপারেশন থিয়েটারে শিশুটির অস্ত্রোপচার করা হয়। অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানোর পর থেকেই স্বজনরা আর্তনাদ শুরু করেন। প্রার্থনা করেন আল্লাহর দরবারে। তিনি বলেন, তারা ৩ ভাই ৩ বোন। মেঝো ভাই বাচ্চু ভূঁইয়ার সন্তান এ নবজাতক শিশুটি। তার ভাইয়ের ছোট্ট একটি চায়ের দোকান রয়েছে। দিনে ২শ’ থেকে আড়াইশ’ টাকা চা বিক্রি হয়। বড় ছেলে সোহাগ সামনে এসএসসি পরীক্ষা দেবে। ৮ বছরের ছোট মেয়ে সুমাইয়া আক্তার জন্মের পর থেকেই মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। দীর্ঘ ৯ বছর পর অবশেষে তার স্ত্রী গর্ভবতী হন।
মাগুরায় মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ শিশুর মা নাজমা বেগম দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন। নিষ্পাপ শিশুকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেয়ার হোতা এলাকার সন্ত্রাসী আজিবর ও আলী হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের এমন বিচার করা হোক যাতে দেশে এমন বর্বর ঘটনা আর কেউ না করতে পারে। নাজমার অবস্থা শংকামুক্ত বলে জানিয়েছেন মাগুরা সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. শামসুন্নার লাইজু। তবে নবজাতক কন্যার চিকিৎসা ও সুস্থতা নিয়ে খুবই উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় সময় পার করছেন মা নাজমা বেগম। সদর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শিশু কন্যার জন্য দোয়াদরূদ পড়ছেন মা নাজমা বেগম। আশায় বুক বেঁধে আছেন সুস্থ হয়ে তার শিশুকন্যা নাজমা বেগমের বুকে ফিরে আসবে।
পাশাপাশি নবজাতককে দ্রুত ঢাকায় সুচিকিৎসায় পাঠানোর জন্য মাগুরা জেলা পুলিশের প্রতি নাজমা বেগম গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া ঢাকায় যারা শিশুকন্যার চিকিৎসায় নিয়োজিত রয়েছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। নাজমা কখনও কখনও শিশু সন্তানের জন্য কান্নায় অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন। শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তিনি। মাগুরার পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহ বলেন, এ ঘৃণ্য ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ আবদুস সোবহান (৩০) ও সুমন হোসেন (২৫) নামের দুজনকে গ্রেফতার এবং আসামিদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল পুলিশ আটক করেছে। পুলিশের দুটি টিম অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এলাকার পরিস্থিতি : এ ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশ পাহারা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমাবেশ করা হয়েছে। অপরদিকে এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার ও দোষীদের শাস্তি দাবি করে মাগুরা শহরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
মাগুরার দরিমাগুরা দোয়ারপাড় এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমানে যুবলীগ নেতা) কামরুল ভূঁইয়ার সঙ্গে একই এলাকার আজিবর, আলী হোসেন একজোট হয়ে এলাকায় চাঁদাবাজিসহ জমি-বাড়ি-ঘর দখল করতে ভাড়াটিয়া বাহিনী হিসেবে কাজ করে আসছিল। পরবর্তীকালে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ৬ মাস যাবৎ কামরুল ভূঁইয়ার সঙ্গে আলী হোসেন ও আজিবর গ্র“পের মধ্যে বিরোধ চরমে পৌঁছে। এ সূত্র ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। নিজেদের গ্র“পের শক্তি বৃদ্ধি করতে নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে উভয় পক্ষই। এই ‘অপকর্ম ওপেন সিক্রেট’ হলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেনি। কারণ তারা সবাই জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের আশীর্বাদপুষ্ট বলে দাবি করেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা।
সহকারী পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় কাছে দাবি করে বলেন, এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে মাগুরা জেলায় ও জেলার বাইরে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখীন করার সব রকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এদিকে মাগুরা জেলা যুবলীগের আহবায়ক এনামুল হক হীরক লিখিত বিবৃতিতে জোর প্রতিবাদ করে জানিয়েছেন, দরিমাগুরা দোয়ারপাড় এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের কেউই যুবলীগের কোনো পর্যায়েরই কর্মী নয়। অতীতেও তারা কখনও যুবলীগের কর্মী ছিল না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন