বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হলো!
প্রচণ্ড দাবদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হলো। প্রাচীন প্রবাদ মেনে একেবারে ধর্মের রীতি অনুযায়ী বৃষ্টি কামনায় দেওয়া হলো একজোড়া ব্যাঙের বিয়ে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন এলাকার বজরাপুকুর গ্রামে আজব এই ঘটনা ঘটে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামজুড়ে সাজ সাজ রব পড়ে যায় ব্যাঙের বিয়ে উপলক্ষে।
তবে ব্যাঙের বিয়ে হলে কী হবে। বিয়েতে আয়োজন কিন্তু কোনো অংশেই কম ছিল না। জাঁকজমক থেকে শুরু করে ব্যান্ড পার্টি বাজনা, অতিথি আপ্যায়ন সবই ছিল।
আর এই বিয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন গ্রামের নারীরাই। তাঁরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে গ্রামের প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বাড়ি বাড়ি থেকে চাঁদা তুলে এই বিয়ের আয়োজন করেন। বর ব্যাঙ আর কনে ব্যাঙকে আগে থাকতেই জোগাড় করে রেখে ধর্মীয় প্রথা মেনে এদিন বিয়ে দেওয়া হয়।
এই প্রথা পালন শেষে বজরাপুকুর গ্রামের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, বিয়ের পরেই বৃষ্টি নামবে। গত বছরও খরা মৌসুমে এভাবে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়ার পরেই বৃষ্টি নেমেছিল বলে দাবি তাঁদের। তাই এবার ব্যাঙের বিয়েতে কোনোরকম ত্রুটি রাখেননি তাঁরা।
নারীরা রীতিমতো বাজনা বাজিয়ে, উলুধ্বনি, শঙ্খ ধ্বনি দিয়ে বিয়ের আয়োজন করেন। বিয়েতে ডাকা হয় পুরোহিতও। তারপর ছাদনাতলায় বসিয়ে দেওয়া হয় দুই ব্যাঙের বিয়ে। এই বিয়ে উপলক্ষে বরপক্ষ এবং কনেপক্ষ মিলিয়ে গ্রামের প্রায় ৫০০ অতিথির খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্তও করা হয়।
বিয়েতে কন্যা ব্যাঙের অভিভাবক অনিতা রায় জানান, গতবার একইভাবে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়ার পর দিনই মুষলধারে বৃষ্টি নেমেছিল। সেই বিশ্বাস থেকেই এবার প্রচণ্ড গরমের হাত থেকে মুক্তি পেতে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়।
এদিকে ব্যঙের বিয়ে দিয়ে কিন্তু রীতিমতো খুশি পুরোহিত স্বপন পণ্ডিত। তিনি জানালেন, হিন্দু রীতি মেনে সম্পূর্ণ ধর্মীয় নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যাঙের পরিণয় সম্পন্ন হয়েছে। এই বিয়েতে দুই ব্যাঙের মধ্যে মালাবদল, সাতপাক, দধিমঙ্গলসহ যাবতীয় সনাতনী নিয়মকানুন মানা হয়েছে।
আলোচিত এই বিয়ের পর গ্রামবাসী সবারর একটাই আশা-বৃষ্টি কখন নামবে, আর সে জন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে গ্রামবাসী।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন